Google Adsense থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়
গুগল ম্যাপের ব্যবহার সম্পর্কে জানুনGoogle Adsense থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়? এমন প্রশ্ন অনেকেরই থাকে। আপনার যদি এই ধরনের প্রশ্ন থাকে, তাহলে সব কিছু জানতে পারবেন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। চলুন শুরু করা যাক।
গুগল অ্যাডসেন্স আয়ের বেশ জনপ্রিয় একটি মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। এটির মাধ্যমে অধিকাংশ ওয়েবসাইটের মালিকই ইনকাম করে থাকে। তাই Google Adsense থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়, সে সম্পর্কে জেনে নিন।
পেজ সূচিপত্র : Google Adsense থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়
- Google Adsense থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়
- গুগল অ্যাডসেন্সে একাউন্ট কিভাবে খুলে
- গুগল অ্যাডসেন্স কি
- গুগল অ্যাডসেন্সে একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন
- অ্যাডসেন্স থেকে টাকা তোলার মাধ্যম
- গুগল অ্যাডসেন্সের কাজ কি
- গুগল অ্যাডসেন্সে কিভাবে ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করবো?
- অ্যাডসেন্স থেকে টাকা তোলার শর্ত কি
- গুগল অ্যাডস কিভাবে কাজ করে
- লেখকের শেষ মন্তব্য
- Google Adsense থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়?
গুগলে অনেকেই ওয়েবসাইট খুলে থাকেন ইনকাম করার আশায়। অনলাইনে আয় করার অন্যতম সহজ একটি পদ্ধতি হলো এই অ্যাডসেন্স। গুগল অ্যাডসেন্সের অ্যাপ্রুভাল পেয়ে গেলে আপনি সেখান থেকে ইনকাম শুরু করে দিতে পারবেন। এখান থেকে প্রুচুর পরিমাণে ইনকাম করা সম্ভব হয়। যদি স্কেলে বলি তাহলে সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০ কোটি পর্যন্ত টাকাও এক মাসে ইনকাম করা সম্ভব হয়ে থাকে। টাকার পরিমাণ দেখে চমকে যাওয়ার কারণ নেই। যারা কোটি টাকা তুলে তারা অনেক প্রফেশনাল। তবে আপনি চাইলে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারেন। এটা আপনার পরিশ্রম ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে থাকে।
আপনি আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলে এই গুগল অ্যাডসেন্সের অ্যাপ্রুভাল নিতে পারেন। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে মূলত বিজ্ঞাপণ দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব হয়ে থাকে। আপনিও যদি গুগল অ্যাডসেন্সের অ্যাপ্রুভাল পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। গুগল অ্যাডসেন্সে যে বিজ্ঞাপন গুলো দেওয়া হয় এখানে প্রতি ক্লিকের উপর নির্ভর করে ইনকাম হয়ে থাকে। তাই আপনার ইনকাম এই বিষয়টি নির্ভর করছে আপনার সাইটে বা চ্যানেলে কেমন সংখ্যক ভিজিটর হয়ে থাকে। যদি বেশী ভিজিটর হয়ে থাকে, তাহলে ভালো পরিমাণ ক্লিক পড়বে। যার ফলে ভালো পরিমাণ ইনকাম পাবেন।
গুগল অ্যাডসেন্সে সাধারণত প্রতি ক্লিকে বিভিন্ন দেশে ভেদে ০.০১ ডলার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ডিজিট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি আসলে কোনো নির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া সম্ভব হয়ে থাকে না। আপনার ইনকাম বেশী নির্ভর করে থাকে আপনার সাইটে বা চ্যানেলে কেমন ভিজিটর পাচ্ছেন।আপনার ভিজিটররা কি পরিমাণ বিজ্ঞাপন গুলো তে ক্লিক করছে। আপনাকে ভালো পরিমাণ দর্শক পাওয়ার জন্যে ভালো মানের কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। আপনার কন্টেন্ট ভালো হলে এমনিতেই আপনার সাইটে ট্রাফিক আসবে। তাহলে দেখা যাবে আপনার ভালো ইনকাম হচ্ছে এবং ক্লিক সংখ্যা বাড়ছে।
আমাদের দেশে সাধারণত যদি একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় অ্যাডসেন্সে তাহলে সেখানে সাধারণত প্রতি ক্লিকে ০.০১ ডলার থেকে ০.২০ ডলার পর্যন্ত পেয়ে থাকি। এই গুলো যদি বাংলাদেশ এর টাকায় বলি তাহলে আপনার ইনকাম হবে ১ টাকা থেকে শুরু করে ২০ টাকা পর্যন্ত। আপনার সাইটে প্রতিদিন যত বেশী সংখ্যক ভিজিটর ভিজিট করবে তত বেশী পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন। তাই আপনার সাইটে বা চ্যানেলে ভালো মানের কন্টেন্ট রাখতে হবে। এর ফলে দর্শক হবে অনেক এবং ক্লিক পড়বে বেশী। যার কারণে এক টাকা করে হলেও প্রতিদিন এক হাজার ক্লিক পেলে এক হাজার টাকা ইনকাম হয়ে যাবে সর্বনিম্ন।
