বিকাশ কি, বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম, বিকাশে কিভাবে টাকা পাঠাবেন
বিকাশ কি, বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম, বিকাশে কিভাবে টাকা পাঠাবেন
🟢 বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম, টাকা পাঠানোর পদ্ধতি, সুবিধা ও খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। সহজ ধাপে ধাপে গাইড, তথ্য-উপাত্ত ও সর্বশেষ পরিসংখ্যানসহএই আর্টিকেলটি আপনার জন্য উপযোগী।
আমরা আজকের এই নিবন্ধে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম বিকাশে কিভাবে টাকা পাঠাবেন বিকাশে সুবিধা অসুবিধা বিকাশের গুরুত্ব ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেছি। আপনি আমাদের এই প্রবন্ধটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করুন তাহলে আপনার অজানা অনেক বিষয় জানতে পারবেন। আমাদের সাথেই থাক...
পেজ সূচিপত্রঃ বিকাশ কি, বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম, বিকাশে কিভাবে টাকা পাঠাবেন
📲বিকাশ কি, বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম, বিকাশে কিভাবে টাকা পাঠাবেন
বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনৈতিক পরিবেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (MFS) হচ্ছে বিকাশ। গ্রামীণ এবং শহুরে—দুই ক্ষেত্রেই সমানভাবে ব্যবহারযোগ্য এই প্ল্যাটফর্মে আপনি মুহূর্তেই টাকা পাঠাতে, রিসিভ করতে ও বিভিন্ন বিল পরিশোধ করতে পারেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম, কিভাবে টাকা পাঠাবেন এবং এর বিস্তারিত সুবিধা ও পরিসংখ্যান।
✅বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ও টাকা পাঠানোর পদ্ধতিঃ
✅ বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়মঃ
১। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এবং একটি বৈধ মোবাইল নম্বর (যেমন: রবি, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ইত্যাদি) নিয়ে নিকটস্থ বিকাশ এজেন্টে যান।
আরো পড়ুনঃ
২। . বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্ম পূরণ করতে হবে।
৩। আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন হয়।
৪। সফলভাবে অ্যাকাউন্ট খোলার পর বিকাশ থেকে একটি কনফার্মেশন মেসেজ আসবে।
৫। তারপর PIN নম্বর সেট করে অ্যাকাউন্ট চালু করুন।
💸 বিকাশে টাকা পাঠানোর পদ্ধতি:
১। বিকাশ অ্যাপ বা ডায়াল করুন: *247#।
২। অপশন থেকে "Send Money" নির্বাচন করুন।
৩। প্রাপকের মোবাইল নম্বর, পরিমাণ (Amount) ও PIN নম্বর দিন।
৪। কনফার্ম করলে টাকা পাঠানো সম্পন্ন হবে।
বি.দ্র.: বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করলে আরও সহজ ও দ্রুত লেনদেন করা যায়।
✅ বিকাশ একাউন্ট কি, বিকাশ একাউন্ট এতো গুরুত্বপূর্ণ কেন
