অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর উপায়

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর উপায়

অ্যান্ড্রয়েড ফোন বর্তমান খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এক বিশাল জনগোষ্ঠীর হাতে অ্যান্ড্রয়েড ফোন শোভা পায়।কিন্তু দুঃখের বিষয় এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি খুব দ্রুত চার্জ শেষ হয়ে যায়। তাই এন্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আজকে আমরা এই প্রবন্ধটি শুরু করেছি। 

আপনি হয়তো ভাবছেন ব্যাটারি ব্যাকআপ কিভাবে বাড়ানো যায়। সে বিষয়টি জানতে হলে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ অধ্যয়ন করুন। আমরা এখানে এন্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর জন্য ২৫ টি কার্যকর উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনি আমাদের সাথেই থাকুন। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর উপায়

 ✍️অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর উপায়
 📅 অ্যান্ড্রয়েড ফোন কি,অ্যান্ড্রয়েড ফোনের  প্রয়োজনীয়তা কি 
📊 অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ কমে যাওয়ার কারণগুলো
🔖 অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর ২৫টি কার্যকর উপায়
✅ উপকারগুলো এক নজরেঃ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর উপায়
🧠 বিশেষ কিছু টিপসঃ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর উপায়
🏁 লেখকের মন্তব্যঃ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর উপায়

 ✍️ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর উপায় 

নিচে আমরা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর উপায় নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা  করেছিঃ 

১। স্ক্রিন ব্রাইটনেস কমান – অটো-ব্রাইটনেস চালু করুন বা ম্যানুয়ালি ব্রাইটনেস কমিয়ে দিন।

২।  ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস বন্ধ করুন – ব্যবহার না করা অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চললে ব্যাটারি বেশি খরচ হয়।

৩। ব্যাটারি সেভার মোড চালু করুন – সেটিংসে গিয়ে ‘Battery Saver’ বা ‘Power Saving Mode’ অন করুন।

আরো পড়ুনঃ 

৪।  লোকেশন ও ব্লুটুথ বন্ধ রাখুন – প্রয়োজন না থাকলে জিপিএস ও ব্লুটুথ বন্ধ রাখুন।

৫।  অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করুন – বারবার স্ক্রিন জ্বলে উঠলে ব্যাটারি খরচ হয়।

৬। ডার্ক মোড ব্যবহার করুন – AMOLED ডিসপ্লেতে ডার্ক মোড ব্যাটারি সাশ্রয় করে।

৭।  অটো-সিঙ্ক ও ব্যাকআপ বন্ধ করুন – অপ্রয়োজনীয় অ্যাকাউন্ট সিঙ্ক বন্ধ করুন।

৮।  অ্যাপ আপডেট রাখুন – হালনাগাদ অ্যাপ কম ব্যাটারি ব্যবহার করে।

৯।  লাইভ ওয়ালপেপার এড়িয়ে চলুন – স্ট্যাটিক ওয়ালপেপার ব্যবহার করুন।

১০।  সিগন্যাল দুর্বল থাকলে ফ্লাইট মোড চালু করুন – ফোন তখন বেশি শক্তি ব্যবহার করে।

এভাবে কিছু সহজ অভ্যাস রপ্ত করলে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ অনেকটাই বাড়ানো যায়।

 📅 অ্যান্ড্রয়েড ফোন কি,অ্যান্ড্রয়েড ফোনের  প্রয়োজনীয়তা কি 

অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিঃ  অ্যান্ড্রয়েড ফোন হলো এমন একটি স্মার্টফোন, যা গুগলের তৈরি করা অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম (Android OS) দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি একটি ওপেন-সোর্স অপারেটিং সিস্টেম, যা মূলত মোবাইল ডিভাইসের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বিভিন্ন কোম্পানির ফোনে ব্যবহার করা হয়, যেমন: Samsung, Xiaomi, Oppo, Vivo, Realme, Motorola ইত্যাদি।এই ফোনগুলোতে সাধারণত থাকেঃ  ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সুবিধা, বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার ও ডাউনলোড করার সুবিধা (Google Play Store), ক্যামেরা, ভিডিও, অডিও, নোট, কল, মেসেজিং ইত্যাদি। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সুযোগ (Facebook, WhatsApp, YouTube, TikTok ইত্যাদি)। 

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের প্রয়োজনীয়তা কীঃ বর্তমান সময়ে অ্যান্ড্রয়েড ফোন একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি যন্ত্র। এর প্রয়োজনীয়তা নীচে তুলে ধরা হলোঃ 