তবে আরো একটি মজার ব্যাপার হলো এই একই কন্টেন্ট গুলো যদি কোনো ইউএস থেকে ভিজিটর এসে ভিজিট করে থাকে তাহলে ইনকাম হবে প্রতি ক্লিকে ০.২০ ডলার থেকে ১৫ বা ২০ ডলার পর্যন্ত। এই জন্যই ইংরেজিতে যে কন্টেন্ট গুলো থাকে সে গুলো তে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম আসে। গুগল অ্যাডসেন্সে আবার কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। মানে কিছু কিওয়ার্ড বা ক্যাটাগরি নিয়ে যদি কাজ করা হয়ে থাকে তাহলে ইনকাম আরো বেশী পরিমাণে হয়ে থাকে। আপনার সাইট বা চ্যানেলের দর্শক গুলো যদি ইউএস বা আমেরিকার হয়ে থাকে তাহলে অনেক বেশী পরিমাণে ইনকাম হবে। মূলত কান্ট্রি ভেদে আপনার ইনকামের পরিমাণও উঠা নামা করবে। সবশেষে অনেক বেশী পরিমাণ ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে ইউএস কান্ট্রি কে টার্গেটে রাখতে হবে।
আপনাকে যদি সর্বোচ্চ আয় করে, গুগল অ্যাডসেন্স থেকে এমন কয়েক জন লোকের ইনকামের পরিমাণও সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেই। মি. জ্যাক হ্যারিক তার উইকিহাউ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দুই মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে গুগল ট্রেন্ডস ব্যবহার করবেন জানুন
মি. ক্যাশমোর তার ম্যাশঅ্যাবল সাইটে মাসে দেড় মিলিয়ন টাকা আয় করে থাকে। মি. মার্কাস তার পফ সাইটে মাসে এক মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে। ক্লার্ক ব্যানসন তার র্যাংকার ওয়েবসাইট ব্যবহার এর সাহায্যে মাসে ৬০ লক্ষ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে। তাই আপনিও আপনার স্বপ্ন কে বড় করে তুলতে পারেন। পরিশ্রম আর দক্ষতার সাহায্যে নিজের ইনকাম কে তাদের সমান করে তুলুন।
গুগল অ্যাডসেন্সে একাউন্ট কিভাবে খুলে
Google Adsense থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়? সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত বলা হয়েছে। গুগল অ্যাডসেন্স খোলার জন্যে আপনার একটি সাইটের একাউন্ট থাকতে হবে। আপনার একটি ওয়েবসাইট রাখবেন যেখানে ভালো মানের ৩০ থেকে ৪০ টি কন্টেন্ট রাখবেন। গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্ট খোলার জন্যে আপনার জিমেইল আইডি দিয়ে প্রথমে লগ ইন করে নিবেন। Google Adsense ওয়েব সাইটে প্রবেশ করার পর এখানে সাইন আপ বাটনে ক্লিক করে সাইন আপ করে নিবেন। সাইন আপ বাটনে ক্লিক করলে আপনার কাছে একটি ফরম আসবে এটি পূরণ করে আপনি গুগলে অ্যাডসেন্স একাউন্ট খোলার জন্যে অ্যাপ্লাই করতে পারবেন।
আপনার যদি চান আপনার কোনো ব্লগ সাইট কিংবা চ্যানেলের জন্যে অ্যাপ্লাই করতে তাহলে ড্যাশ বোর্ডে গিয়ে আপনি অ্যাপ্লাই করার বাটনটি পেয়ে যাবেন। একাউন্ট খোলার জন্যে প্রথমেই আপনি সাইন আপ করে নিবেন। আপনার জি - মেইল ব্যবহার করে লগ ইন করে নিতে পারবেন। আলাদা করে অন্য কোনো পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে না। নিম্নোক্ত ধাপ গুলো অনুসরণ করে নিতে পারেন।
- জিমেইল ব্যবহার করে লগ ইন করে নিন।
- একাউন্ট টাইপ আপনার অবস্থা অনুযায়ী সিলেকশন করে নিন। একা হলে দিবেন Invidual আর কোম্পানি হলে company দিবেন।
- NID কার্ডে থাকা আপনার নাম ও একটি সচল ফোন নম্বর ব্যবহার করবেন। যে ফোন নম্বরটি দিবে তা ব্যবহার করে জিমেইল একাউন্ট খোলা ও টু- স্টেপ ভেরিফিকেশন অন করে রাখবেন।
- আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দিবেন। আপনার একাউন্ট যখন ১০ ডলার আয় হয়ে যাবে তখন কিন্তু আপনার এই ঠিকানায় একটি চিঠি আসবে। যা অ্যাডসেন্স থেকে আপনার স্থায়ী ঠিকানায় পাঠানো হবে। ঐ চিঠিতেই গোপণ কোড থাকবে যা দিয়ে আপনি অ্যাডসেন্স ভেরিফাই করে নিবেন। তাই ঠিকানা সঠিক ভাবে দিবেন।
- অ্যাডসেন্স থেকে আপনি কোথায় বিজ্ঞাপন দেখাবেন তার লিংক সংযুক্ত করে দিবেন। সেটা হতে পারে ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল লিংক।