বিকাশ একাউন্ট কিঃ বিকাশ একাউন্ট হলো একটি মোবাইল ভিত্তিক আর্থিক সেবা, যার মাধ্যমে আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা পাঠানো, গ্রহণ, বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, অনলাইন পেমেন্টসহ নানা ধরনের লেনদেন করতে পারেন। বিকাশ একাউন্ট খুলতে আপনার একটি মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), এবং একটি ছবি প্রয়োজন হয়। এই সেবাটি বাংলাদেশে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড-এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
বিকাশ একাউন্ট এত গুরুত্বপূর্ণ কেনঃ বিকাশ একাউন্ট গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কিছু কারণ নিচে তুলে ধরা হলোঃ
১. ব্যাংকিং সুবিধা সবখানে পৌঁছানোঃ বাংলাদেশের গ্রামীণ ও দুর্গম অঞ্চলের মানুষ যাঁরা ব্যাংকিং সুবিধা থেকে বঞ্চিত, তারা সহজেই বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেন করতে পারেন।
২. নগদ টাকা বহনের ঝুঁকি হ্রাসঃ বিকাশ অ্যাকাউন্ট থাকলে নগদ অর্থ বহন করার প্রয়োজন হয় না। মোবাইল থেকেই সহজে নিরাপদে টাকা পাঠানো যায় বা গ্রহণ করা যায়।
৩. ২৪/৭ সেবা পাওয়া যায়ঃ বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে টাকা লেনদেন করা যায়। ব্যাংকের মত নির্দিষ্ট সময় বা ছুটির দিনে বন্ধ থাকার বাধা নেই।
৪. বিল পেমেন্ট ও রিচার্জ সহজে হয়ঃ বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট, ডিশ লাইন, কিংবা মোবাইল রিচার্জ—সব কিছুই বিকাশ থেকে করা যায়।
৫. অনলাইন কেনাকাটায় পেমেন্টঃ বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে আপনি অনলাইন শপে কেনাকাটা করে সরাসরি পেমেন্ট করতে পারেন, যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক।
৬. স্কলারশিপ ও সরকারি সহায়তাঃ বিভিন্ন সরকারি ভাতা, বৃত্তি এবং সহায়তা এখন সরাসরি বিকাশ একাউন্টে পাঠানো হয়, যা সহজে এবং দ্রুত গ্রাহকের কাছে পৌঁছে।
৭. অতিরিক্ত নিরাপত্তা ও পিন কোডঃ বিকাশে লেনদেনের জন্য ব্যক্তিগত গোপন পিন ব্যবহার হয়, যা একাউন্টকে সুরক্ষিত রাখে।
৮. ক্যাশ আউট সুবিধাঃ আপনি চাইলে বিকাশ থেকে টাকা তুলতেও পারেন দেশের যেকোনো এজেন্ট বা এটিএম বুথ থেকে।
৯. সঞ্চয় এবং ঋণ সুবিধাঃ বর্তমানে বিকাশে ছোট সঞ্চয় ও ক্ষুদ্র ঋণের সুবিধাও যোগ হয়েছে, যা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
বিকাশ একাউন্ট বাংলাদেশের আর্থিক খাতে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। এটি শুধু একটি মোবাইল ওয়ালেট নয়, বরং কোটি মানুষের হাতে একটি সহজ, নিরাপদ ও সর্বজনগ্রাহ্য ডিজিটাল ব্যাংকিং মাধ্যম। যার ফলে দেশের অর্থনীতি আরও গতিশীল হচ্ছে এবং ডিজিটাল লেনদেনের অভ্যাস গড়ে উঠছে। আপনি যদি এখনো বিকাশ একাউন্ট না খুলে থাকেন, তাহলে এখনই এটি খোলার কথা ভাবতে পারেন — কারণ ভবিষ্যতের লেনদেন হবে পুরোপুরি ডিজিটাল!
🏦 বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য যা যা প্রয়োজন
বিকাশ একাউন্ট খুলতে আপনাকে নিচের কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবেঃ
✅ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), একটি বৈধ মোবাইল নাম্বার (যেটি রবি, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, টেলিটক যেকোনো হতে পারে), এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি (প্রয়োজনে), আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের জন্য)।
বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য যা যা প্রয়োজন (আপডেটেড ২০২৫ অনুযায়ী)ঃ
বিকাশ একাউন্ট খুলতে হলে নিচের জিনিসগুলো অবশ্যই প্রয়োজনঃ
✅ ১. জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)ঃ ১৮ বছরের বেশি বয়স হতে হবে। স্মার্ট কার্ড বা ১০ ডিজিটের পুরানো এনআইডি গ্রহণযোগ্য।
✅ ২. নিজ নামের একটি মোবাইল নম্বর (রবি, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, টেলিটক)ঃ যে সিমটি ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট খোলা হবে, সেটি অবশ্যই রেজিস্টার্ড হতে হবে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী। একটি এনআইডি দিয়ে শুধুমাত্র একটি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়।
✅ ৩. নিজের একটি মুখের ছবি (Live Photo)ঃ বিকাশ এজেন্ট বা অ্যাপে একাউন্ট খোলার সময় আপনার একটি লাইভ ছবি তোলা হবে। NID এর সাথে এই ছবির ম্যাচিং প্রয়োজন।
✅ ৪. বিকাশ অ্যাপ (অপশনাল কিন্তু সহায়ক)ঃ প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে “bKash” অ্যাপ ডাউনলোড করে নিজেই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।অ্যাপে NID ও ফেস ভেরিফিকেশন করেই একাউন্ট খোলা যায়।
🔐 নিরাপত্তা:ঃ একাউন্ট খোলার সময় একটি গোপন পিন (PIN) সেট করতে হবে, যা ৫ ডিজিটের হবে। এটি সব লেনদেনের জন্য প্রয়োজন হবে।
📍 কোথায় খোলা যায়ঃ ১। বিকাশ এজেন্ট দোকানে গিয়ে, ২। নিজে “bKash” অ্যাপ ব্যবহার করে।
৩।নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকের মাধ্যমে (যেখানে বিকাশ সেবা চালু আছে)।
📌 অতিরিক্ত তথ্যঃ একাউন্ট খোলার কোনো ফি নেই। একাউন্ট খোলার পর আপনি টাকা পাঠানো, ক্যাশ আউট, রিচার্জ, বিল পেমেন্ট, অনলাইন পেমেন্টসহ আরও অনেক সুবিধা পাবেন। বোনাস অফার বা ক্যাশব্যাক অফার মাঝে মাঝে চালু থাকে নতুন একাউন্টে।
📌 বিকাশ একাউন্ট খোলার ধাপসমূহ
ধাপ ১: নিকটবর্তী বিকাশ এজেন্ট দোকানে যান। যেকোনো বিকাশ এজেন্ট দোকানে গিয়ে বলুন আপনি নতুন একাউন্ট খুলতে চান।
ধাপ ২: জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানঃ আপনার এনআইডি এবং মোবাইল নাম্বার দিন। এজেন্ট এটি বিকাশ অ্যাপে ব্যবহার করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করবেন।
ধাপ ৩: বায়োমেট্রিক যাচাইঃ আপনার আঙুলের ছাপ দিয়ে এনআইডি যাচাই করা হবে।
ধাপ ৪: বিকাশ থেকে কনফার্মেশন এসএমএস। যখন একাউন্ট খোলা সম্পূর্ণ হবে, তখন একটি কনফার্মেশন এসএমএস পাবেন।
ধাপ ৫: পিন সেট করাঃ সরাসরি *247# ডায়াল করে বিকাশ মেনুতে গিয়ে পিন সেট করুন।
✅ অভিনন্দন! আপনি এখন বিকাশ ব্যবহার শুরু করতে পারেন
📤 বিকাশে কিভাবে টাকা পাঠাবেন (Send Money)
বিকাশে টাকা পাঠানো বা “Send Money” অপশনটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত একটি ফিচার।