১. যোগাযোগ রক্ষার জন্যঃ কল, মেসেজ, ভিডিও কল, ইমেইল, এবং বিভিন্ন সোশ্যাল অ্যাপের মাধ্যমে দ্রুত যোগাযোগ করা যায়। 

২. ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্যঃ  গুগল, ইউটিউব, ফেসবুক, নিউজ সাইটসহ অসংখ্য তথ্য-উপাত্ত খুঁজে পাওয়া যায়। 

৩. অফিস ও শিক্ষার কাজেঃ  ওয়ার্ড, এক্সেল, পিডিএফ, Google Meet, Zoom, Classroom ইত্যাদির মাধ্যমে কাজ ও পড়াশোনা সহজ হয়েছে। 

৪. বিনোদনের জন্যঃ গান শোনা, ভিডিও দেখা, গেম খেলা, বই পড়া, সিনেমা দেখা সবকিছুই সম্ভব অ্যান্ড্রয়েড ফোনে। 

৫. অনলাইন লেনদেন ও ব্যাংকিংঃ  বিকাশ, নগদ, রকেট, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে টাকা পাঠানো ও গ্রহণ করা যায়।

৬. চিত্র ও ভিডিও ধারণঃ  ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি তোলা, ভিডিও রেকর্ড করা ও সম্পাদনার কাজ সহজ হয়েছে।

৭. অনলাইন ব্যবসা পরিচালনাঃ  ই-কমার্স, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদিতে অ্যান্ড্রয়েড ফোন অপরিহার্য।

অ্যান্ড্রয়েড ফোন হলো আধুনিক জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি কেবল যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং শিক্ষা, বিনোদন, তথ্য, ব্যবসা এবং দৈনন্দিন কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। প্রযুক্তির এই যুগে একজন মানুষের জীবনে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ভূমিকা অপরিসীম।

📊 অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ কমে যাওয়ার কারণগুলো

ব্যাটারির ব্যাকআপ কমে যাওয়ার পেছনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে : ঃ

🔸 অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম ও ব্রাইটনেস

🔸 ব্যাকগ্রাউন্ডে চলমান অ্যাপস

🔸 লোকেশন, ব্লুটুথ, WiFi, মোবাইল ডাটা সবসময় চালু রাখা

🔸 অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন

🔸 পুরাতন বা দুর্বল ব্যাটারি

🔸 ভারী গেমস বা ভিডিও স্ট্রিমিং

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ কমে যাওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ কারণ তুলে ধরা হলোঃ 

🔋 অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ কমে যাওয়ার ১০টি প্রধান কারণঃ 

১. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকাঃ অনেক অ্যাপস বন্ধ করার পরেও ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে এবং ব্যাটারির উপর চাপ সৃষ্টি করে। 

২. উচ্চ উজ্জ্বলতার স্ক্রিন (Screen Brightness)ঃ  স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা যদি সর্বদা বেশি থাকে, তাহলে এটি দ্রুত ব্যাটারি শেষ করে ফেলে।

৩. ওভার-হিটিং বা ফোনের অতিরিক্ত গরম হওয়াঃ  গরম হলে ব্যাটারির পারফরম্যান্স কমে যায় এবং দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যায়। 

৪. ফোনের পুরনো ব্যাটারিঃ ব্যাটারি পুরনো বা দুর্বল হলে তার ক্ষমতা কমে যায় এবং ব্যাকআপও কমে যায়। 

৫. ইন্টারনেট, ব্লুটুথ, ও জিপিএস সবসময় চালু রাখাঃ  এসব সার্ভিস সক্রিয় থাকলে তা ব্যাটারির উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে।

৬. অপটিমাইজ না করা অ্যাপস ও সফটওয়্যারঃ অপ্টিমাইজ না করা বা বাগযুক্ত অ্যাপস ব্যাটারি ড্রেইন করতে পারে। 

৭. অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন ও ফিচার চালু রাখাঃ নানা রকমের অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন ও সেন্সর ফিচার যেমন Always On Display ব্যাটারি খরচ বাড়ায়। 

৮. অটো-সিঙ্ক চালু থাকাঃ  Google, Facebook বা অন্যান্য অ্যাকাউন্টের অটো-সিঙ্ক সব সময় চালু থাকলে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়।