- টাইম জোনে আপনি +৬ টাইম সিলেকশন করে নিবেন। এতে করে আপনার এই সময় পরিবর্তনে আপনার ইনকাম রিপোর্ট দিয়ে দেওয়া হবে।
আবেদন করার অ্যাডসেন্স কিছু সময় নিবে। আপনার সকল তথ্য গুলো পর্যালোচনা করার জন্যে। গুগল এখনকার সময়ে সকল ওয়েবসাইট গুলো পাবলিশিং এর পূর্বে সাইটের সকল তথ্য গুলো ভালো ভাবে যাচাই বাছাই করে নেয়। তাই ম্যানুয়ালি কাজটা হওয়ার জন্যে আপনার ১ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। গুগল এই বিষয়টি আপনার আবেদন করা জিমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে, যে আপনার সাইটটি পাবলিশ করার উপযুক্ত না কি না।
গুগল অ্যাডসেন্স কি
অ্যাডসেন্স হলো গুগল কতৃক পরিচালিত একটি বিজ্ঞাপন সংস্থা। যেখানে বিজ্ঞাপণ দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ প্রদান করা হয়ে থাকে। আপনি যদি আপনার সাইটে গুগল অ্যাডসেন্সের অ্যাপ্রুভাল নিতে পারেন তবে আপনার সাইটে বিজ্ঞাপণ দেখাবে এবং সেখান থেকে আপনার ইনকাম করা সম্ভব হবে। গুগল দ্বারাই এই অ্যাডসেন্স পরিচালিত হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন : গুগল ক্রোমে ওয়েবসাইট ব্লক করার নিয়ম
অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে আপনি আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন দেখাতে পারবেন। অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে সাধারণত ব্লগারা তাদের ব্লগ সাইটে, ইউটিবাররা তাদের চ্যানেলে ব্যবহার করে থাকে। আর এখানে যেমন ক্লিক পরে তার উপর ভিত্তি করে ব্লগ মালিকরা বা ইউটিউব চ্যানেল মালিকরা ইনকাম পেয়ে থাকে।
গুগল অ্যাডসেন্সে একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন
আপনি যদি ওয়েবসাইটে বা চ্যানেলের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে গুগল অ্যাডসেন্সের অ্যাপ্রুভাল পেতে হবে। এই অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার জন্যে আপনাকে আগে আবেদন করার প্রয়োজন পড়বে। তাই চলুন জেনে নিই তাহলে গুগল অ্যাডসেন্সের অ্যাপ্রুভাল পেতে যে কাগজ পত্র গুলো আপনার প্রয়োজন হবে।
- জি- মেইল একাউন্ট
- এন আইডি কার্ড
- ভেরিফিকেশন চিঠি পাঠানোর জন্যে একটি রিয়েল ঠিকানা
- অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যে একটি নিজস্ব চ্যানেল বা ওয়েবসাইট
এই প্রয়েজনীয় জিনিস গুলো যদি আপনার থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই একাউন্টের জন্যে আবেদন করতে পারবেন। এতে আপনার কোনো অসুবিধা হবে না। তাই গুগল অ্যাডসেন্সে একাউন্ট করার আগে এই বিষয় গুলো প্রস্তুত করে নিবেন।
অ্যাডসেন্স থেকে টাকা তোলার মাধ্যম
Google Adsense থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়? তা জেনেছেন। অ্যাডসেন্স থেকে টাকা তোলা তেমন কোনো কঠিন বিষয় নয়। আপনার এখানে ইচ্ছে মতে ডলারে টাকা উইদ্র করতে পারবেন না।তার জন্যে মিনিমাম আপনার একাউন্টে ১০০ ডালার থাকতে হবে। তাহলেই আপনি টাকা তুলতে পারবেন। আপনি টাকা তোলার জন্যে ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন। এটিই সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। আবার রকেট একাউন্টেও টাকা নিতে পারবেন। কারণ এর এর একাউন্ট নম্বর ১২ ডিজিটের। অর্থাৎ ব্যাংক একাউন্টের মতোই।
গুগল অ্যাডসেন্সের কাজ কি
গুগল অ্যাডসেন্স হলো গুগল কত্ক পরিচালিত একটি বিজ্ঞাপণ দেওয়ার প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সাইট বা চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়ে থাকে। এই প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে গুগল থার্ড পার্টির বিজ্ঞাপন গুলো প্রদর্শন করে থাকে। এটি ব্লগ মালিকদের নিকট বন্টন করা হয়ে থাকে, ফলে তারা এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে নিজ ওয়েবসাইটে। এর মাধ্যমে অনেক টাকা উপার্জন করা সম্ভব হয়ে থাকে। আমাদের দেশের প্রচুর সংখ্যক ব্লগার রয়েছে যারা এই ভাবে টাকা উপার্জন করে থাকে।
গুগল অ্যাডসেন্সে কিভাবে ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করবো?
