ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বৈদেশিক রেমিটেন্স দ্রুত পাঠানোর নিয়ম

 ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে  বৈদেশিক রেমিটেন্স দ্রুত পাঠানোর নিয়ম

 ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে  বৈদেশিক রেমিটেন্স দ্রুত ও নিরাপদে পাঠানোর নিয়ম, সর্বশেষ তথ্য, পরিসংখ্যান, এবং প্রক্রিয়ার বিস্তারিত গাইড। এই আর্টিকেলটি আপনাকে টাকা পাঠানোর সহজ পদ্ধতি ও সুবিধাগুলো জানতে সাহায্য করবে।

আপনি যদি আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরুতেই শেষ পর্যন্ত অধ্যয়ন করুন এবং এখান থেকে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করুন। ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রেমিড্যান্স দ্রুত পাঠানোর নিয়ম এই বিষয়টি আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করে জানিয়ে দিন এবং আমাদের সাথে থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে  বৈদেশিক রেমিটেন্স দ্রুত পাঠানোর নিয়ম

ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে  বৈদেশিক রেমিটেন্স দ্রুত পাঠানোর নিয়ম
রেমিটেন্স কি, রেমিটেন্সের গুরুত্ত কি, রেমিটেন্স বাড়ানোর উপায়
ইসলামী ব্যাংকঃ  রেমিটেন্স সেবায় একটি বিশ্বস্ত নাম 
ইসলামী ব্যাংকঃ  রেমিটেন্স সেবায় একটি বিশ্বস্ত নাম 
ইসলামী ব্যাংকের রেমিটেন্স সেবার সুবিধা
ইসলামী ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান ও তথ্য
ইসলামী ব্যাংকের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার
ইসলামী ব্যাংকের সাধারণ সমস্যা ও সমাধান
লেখকের শেষ কথাঃ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে  বৈদেশিক রেমিটেন্স দ্রুত পাঠানোর নিয়ম

ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে  বৈদেশিক রেমিটেন্স দ্রুত পাঠানোর নিয়মঃ  বিস্তারিত গাইড

 বিশ্বায়নের এই যুগে  বৈদেশিক রেমিটেন্স বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠিয়ে পরিবার ও অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রাখছেন। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক, রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এই ব্যাংকটি দ্রুত, নিরাপদ, এবং শরিয়াহসম্মত রেমিটেন্স সেবা প্রদান করে, যা প্রবাসীদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়। ২০১৯, ২০২০, ২০২১, এবং ২০২২ সালে ।

আরো পড়ুনঃ 

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আহরণের জন্য গোল্ড রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।এই আর্টিকেলে আমরা ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রেমিটেন্স দ্রুত পাঠানোর নিয়ম, প্রক্রিয়া, সুবিধা, এবং সর্বশেষ তথ্য ও পরিসংখ্যান নিয়ে আলোচনা করব। এটি একটি এসইও ফ্রেন্ডলি, ওয়েবসাইটে প্রকাশের উপযোগী, এবং পাঠকবান্ধব নির্দেশিকা, যা আপনাকে রেমিটেন্স পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজে বুঝতে সাহায্য করবে। বৈদেশিক রেমিটেন্স শুরু করুন।

রেমিটেন্স কি, রেমিটেন্সের গুরুত্ব  কি, রেমিটেন্স বাড়ানোর উপায়

 রেমিটেন্স কীঃ রেমিটেন্স হলো প্রবাসী কর্মীদের দ্বারা তাদের দেশে পাঠানো অর্থ বা আর্থিক সহায়তা। এটি সাধারণত বিদেশে কর্মরত শ্রমিকরা তাদের পরিবার বা আত্মীয়দের জন্য পাঠায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে, রেমিটেন্স বলতে প্রধানত বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের পাঠানো অর্থকে বোঝায়, যা দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

রেমিটেন্সের গুরুত্বঃ ১। অর্থনৈতিক উন্নয়নঃরেমিটেন্স বাংলাদেশের জিডিপি’র একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ায়।আমদানি ব্যয় মেটাতে এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সহায়তা করে।.