৯. ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার আক্রান্ত হওয়াঃ কিছু ক্ষতিকর অ্যাপস বা ভাইরাস গোপনে ব্যাটারি ব্যবহার করে থাকে।

১০. অপ্টিমাইজড চার্জিং না করাঃ কম গুণমানের চার্জার বা ভুল চার্জিং অভ্যাস ব্যাটারির লাইফ কমিয়ে দেয়।

✅ সমাধানের জন্য পরামর্শঃ ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস বন্ধ রাখুন। স্ক্রিন ব্রাইটনেস অটো মোডে রাখুন। গরম পরিবেশে ফোন ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। পুরনো ব্যাটারি পরিবর্তন করুন। দরকার ছাড়া Bluetooth, Wi-Fi, Location বন্ধ রাখুন। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল করুন।

  অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর ২৫টি কার্যকর উপায়

🟩 অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন ২৫টি কার্যকর উপায় যেগুলো অনুসরণ করলে ব্যাটারি ব্যাকআপ বহুগুণে বাড়বে। তথ্য-উপাত্তসহ বিস্তারিত গাইড এখনই পড়ুন।

🔰 বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে সাধারণ এবং বিরক্তিকর সমস্যাগুলোর একটি হলো – ব্যাটারির দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া। অনেকেই নতুন ফোন কেনার কিছুদিনের মধ্যেই বলেন, “আগে ব্যাটারি অনেক সময় চলত, এখন ঘণ্টা দু’য়েকেই শেষ হয়ে যায়।” আসলে অনেক সময় সঠিক ব্যবহার না জানার কারণেই এমন সমস্যা হয়।

এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে জানবো –

✅ কীভাবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো যায়

✅ কোন অ্যাপ বা সেটিংস ব্যাটারি খরচ বাড়ায়

✅ ২৫টি কার্যকর ও সহজ টিপস

✅ তথ্য ও উপাত্তসহ ব্যাখ্যা

✅ এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কিছু পরামর্শ

🔋 অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর ২৫টি কার্যকর উপায়

১. স্ক্রিন ব্রাইটনেস কমিয়ে ব্যবহার করুনঃ  অত্যধিক ব্রাইটনেস ব্যাটারির বড় শত্রু। অটো ব্রাইটনেস চালু করে রাখলে ফোন আলো অনুযায়ী ব্রাইটনেস নিয়ন্ত্রণ করবে।

👉 কীভাবে করবঃ  Settings > Display > Brightness > Auto Brightness অন করুন।

২. ডার্ক মোড ব্যবহার করুনঃ ডার্ক মোড AMOLED ডিসপ্লে ফোনে ব্যাটারি সাশ্রয় করে।

👉 কীভাবে করবঃ Settings > Display > Theme > Dark Mode অন করুন।

৩. ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস বন্ধ করুনঃ অনেক অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে থেকে ব্যাটারি খরচ করে।

👉 কীভাবে করবঃ Settings > Battery > Background usage > Block বা Restrict করুন।

৪. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল করুনঃ আপনি যেসব অ্যাপ ব্যবহার করেন না, সেগুলো আনইনস্টল করলে ব্যাটারি ও স্টোরেজ উভয়ই সাশ্রয় হয়।

৫. লোকেশন সার্ভিস বন্ধ রাখুন (প্রয়োজনে চালু করুন)ঃ সবসময় লোকেশন চালু রাখা ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর।

👉 কীভাবে করবঃ Settings > Location > Off অথবা App Wise অনুমতি দিন।

৬. ব্যাটারি সেভার মোড চালু করুনঃ Low Battery হলে ব্যাটারি সেভার মোড চালু রাখলে ব্যাকআপ অনেক বেড়ে যায়। 

👉 কীভাবে করবঃ  Settings > Battery > Battery Saver > On

৭. অটো-সিঙ্ক বন্ধ করুনঃ  জিমেইল, ফেসবুক, গুগল ড্রাইভ সব অটো-সিঙ্ক হলে ব্যাটারি খরচ বাড়ে।

👉 কীভাবে করবঃ Settings > Accounts > Auto-sync data > Off

৮. অ্যাপ আপডেট রাখুনঃ  পুরাতন ভার্সনের অ্যাপ অনেক সময় বেশি ব্যাটারি খরচ করে। তাই সব অ্যাপ আপডেট রাখা জরুরি।

৯. অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করুনঃ নানা অ্যাপের অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন ব্যাটারির উপর চাপ ফেলে।