📲 মোবাইল অ্যাপ থেকে টাকা পাঠানোর ধাপঃ ১। . বিকাশ অ্যাপ ওপেন করুন, ২। “Send Money” বাটনে ক্লিক করুন, ৩। যার কাছে টাকা পাঠাবেন তার নম্বর টাইপ করুন৪। ৪। এমাউন্ট (পরিমাণ) টাইপ করুন ৫। রেফারেন্স (যদি প্রয়োজন হয়) ৬। আপনার পিন দিয়ে কনফার্ম করুন।
🟢 বিকাশে কিভাবে টাকা পাঠাবেন – বিস্তারিত গাইডঃ
💡 বিকাশ (bKash) হলো বাংলাদেশের একটি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, যার মাধ্যমে সহজেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা পাঠানো, গ্রহণ করা, বিল পরিশোধ, রিচার্জ, পেমেন্ট সহ বিভিন্ন লেনদেন করা যায়। এই লেখায় আমরা বিকাশে কিভাবে টাকা পাঠাবেন, ধাপে ধাপে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করব।
📝 বিকাশে টাকা পাঠানোর উপায়ঃ বিকাশে টাকা পাঠানোর তিনটি প্রধান উপায় রয়েছেঃ ১। . bKash অ্যাপ ব্যবহার কর, ২। *USSD কোড 247# ডায়াল করে (ইন্টারনেট ছাড়াই), ৩। বিকাশ এজেন্ট/রিটেইলারের মাধ্যমে।
✅ ১. bKash অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা পাঠানোর পদ্ধতিঃ
📲 ধাপসমূহঃ ১। bKash অ্যাপে লগইন করুন। ২। হোম স্ক্রিন থেকে “Send Money” নির্বাচন করুন।
৩। যাকে টাকা পাঠাতে চান, তার বিকাশ নম্বরটি লিখুন। ৪। পরিমাণ (Amount) লিখুন (যত টাকা পাঠাতে চান)। ৫। যদি ইচ্ছা করেন, একটি Reference লিখতে পারেন (যেমন: Gift, Salary)। ৬। পরবর্তী ("Next") বোতামে চাপ দিন। ৭। আপনার বিকাশ পিন (PIN) দিয়ে লেনদেনটি কনফার্ম করুন।
💡 ট্রান্সফার শেষ হলে একটি কনফার্মেশন ম্যাসেজ পাবেন এবং SMS ও নোটিফিকেশন আসবে।
✅ ২. *247# ব্যবহার করে (ইন্টারনেট ছাড়াই) টাকা পাঠানোর নিয়মঃ যদি আপনার স্মার্টফোন না থাকে বা bKash অ্যাপ ব্যবহার না করেন, তাহলে *247# ডায়াল করে সহজেই টাকা পাঠাতে পারেন।
📞 ধাপসমূহঃ ১। মোবাইলের ডায়ালারে গিয়ে টাইপ করুন *247# এবং কল বাটনে চাপ দিন। ২। মেনু থেকে "3. Send Money" অপশনটি নির্বাচন করুন। ৩। প্রাপকের বিকাশ নম্বর লিখুন। ৪। পাঠাতে চান এমন টাকা লিখুন।৫। একটি রেফারেন্স দিন (ইচ্ছাধীন)। ৬। আপনার বিকাশ PIN লিখে কনফার্ম করুন। ৭। একটি Successful Transaction Message দেখাবে।
✅ ৩. বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠানোঃ যাদের নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্ট নেই বা মোবাইল ব্যবহার করতে পারছেন না, তারা নিকটস্থ বিকাশ এজেন্ট দোকানে গিয়ে টাকা পাঠাতে পারেন।
🏪 করণীয়ঃ ১। এজেন্টকে যে নম্বরে টাকা পাঠাতে চান তা বলুন। ২। টাকা দিন এবং প্রয়োজনে আইডি কার্ড দেখাতে হতে পারে। ৩। এজেন্ট টাকা পাঠাবে এবং একটি কনফার্মেশন SMS পাবেন।
🛡️ বিকাশে টাকা পাঠানোর সময় সতর্কতাঃ প্রাপকের সঠিক বিকাশ নম্বর দিন – ভুল নম্বরে টাকা গেলে ফেরত আসা কঠিন। লেনদেন শেষ হলে SMS কনফার্মেশন দেখে নিন। PIN কারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না। প্রয়োজনে বিকাশ হেল্পলাইন: 16247
💸 বিকাশে টাকা পাঠানোর চার্জ (2025 অনুযায়ী)
পরিমাণ (টাকা) চার্জ (TK) মন্তব্য
যেকোনো পরিমাণ ৫ টাকা প্রতি ১০০০ টাকায় (Send Money সাধারণত ফ্রি থাকে নিজস্ব একাউন্টে বা অ্যাপ থেকে অ্যাপে) বিকাশ অ্যাপ থেকে Send Money বেশিরভাগ সময় ফ্রি