২। পরিবারের আর্থিক স্থিতিশীলতাঃ প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ পরিবারের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করে।

৩। দারিদ্র্য হ্রাসঃ রেমিটেন্স গ্রামীণ অর্থনীতিতে অবদান রাখে এবং দারিদ্র্য হ্রাসে সহায়তা করে।

৪। বিনিয়োগ ও উদ্যোক্তা উন্নয়নঃ রেমিটেন্সের অর্থ ক্ষুদ্র ব্যবসা, কৃষি বা অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করা যায়, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।

৫। বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিশীলতাঃ রেমিটেন্স টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে এবং বৈদেশিক ঋণের চাপ কমাতে সহায়ক।

রেমিটেন্স বাড়ানোর উপায়ঃ ১। দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণঃ প্রবাসী শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা। দক্ষ শ্রমিকরা বিদেশে বেশি বেতনের চাকরি পান, ফলে রেমিটেন্স বাড়ে।কারিগরি শিক্ষা ও ভাষাগত দক্ষতা (যেমন, ইংরেজি, আরবি) উন্নত করা।

২। নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধানঃ বিশ্বের নতুন শ্রমবাজারে (যেমন, ইউরোপ, জাপান, অস্ট্রেলিয়া) প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করা।দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে শ্রম রপ্তানি বাড়ানো।

৩। অনানুষ্ঠানিক চ্যানেল নিয়ন্ত্রণঃ হুন্ডির মতো অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের ব্যবহার কমাতে ব্যাংকিং সুবিধা সহজলভ্য করা। রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য কম খরচে ও দ্রুত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম প্রচলন।

 ৪। প্রণোদনা ও সচেতনতাঃ প্রবাসীদের আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠাতে উৎসাহিত করতে প্রণোদনা (যেমন, বোনাস বা সুদের হার বৃদ্ধি) দেওয়া।প্রবাসীদের মধ্যে আর্থিক সাক্ষরতা বাড়ানো।

৫। আইনি ও নিরাপদ অভিবাসনঃ নিরাপদ ও আইনি অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজ করা এবং প্রতারণা রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা।

৬। ডিজিটাল ও প্রযুক্তিগত সুবিধাঃ মোবাইল ব্যাংকিং ও ফিনটেক সেবার মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করা।ব্লকচেইন প্রযুক্তির মতো উদ্ভাবনী পদ্ধতি ব্যবহার করে খরচ কমানো।

৭। প্রবাসীদের সাথে যোগাযোগ জোরদার: প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ বিনিয়োগ স্কিম চালু করা, যাতে তারা দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়।প্রবাসী সম্প্রদায়ের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ও সম্পর্ক উন্নয়ন।

রেমিটেন্স বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে। এটি বাড়ানোর জন্য সরকার, বেসরকারি খাত এবং প্রবাসী সম্প্রদায়ের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। দক্ষতা বৃদ্ধি, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং নতুন শ্রমবাজারে প্রবেশের মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো সম্ভব।যদি আরও বিস্তারিত তথ্য বা নির্দিষ্ট কোনো দিক জানতে চান, জানান!

ইসলামী ব্যাংকঃ  রেমিটেন্স সেবায় একটি বিশ্বস্ত নাম 

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ৬২৩টি শাখা, ২৩৬টি উপ-শাখা, এবং ২,৬৯৬টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট নিয়ে এটি দেশের বৃহত্তম ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে। রেমিটেন্স সেবায় এর অবদান অতুলনীয়, কারণ এটি বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় আহরণ করে।

 ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মোট রেমিটেন্সের প্রায় ৩০% ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে, যা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।ইসলামী ব্যাংকের রেমিটেন্স সেবা শুধু দ্রুত এবং নিরাপদই নয়, বরং শরিয়াহ নীতি মেনে পরিচালিত হয়, যা এটিকে ধর্মপ্রাণ মুসলিম প্রবাসীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে। এই ব্যাংক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত এক্সচেঞ্জ হাউস এবং ব্যাংকিং পার্টনারদের মাধ্যমে রেমিটেন্স সেবা প্রদান করে।

ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক রেমিটেন্স পাঠানোর প্রক্রিয়া

ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রেমিটেন্স পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ এবং দ্রুত। নিচে ধাপে ধাপে এই প্রক্রিয়া বর্ণনা করা হলোঃ 

১. ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট খোলাঃ রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য প্রথমে আপনার ইসলামী ব্যাংকে একটি একাউন্ট থাকা প্রয়োজন। একাউন্ট খোলার জন্য নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হবেঃ 

জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা পাসপোর্টের কপি, সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নমিনির তথ্য এবং ছবি, ঠিকানার প্রমাণপত্র (যেমন: ইউটিলিটি বিল)। একাউন্ট খোলার পর আপনি ইসলামী ব্যাংকের iBanking বা Cellfin অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খুলুন।

২. এক্সচেঞ্জ হাউস বা পার্টনার ব্যাংক নির্বাচনইসলামী ব্যাংক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত এক্সচেঞ্জ হাউস এবং আন্তর্জাতিক ব্যাংকের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে রেমিটেন্স সেবা প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপঃ মধ্যপ্রাচ্য: Al Rajhi Bank, Bank Albiladইউরোপ: MoneyGram, Western Union যুক্তরাষ্ট্র: Ria Money Transferএশিয়া: Singapore Exchange Houseআপনার অবস্থানের নিকটস্থ এক্সচেঞ্জ হাউসে গিয়ে ইসলামী ব্যাংকের একাউন্টে টাকা পাঠানোর জন্য তথ্য প্রদান করতে হবে।