Google Adsense থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়? তা জেনেছেন। এবার ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করার পালা। এর জন্যে প্রথমে আপনাকে অ্যাডসেন্স একাউন্টে চলে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে পেমেন্টস মেথড এ ক্লিক করার প্রয়োজন পড়বে। তারপর এখানে পেমেন্ট পদ্ধতি যোগ করে নিতে পারবেন। এখানে মোবাইল ব্যাংকিং বা ব্যাংক একাউন্টে টাকা আনতে " Add new wire transfer detalis" এ ক্লিক করবেন। আর চেকের মাধ্যমে যদি টাকা নিয়ে আসতে চান তবে " Add new check details" এ ক্লিক করে নিবেন।
ব্যাংকে টাকা আনতে প্রথম অপশন সিলেক্ট করে নিন। এরপর ব্যাংকের সকল তথ্য চেয়ে আপনাকে একটি ফরম দিবে এটি পূরণ করে দিলেই হয়ে যাবে।
অ্যাডসেন্স থেকে টাকা তোলার শর্ত কি
অ্যাডসেন্সে টাকা তোলা নতুনদের জন্যে একটু বিরক্তিকর লাগতে পারে। কেননা এখানে টাকা উইদ্র করতে একটু অনুমোদন ও ভেরিফিকেশন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। যেমন প্রথমে আপনাকে অ্যাডসেন্স একাউন্টটি পার্বলিশারস করে নিতে হবে। এরপর আপনাকে অ্যাডসেন্স একাউন্টের জন্যে আবেদন করতে হবে। যদি অ্যাপ্রুভাল পেয়ে যান তবে সাইটে আপনাকে একটি কোড বসাতে হবে। তারপর আপানকে অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন করে নিতে হবে। আপনার পাবলিশার্স একাউন্টে যখন ১০ ডলার আয় হয়ে যাবে তখন আপনার কাছে ভেরিফিকেশন চাইবে।
এই উপায়টা মাঝে মাঝে একটু জটিল হয়ে পড়ে। এখানে অনেকে Address verification বা পিনে গিয়ে আটকে পড়ে। গুগল আপনার ঠিকানায় চিঠির মাধ্যমে একটি গোপন কোড পাঠাবে। আর এই পিন ব্যবহার করে আপনার ঠিকানা ভেরিফাই করে নিতে হবে। তারপর আপনার একাউন্টে ১০০ ডলার ইনকাম হয়ে গেলে আপনি যে পেমেন্ট মেথড দিবেন সেখানে টাকা পাঠাবে।
গুগল অ্যাডস কিভাবে কাজ করে
গুগল অ্যাডস হলো একটি বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম। এখানে নির্দিষ্ট দামের উপর নির্ভর করে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়ে থাকে। প্রতি ক্লিকের উপর নির্ভর করে সে টাকা গুলো প্রদান করা হয়ে থাকে। এটি কাজ করে থাকে CPC (cost per click), CPM (Cost per mile), CPE (Cost per Engagement)। সিপিসি হলো প্রতি ক্লিকের উপর ভিত্তি করে টাকা দেওয়া হয়। সিপিএম হলো প্রতি এক হাজার ইম্প্রেশনে অর্থ প্রদান করে থাকে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠকগণ, আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে, Google Adsense থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়? তার উপরে। আশা করি এই বিষয়টি সম্পর্কে সব কিছু বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। যদি এই বিষয়ে মন্তব্য থাকে তো রাখতে পারেন। ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। 250109
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url