📌 মার্কেটপ্লেস বা মার্চেন্টে টাকা পাঠালে পেমেন্টে কোন চার্জ নেই।
📊 পরিসংখ্যান ও তথ্য (2024 পর্যন্ত)ঃ বাংলাদেশে ৪ কোটির বেশি বিকাশ একাউন্ট আছে।
প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি+ লেনদেন হচ্ছে বিকাশে। ২০২4 সালে বিকাশে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৳৩.৫ লাখ কোটি টাকার বেশি।
🧾বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানো এখন অনেক সহজ, দ্রুত এবং নিরাপদ। আপনি যদি স্মার্টফোন ব্যবহার করেন তাহলে অ্যাপ থেকেই টাকা পাঠাতে পারবেন। আর সাধারণ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা *247# কোড ব্যবহার করেও সহজে টাকা পাঠাতে পারবেন। ✅ বিকাশ ব্যবহার করে টাকা পাঠাতে সময় লাগে মাত্র কয়েক সেকেন্ড, এবং লেনদেনের প্রমাণও সঙ্গে সঙ্গে মেসেজ আকারে পেয়ে যাবেন।
🔖 আপনার সুবিধার্থেঃ বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড লিংক: https://www.bkash.com/app। হেল্পলাইন: 16247
📞 USSD কোড দিয়ে টাকা পাঠানো (ইন্টারনেট ছাড়াই)
১। *247# ডায়াল করুন, ২। “৩” নম্বর অপশন “Send Money” সিলেক্ট করুন, ৩। নম্বর লিখুন, ৪। টাকা লিখুন, ৫। রেফারেন্স দিন, ৬। পিন দিয়ে কনফার্ম করুন। ইন্টারনেট ছাড়াই USSD কোড ব্যবহার করে বিকাশে টাকা পাঠানোর সহজ পদ্ধতিঃ
আপনি যদি স্মার্টফোন ব্যবহার না করেন বা ইন্টারনেট না থাকে, তবুও আপনি *USSD কোড (247#) ব্যবহার করে সহজেই বিকাশে টাকা পাঠাতে পারেন। নিচে ধাপে ধাপে পুরো প্রক্রিয়াটি দেওয়া হলোঃ
✅ ধাপে ধাপে বিকাশে টাকা পাঠানোর পদ্ধতি (USSD কোড ব্যবহার করে)
১। ডায়াল করুনঃ আপনার মোবাইল ফোন থেকে *247# ডায়াল করুন।
২। মেনু থেকে অপশন নির্বাচন করুনঃ বিকাশ মেনু আসবে। এখানে নিচের মতো অপশন দেখতে পাবেনঃ ১। সেন্ড মানি, ২। মোবাইল রিচার্জ ৩। ক্যাশ আউট ৪। পেমেন্ট ৫। রেমিট্যান্স ... ইত্যাদি।
৩।Send Money সিলেক্ট করুন:ঃ Send Money করতে হলে ১ চাপুন।
৪। প্রাপক নম্বর দিনঃ যার কাছে টাকা পাঠাতে চান, তার ১১ ডিজিটের বিকাশ নাম্বার দিন।
৫। টাকার পরিমাণ লিখুনঃ আপনি কত টাকা পাঠাতে চান, তা লিখুন (যেমন: ১০০০)।
৬। রেফারেন্স দিন (ঐচ্ছিক)ঃ আপনি চাইলে একটি রেফারেন্স দিতে পারেন (যেমন: ভাড়া, বোনাস, উপহার)। না চাইলে ১ চাপুন।
৭। পিন নম্বর দিনঃ আপনার বিকাশ পিন (৪ ডিজিট) দিয়ে নিশ্চিত করুন।
৮। সফল লেনদেনের কনফার্মেশনঃ টাকা পাঠানো হলে আপনি একটি SMS কনফার্মেশন পাবেন এবং স্ক্রিনেও Successful Transaction মেসেজ আসবে।
🧾 ধরি, আপনি ০১৭XXXXXXXX নম্বরে ৫০০ টাকা পাঠাতে চান, তাহলে করণীয়:, *247# ডায়াল করুন। ১ চাপুন (Send Money), ০১৭XXXXXXXX দিন, ৫০০ দিন, রেফারেন্স দিন (যদি না চান, ১ দিন) পিন দিন, সফলভাবে লেনদেন সম্পন্ন।
ℹ️ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ এই সার্ভিসটি ২৪/৭ চালু থাকে। ইন্টারনেট বা স্মার্টফোন প্রয়োজন নেই। গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল – সব অপারেটরেই কাজ করে ট্রানজ্যাকশন ফি নির্ভর করে পরিমাণের ওপর (সাধারণত ৫-১০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে)।