৩. প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানঃ  রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য নিম্নলিখিত তথ্য প্রয়োজন:প্রেরকের নাম, ঠিকানা, এবং পরিচয়পত্র নম্বরপ্রাপকের নাম এবং ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট নম্বরব্যাংকের শাখার নাম এবং রাউটিং নম্বরটাকার পরিমাণ এবং মুদ্রা (যেমন: USD, EUR, SAR)ট্রানজেকশনের উদ্দেশ্য (যেমন: পারিবারিক সহায়তা)এক্সচেঞ্জ হাউস এই তথ্যের ভিত্তিতে একটি ইনভয়েস নম্বর প্রদান করবে, যা দিয়ে আপনি ট্রানজেকশনের অবস্থা ট্র্যাক করতে পারবেন।

৪. টাকা জমা দেওয়াঃ এক্সচেঞ্জ হাউসে নগদ টাকা জমা দিন বা আপনার বিদেশি ব্যাংক একাউন্ট থেকে ট্রান্সফার করুন। ইসলামী ব্যাংকের সাথে অংশীদারিত্ব থাকা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো সাধারণত ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে টাকা প্রাপকের একাউন্টে পৌঁছে দেয়।৫. ট্রানজেকশন ট্র্যাকিংইসলামী ব্যাংকের iBanking পোর্টাল বা Cellfin অ্যাপের মাধ্যমে আপনি বৈদেশিক রেমিটেন্সের অবস্থা ট্র্যাক করতে পারেন। এছাড়া, প্রাপক ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করে বা হেল্পলাইন নম্বরে (১৬২৫৯ বা +৮৮০২৮৩৩১০৯০) কল করে তথ্য জানতে পারেন।রেমিটেন্স ট্র্যাক করুন।

ইসলামী ব্যাংকের রেমিটেন্স সেবার সুবিধা

ইসলামী ব্যাংকের রেমিটেন্স সেবা ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা প্রদান করে, যা এটিকে অন্যান্য ব্যাংক থেকে আলাদা করেঃ 

১. শরিয়াহ সম্মত সেবাঃ  ইসলামী ব্যাংকের সমস্ত লেনদেন শরিয়াহ নীতি মেনে পরিচালিত হয়। এটি সুদমুক্ত ব্যাংকিং নিশ্চিত করে, যা ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য আকর্ষণীয়।

২. দ্রুত এবং নিরাপদঃ  ইসলামী ব্যাংকের রেমিটেন্স সেবা ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে টাকা পৌঁছে দেয়। এছাড়া, উন্নত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং এনক্রিপশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

৩. বিস্তৃত নেটওয়ার্কঃ  ইসলামী ব্যাংকের বিশ্বব্যাপী এক্সচেঞ্জ হাউস এবং ব্যাংকিং পার্টনারদের নেটওয়ার্ক রয়েছে, যা বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে টাকা পাঠানো সহজ করে।

৪. কম খরচঃ  অন্যান্য বৈদেশিক রেমিটেন্স সেবার তুলনায় ইসলামী ব্যাংকের ফি তুলনামূলক কম। উদাহরণস্বরূপ, মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর খরচ প্রায় ১-২%।

৫. ডিজিটাল সুবিধাঃ  ইসলামী ব্যাংকের iBanking এবং Cellfin অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসে রেমিটেন্স ট্র্যাক করতে, ব্যালেন্স চেক করতে, এবং লেনদেন করতে পারেন।

ইসলামী ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান ও তথ্য

বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট রেমিটেন্স প্রবাহ ছিল প্রায় ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে আসা রেমিটেন্স ছিল প্রায় ৬.৬ বিলিয়ন ডলার, যা মোট রেমিটেন্সের ৩০%। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান দেওয়া হলোঃ 

আরো পড়ুনঃ 

২০২৩ সালে রেমিটেন্স প্রবাহ: ২১.৮ বিলিয়ন ডলারঃ ইসলামী ব্যাংকের অবদান: ৬.৫ বিলিয়ন ডলারপ্রধান উৎস দেশ: সৌদি আরব (৩৫%), সংযুক্ত আরব আমিরাত (২০%), যুক্তরাষ্ট্র (১৫%), যুক্তরাজ্য (১০%)গড় ট্রানজেকশন সময়: ২৪-৪৮ ঘণ্টাগ্রাহক সন্তুষ্টি হার: ৯২% (ইসলামী ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ জরিপ অনুযায়ী)এই পরিসংখ্যানগুলো প্রমাণ করে যে ইসলামী ব্যাংক রেমিটেন্স সেবায় শীর্ষস্থানীয়।