👉 কীভাবে করবঃ Settings > Notifications > App Wise বন্ধ করুন।

১০. হোম স্ক্রিনে লাইভ ওয়ালপেপার পরিহার করুনঃ লাইভ ও অ্যানিমেটেড ওয়ালপেপার ব্যাটারি খরচ বাড়ায়।

১১. WiFi ও Bluetooth শুধু দরকারে চালু রাখুনঃ সব সময় WiFi ও Bluetooth চালু থাকলে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়।

১২. মোবাইল ডাটা কম ব্যবহার করুনঃ ইন্টারনেট চালু থাকলে ব্যাকগ্রাউন্ডে অনেক অ্যাপ ডেটা খরচ করে। WiFi ব্যবহার করা ভালো।

১৩. হালকা লঞ্চার ব্যবহার করুনঃ হেভি লঞ্চার যেমন Nova, Microsoft Launcher অনেক RAM ও Battery খরচ করে।

১৪. অ্যাপ পারমিশন সীমিত করুনঃ অনেক অ্যাপ অপ্রয়োজনীয় পারমিশন নিয়ে ব্যাটারি খরচ বাড়ায়।

👉 কীভাবে করবঃ Settings > Apps > Permission Manager থেকে নিয়ন্ত্রণ করুন।

১৫. ফোন চার্জ দিতে ভুল করবেন নাঃ ব্যাটারির লাইফ বাড়াতে ২০%-৮০% রেঞ্জে চার্জ রাখা ভালো।

১৬. ব্যবহারের পর অ্যাপ ক্লোজ করুনঃ ব্যবহারের পর বার বার হোম বাটন চাপলে অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে থেকে যায়।

১৭. গেম খেলা কমান বা Battery Saver মোডে খেলুন: ঃ গেম সবচেয়ে বেশি ব্যাটারি খায়। কম গ্রাফিক্সে খেললে কিছুটা সাশ্রয় হয়।

১৮. ফোনের Temperature পর্যবেক্ষণ করুনঃ অত্যাধিক গরম বা ঠাণ্ডা অবস্থায় ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়।

১৯. নির্দিষ্ট সময়ে Airplane Mode অন করুনঃ  রাতে ঘুমানোর সময় Airplane Mode অন করলে ব্যাটারি সাশ্রয় হয়।

২০. ব্যাটারি ব্যবহার মনিটর করুনঃ Settings > Battery Usage অপশন থেকে কোন অ্যাপ কত ব্যাটারি খরচ করছে দেখুন।

২১. Doze Mode ব্যবহার করুন (Android 6.0+)ঃ এই মোড ফোনকে ঘুমের মতো অবস্থায় নিয়ে যায় ব্যাটারি সাশ্রয়ের জন্য।

২২. সিস্টেম আপডেট রাখুনঃ নতুন অ্যান্ড্রয়েড আপডেট অনেক সময় ব্যাটারি অপটিমাইজ করে দেয়।

২৩. ফোনের Vibrate কম ব্যবহার করুনঃ ভাইব্রেট মোডে ব্যাটারি বেশি খরচ হয়। প্রয়োজন ছাড়া ব্যবহার না করাই ভালো।

২৪. Always-on Display বন্ধ করুনঃ এই ফিচার চালু থাকলে স্ক্রিন অনই থাকে, যা ব্যাটারি খরচ করে।

২৫. পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করুন (ব্যাকআপ হিসেবে)ঃ যদি দীর্ঘ সময় বাইরে থাকেন, তবে পাওয়ার ব্যাংক বহন করা সুবিধাজনক।

📈 উপাত্ত ও গবেষণাঃ ব্যাটারি খরচ কোন অ্যাপে বেশি হয়?

অ্যাপ গড় ব্যাটারি খরচ সমাধান

Facebook 18-20% Lite ভার্সন ব্যবহার করুন

YouTube 15% রেজোলিউশন কমান

TikTok 12-15% টাইম লিমিট দিন

Instagram 10-12% ব্যাকগ্রাউন্ডে সীমিত করুন

Google Maps 8-10% দরকারে চালু করুন

(তথ্যসূত্রঃ AndroidAuthority, PhoneArena, ২০২৪

উপকারগুলো এক নজরেঃ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর উপায়

🔹 ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়বে ৩০-৫০% পর্যন্ত

🔹 ফোন কম গরম হবে

🔹 অ্যাপ পারফর্মেন্স ভালো হবে

🔹 দীর্ঘদিন ব্যাটারি টিকবে

🔹 ফোনের Overall Health উন্নত হবে         

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর উপকারগুলো এক নজরে (সংক্ষেপে)ঃ 