✅ USSD এর সুবিধাসমূহঃ যেকোনো সময় টাকা পাঠানো যায়, ইন্টারনেট বা অ্যাপের ঝামেলা নেই। গ্রামাঞ্চলে বা নেটওয়ার্ক দুর্বল স্থানে খুব কার্যকর। দ্রুত ও নিরাপদ লেনদেন। নোট: আপনার বিকাশ একাউন্ট অ্যাক্টিভ থাকতে হবে এবং পিন মনে থাকতে হবে।
💰 বিকাশ ট্রানজ্যাকশন চার্জ কত (সর্বশেষ হালনাগাদ)
সেবা চার্জ সীমা
সেন্ড মানি (ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি)ফ্রি সর্বোচ্চ দিনে ২৫,০০০ টাকা
ক্যাশ আউট (এজেন্ট থেকে) প্রতি ১,০০০ টাকায় ১৮.৫০ টাকা দিনে সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকা
রিচার্জ / পেমেন্ট ফ্রি সীমাবদ্ধতা নেই
উল্লেখ্য: মার্চেন্ট পেমেন্ট সম্পূর্ণ ফ্রি।
📊 বিকাশের পরিসংখ্যান ও জনপ্রিয়তা (২০২৫)
✅ ৩ কোটিরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী
✅ দৈনিক গড় লেনদেন: ১০০০ কোটি টাকার বেশি
✅ প্রায় ১২ লাখ+ এজেন্ট পয়েন্ট সারা দেশে
✅ মোবাইল ব্যাংকিং খাতে বিকাশ একাই ৪৭% বাজার দখল করে আছে – বাংলাদেশ ব্যাংক (২০২৪)
🎯 বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করার সুবিধাসমূহ
১. দ্রুত লেনদেনঃ মুহূর্তেই টাকা পাঠানো এবং গ্রহণ করা যায়।
২. সহজ ও নিরাপদঃ বায়োমেট্রিক যাচাই ও পিনভিত্তিক সুরক্ষা।
আরো পড়ুনঃ
৩. বিল পরিশোধঃ বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ইন্টারনেট, শিক্ষা ফি প্রভৃতি পরিশোধ সহজে করা যায়।
৪. মোবাইল রিচার্জঃ যেকোনো সিমে রিচার্জ করা যায় ২৪/৭।
৫. অনলাইন পেমেন্টঃ ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং পেমেন্টসহ নানা অনলাইন পরিষেবায় বিকাশ ব্যবহারযোগ্য।
৬. ঋণ ও সঞ্চয় সুবিধাঃ বিকাশ অ্যাপ থেকেই পাওয়া যাচ্ছে সঞ্চয় ও মাইক্রো লোন পরিষেবা।
🔐 বিকাশ ব্যবহারে সতর্কতা
আপনার পিন কখনো কারো সাথে শেয়ার করবেন না। সন্দেহজনক লেনদেন থেকে সাবধান থাকুন। বিকাশের অফিসিয়াল অ্যাপ ছাড়া অন্য কোনো অ্যাপ ব্যবহার করবেন না। লেনদেনের পর সবসময় এসএমএস কনফার্মেশন দেখুন। বিকাশ ব্যবহারে সতর্কতা: যা জানা জরুরিঃ
বিকাশ বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (MFS)। এর মাধ্যমে সহজেই টাকা লেনদেন, বিল প্রদান, রিচার্জ, বেতন প্রদান ইত্যাদি কাজ করা যায়। তবে এই সুবিধার পাশাপাশি কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি, যাতে প্রতারণা বা আর্থিক ক্ষতির শিকার না হতে হয়।
🔒 বিকাশ ব্যবহারে সতর্কতা ও নিরাপত্তামূলক পরামর্শ
১. পিন নম্বর গোপন রাখুনঃ কখনোই আপনার বিকাশ পিন কারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না—even পরিচিত মানুষদের সাথেও না। কোনো ব্যক্তি যদি নিজেকে বিকাশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে পিন চায়, তাও দেবেন না।
২. অফিশিয়াল নম্বর যাচাই করুনঃ বিকাশের অফিসিয়াল নম্বর ব্যতীত অন্য কোনো নম্বর থেকে ফোন এলে সতর্ক থাকুন। বিকাশের অফিসিয়াল নম্বর: 16247 এবং এসএমএস নম্বর: bKash (বিকাশ)।