ইসলামী ব্যাংকের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার

ইসলামী ব্যাংকের iBanking এবং Cellfin অ্যাপ রেমিটেন্স প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করেছে। নিচে এই প্ল্যাটফর্মগুলোর ব্যবহার পদ্ধতি দেওয়া হলোঃ 

iBankingরেজিস্ট্রেশন: ইসলামী ব্যাংকের ওয়েবসাইট (ibblportal.islamibankbd.com) থেকে iBanking-এ রেজিস্টার করুন। এজন্য একাউন্ট নম্বর এবং কাস্টমার আইডি প্রয়োজন।সেবা: ব্যালেন্স চেক, ট্রানজেকশন স্টেটমেন্ট, ফরেন TT (FTT) ট্র্যাকিং, এবং FDD পেমেন্ট স্ট্যাটাস চেক।ফান্ড ট্রান্সফার: iBanking-এর মাধ্যমে আপনি অন্য ব্যাংকে ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারেন।

Cellfin অ্যাপ ইনস্টলেশনঃ  গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে Cellfin অ্যাপ ডাউনলোড করুন।লগইন: মোবাইল নম্বর এবং একাউন্ট নম্বর দিয়ে লগইন করুন।সুবিধা: ব্যালেন্স চেক, ফান্ড ট্রান্সফার, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, এবং রেমিটেন্স ট্র্যাকিং। Cellfin অ্যাপ ডাউনলোড করুন।  

  ইসলামী ব্যাংকের সাধারণ সমস্যা ও সমাধান

রেমিটেন্স পাঠানোর সময় কিছু সাধারণ সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিচে এর সমাধান দেওয়া হলোঃ 

১. টাকা দেরিতে পৌঁছানো সমাধান: ইনভয়েস নম্বর ব্যবহার করে iBanking-এর মাধ্যমে ট্রানজেকশন ট্র্যাক করুন। প্রয়োজনে হেল্পলাইনে যোগাযোগ করুন (১৬২৫৯)।

২. ভুল একাউন্টে টাকা পাঠানোঃ সমাধান: ব্যাংকের শাখায় গিয়ে ভুল লেনদেনের বিষয়ে অভিযোগ করুন। সঠিক ডকুমেন্ট প্রদান করলে টাকা ফেরত পাওয়া সম্ভব।

৩. ট্রানজেকশন ফি বেশিঃ সমাধান: বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউসের ফি তুলনা করে সবচেয়ে কম খরচে সেবা নিন।

এসইও ফ্রেন্ডলি ডিজাইন টিপসঃ ওয়েবসাইটে এই আর্টিকেল প্রকাশের জন্য নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করুন:

কীওয়ার্ড: “ইসলামী ব্যাংক রেমিটেন্স”, “আন্তর্জাতিক রেমিটেন্স পাঠানোর নিয়ম”, “দ্রুত রেমিটেন্স সেবা”।

ইন্টারনাল লিঙ্ক: ব্যাংকের অন্যান্য সেবা (যেমন: একাউন্ট খোলা, লোন) সম্পর্কিত পেজে লিঙ্ক যুক্ত করুন।

ইমেজ: রেমিটেন্স প্রক্রিয়ার চিত্র, Cellfin অ্যাপের স্ক্রিনশট, এবং ব্যাংকের লোগো ব্যবহার করুন।

কল-টু-অ্যাকশনঃ  প্রতিটি বিভাগের শেষে বাটন যুক্ত করুন, যেমন “এখনই রেমিটেন্স পাঠান”।মোবাইল ফ্রেন্ডলি: আর্টিকেলটি মোবাইল ডিভাইসে সহজে পড়ার জন্য রেসপন্সিভ ডিজাইন নিশ্চিত করুন।

লেখকের শেষ কথাঃ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে  বৈদেশিক রেমিটেন্স দ্রুত পাঠানোর নিয়ম

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি  বৈদেশিক রেমিটেন্স সেবায় একটি বিশ্বস্ত নাম। এর শরিয়াহ সম্মত, দ্রুত, এবং নিরাপদ সেবা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য একটি আদর্শ পছন্দ। এই আর্টিকেলে আমরা রেমিটেন্স পাঠানোর ধাপ, সুবিধা, এবং সর্বশেষ পরিসংখ্যান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। 

ইসলামী ব্যাংকের iBanking এবং Cellfin অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসেই এই সেবা উপভোগ করতে পারেন। প্রবাসে থাকা প্রিয়জনদের কাছে টাকা পাঠাতে এখনই ইসলামী ব্যাংকের সেবা ব্যবহার শুরু করুন এবং আপনার অর্থ নিরাপদে দেশে পৌঁছে দিন। এখনই রেমিটেন্স পাঠান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url