১।  দীর্ঘ সময় ব্যবহার – ফোন বারবার চার্জ না দিয়েও দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার করা যায়।

আরো পড়ুনঃ 

২।  চার্জিং সময় সাশ্রয় – বারবার চার্জ দেওয়ার ঝামেলা কমে যায়।

৩। ডিভাইসের জীবনকাল বৃদ্ধি – অতিরিক্ত চার্জিং এড়ানো গেলে ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো থাকে।

৪। মোবাইল গরম হওয়া কমে – ব্যাটারি সাশ্রয়ী ব্যবহারে ফোন কম গরম হয়।

৫।  ভ্রমণে সুবিধা – বাইরে থাকাকালীন চার্জ নিয়ে দুশ্চিন্তা কমে।

৬। ইন্টারনেট ও অ্যাপ ব্যবহারে সুবিধা – ব্যাটারি বেশি থাকলে নিরবিচারে ইন্টারনেট, ভিডিও, গেম উপভোগ করা যায়।

৭।  পাওয়ার ব্যাংকের উপর নির্ভরতা কমে – অতিরিক্ত ডিভাইস নিয়ে বের হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।এসব উপকারের মাধ্যমে আপনার স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও উপভোগ্য হয়ে ওঠে।

🧠 বিশেষ কিছু টিপসঃ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর উপায়

⭐ নতুন ফোন কিনলে ৫-৬ বার ফুল চার্জ-ডিসচার্জ চক্র অনুসরণ করুন

⭐ ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন প্রতি মাসে ১ বার করুন

⭐ Fast charging অতিরিক্ত ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর জন্য কিছু বিশেষ টিপস সংক্ষেপে নিচে দেওয়া হলোঃ 

১। স্ক্রিন ব্রাইটনেস কমান – অটো ব্রাইটনেস বন্ধ রেখে ম্যানুয়ালি কমিয়ে দিন।

২।  ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস বন্ধ করুন – অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা বন্ধ করুন।

৩।  ব্যাটারি সেভার মোড চালু করুন – ফোনের Settings-এ গিয়ে Battery Saver চালু করুন।

৪। অপ্রয়োজনীয় ফিচার বন্ধ করুন – যেমন Bluetooth, Location, NFC, Wi-Fi, Mobile Data।

৫। অ্যাপ আপডেট রাখুন – লেটেস্ট ভার্সনে বাগ ফিক্স থাকায় ব্যাটারি খরচ কম হয়।

৬। ডার্ক মোড ব্যবহার করুন – AMOLED স্ক্রিনে ডার্ক মোড ব্যাটারি সাশ্রয় করে।

৭। লাইভ ওয়ালপেপার এড়িয়ে চলুন – স্থির ছবি ব্যবহার করুন ব্যাকগ্রাউন্ডে। 

৮।  অ্যাপ পারমিশন চেক করুন – অপ্রয়োজনীয় অ্যাপের লোকেশন ও ব্যাকগ্রাউন্ড পারমিশন বন্ধ করুন।

৯।  নোটিফিকেশন সীমিত করুন – বেশি নোটিফিকেশন ব্যাটারির ওপর চাপ ফেলে।

১০।  অটো-সিঙ্ক বন্ধ করুন – সব অ্যাপ একসাথে সিঙ্ক করলে ব্যাটারি বেশি খরচ হয়।

এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ অনেকটাই বাড়বে।

🏁 লেখকের মন্তব্যঃ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর উপায়

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর জন্য যেসব উপায় তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলো নিয়মিত মেনে চললে আপনার স্মার্টফোন অনেক বেশি সময় ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে পারবে। শুধু ফোন কিনলেই হবে না, সেটি কিভাবে ব্যবহার করছেন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যাটারির কার্যক্ষমতা শুধু চার্জে নয়, আপনার ব্যবহারিক অভ্যাসের উপরও নির্ভর করে। তাই এখনই অভ্যাস পরিবর্তন করুন, এবং আপনার ফোনকে দিন দীর্ঘস্থায়ী ব্যাকআপ সুবিধা। 📣 এই আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তবে শেয়ার করুন এবং কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না – আপনি কোন উপায়টি ব্যবহার করছেন আপনার ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়াতে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url