৩. প্রলোভন বা লটারি জয়ের ফাঁদে পা দেবেন নাঃ "আপনি লটারি জিতেছেন", "আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে" ইত্যাদি এসএমএস বা কলের মাধ্যমে প্রতারণা করা হয়।এই ধরনের প্রলোভনে পা দিলে আপনার অ্যাকাউন্ট খালি হয়ে যেতে পারে।
৪. লেনদেন শেষ হলে এসএমএস যাচাই করুনঃ লেনদেন সম্পন্ন হওয়ার পর এসএমএসে প্রাপ্ত তথ্য মিলিয়ে নিন। যদি সন্দেহ হয়, তাহলে বিকাশ অ্যাপ বা *247# চেক করে নিশ্চিত হন।
৫. সন্দেহজনক অ্যাপে বিকাশ পিন প্রবেশ করবেন নাঃ ভুয়া অ্যাপ বা অনির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটে আপনার বিকাশ তথ্য, পিন বা OTP প্রবেশ করবেন না।
৬. বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেশি টাকা জমা রাখার ক্ষেত্রে সতর্কতাঃ ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য বিকাশে অপ্রয়োজনীয় টাকা জমা না রাখাই ভালো। বড় অংকের লেনদেন করলে অডিট ট্রেইল রাখুন।
৭. অ্যাকাউন্টে অচেনা টাকা এলে সতর্ক থাকুনঃ যদি আপনার অ্যাকাউন্টে ভুল করে টাকা আসে, তার ব্যাপারে বিকাশ হেল্পলাইনে যোগাযোগ করুন। টাকা ফেরত না দিয়ে নিজের কাজে খরচ করলে তা আইনত অপরাধ হতে পারে।
৮. অফিশিয়াল অ্যাপ ও সেবা ব্যবহার করুনঃ বিকাশের অফিসিয়াল অ্যাপ (Google Play Store বা App Store থেকে) ব্যবহার করুন। তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থেকে বিকাশ পরিচালনা করা বিপদজনক।
📞 জরুরি প্রয়োজনে যেভাবে বিকাশের সাথে যোগাযোগ করবেনঃ হেল্পলাইন: 16247, ওয়েবসাইট: www.bkash.com, অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ: facebook.com/bkashlimited।
🛡️বিকাশ আমাদের জীবনে মোবাইল ব্যাংকিংকে সহজ ও নিরাপদ করে তুলেছে। তবে আপনার সতর্কতাই আপনার অর্থের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। মনে রাখুন, সচেতনতাই সর্বোত্তম প্রতিরোধ।
📋 লেখকের শেষ কথাঃ বিকাশ কি, বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম, বিকাশে কিভাবে টাকা পাঠাবেন
বর্তমান সময়ে দ্রুত, নিরাপদ ও সহজভাবে অর্থ লেনদেনের জন্য বিকাশ একটি বিশ্বস্ত মাধ্যম। আপনি যদি এখনো বিকাশ অ্যাকাউন্ট না খুলে থাকেন, তবে এখনই খুলে নিন এবং প্রযুক্তির এই যুগে স্মার্ট আর্থিক ব্যবস্থাপনার অংশ হোন। টাকা পাঠানো থেকে শুরু করে বিল পরিশোধ, রিচার্জ, অনলাইন পেমেন্ট—সবকিছু এক জায়গায়। তথ্য-প্রযুক্তির এই অগ্রগতিতে বিকাশ আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী হতে পারে।
🙋♂️ আপনার যদি বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা বা টাকা পাঠানো নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে, নিচে কমেন্টে জানান বা বিকাশের হেল্পলাইন ১৬২৪৭-এ যোগাযোগ করুন।
আপনি এতক্ষণ উপরোক্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে অধ্যয়ন করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবা। আরো নতুন নতুন কনটেন্ট পেতে চাইলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত অনুসরণ করুন এবং পরিচিত জনদের সাথেশেয়ার করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url