ওয়েব ডেভেলোপমেন্ট এর মাধ্যমে লাখ টাকা ইনকাম


ওয়েব ডেভেলোপমেন্ট এর মাধ্যমে  লাখ টাকা ইনকাম






 



ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রিল্যান্সিং জগতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। এই সেক্টরের মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। সেই সাথে বেকার সমস্যারও সমাধান করা যায়। ওয়েব সার্ভারে রক্ষিত বিভিন্ন ডাটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে সফ্টওয়্যার তৈরি করে  মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হয় সেই প্রক্রিয়া   ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বলে।


ছবি



একটি ওয়েবসাইটকে প্রস্তুত করা থেকে শুরু  করে ইন্টারনেটে সচল করা পর্যন্ত বিভিন্ন কার্যকলাপকেই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বলে।  একটি  ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন প্রগ্রামিং বা  কোডিং এর  দারা মাধ্যমে প্রকাশ করে  পরিপুর্ণ প্রতিষ্ঠিত করাকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বলা হয়।


 পেজ সূচিপত্র: ওয়েব ডেভেলোপমেন্ট এর মাধ্যমে  লাখ টাকা ইনকাম

  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কত প্রকার ও কি কি
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট  কি কাজ করে
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্টের ভবিষ্যৎ কি
  • ওয়েব ডেভেলপারদের বেতন কত
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে কতদিন লাগে
  • একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার হতে কি কি জানতে হয়
  • নতুনদের জন্য ডেভেলপমেন্ট এর সেরা রোড ম্যাপ কোনটি
  • ওয়েব  ডেভেলপমেন্জটের জন্য কেমন কম্পিউটার দরকার
  • কিভাবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ার গড়তে পারি
  • সেরা ১০ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক
  • ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর পার্থক্য
  • আমাদের শেষ কথা

একজন ওয়েবডেভেলপারের কাজের  অভিজ্ঞতা

 একজন ওয়েবডেভেলপারকে বিভিন্ন  ধরনের কোডিং এর  ভাষা সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করতে হয় জ্ঞান অর্জন করতে হয়। যেমন--এইচটিএমএল, সিএসএস, পিএইচপি, জাভা স্ক্রিপ্ট  ইত্যাদি।  এইচটিএমএল কোন ওয়েবসাইটের গঠন প্রক্রিয়া বিষয়ে সহযোগিতা করে, সিএসএস ওয়েবসাইটকে কাস্টমাইজ করতে সহযোগিতা করে এবং জাভাস্ক্রিপ্ট  ওয়েবসাইটকে প্রাণবন্ত করে রাখে। 

আরো পড়ুন:

তারপর একজন ওয়েবডেভেলপারকে  ডাটাবেজ প্রস্তুত, ওয়েব ভিত্তিক সফটওয়্যার তৈরি, ওয়েবসাইটের রোডম্যাপ তৈরি, ডাটাবেইজ ব্যবস্থাপনা এবং ডিজাইনের সম্প্রসারণ সাধনে দক্ষ হতে হয়।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কত প্রকার

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট  ৩ প্রকার ।  (১) ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপার (২) ব্যাক এন্ড ডেভেলপার (৩) ফুল স্টাক ডেভেলপার। 

(১) ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপার 

(২)ব্যাক এন্ড ডেভেলপার

(৩) ফুল স্টাক ডেভেলপার

১) ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপার  

যে ধরনের প্রোগ্রামাররা এইচটিএমএল সিএসএস জাভা স্ক্রিপ্ট ইত্যাদির নেয় প্রোগ্রামের ভাষা দ্বারা ওয়েব পেজ ইত্যাদি ডিজাইন করে এই ধরনের ওয়েবসাইট ডিজাইনকে ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট বলে। এটাকে গ্রাহক সাইড ডেভলপার বলা যায়। একজন ফ্রন্ট এন্ড ডেভলপার ওয়েবসাইটের ডিজাইন এবং থিম তৈরির জন্য কোডিং ব্যবহার করে যদি আপনি আপনার এড্রেস বারে একটু ওয়েবসাইটের এড্রেস দেন তখন যে ওয়েব পেজ সামনে আসে ওই ওয়েবসাইটের থিমকে ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপার বলে।

(২) ব্যাক এন্ড ডেভেলপার

যে ওয়েব ডেভলপার স্ট্যাটিক ওয়েবপেজ কে আধুনিক ওয়েব পেজে পরিবর্তন করে করে তাকে ব্যাগ এন্ড ওয়েব ডেভলপার বা ব্যাক এন্ড ডেভলপার বলে। একজন ব্যাক এন্ড ডেভলপার আধুনিক ওয়েবপেজকে প্রস্তুত করার কর্মকৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করে থাকে। 

একজন ব্যাট এন্ড ডেভলপার সার্ভার দিক কে ল্যাংগুয়েজ এবং আরডিবিএমএস ব্যবহার করে আধুনিক ওয়েব পেজ তৈরি করে। ব্যাক এন্ড ওয়েব ডেভেলপার ফ্রন্ট এন্ড প্রস্তুতকৃত স্ট্যাটি ক ওয়েবপেজ বা ওয়েব ডিজাইনারের প্রস্তুতকৃত স্ট্যাটিক ওয়েবপেজকে আধুনিক পরিবর্তন করে।

(৩) ফুল স্টাক ডেভেলপার

ফুল ইস্টেক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সিলেবাসটি ওয়েব এর একটি সম্পূর্ণ কোর্স। একটি ওয়েবসাইটের সম্পূর্ণ ডিজাইন থেকে আরম্ভ করে এর ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট, গ্রহণ করা

সবকিছু শিক্ষা দেওয়া এই কোর্সের কাজ। প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এইচটিএমএল সিএসএস বুটস্ট্র্যাপ যেকুয়েরি। ব্যাক এন্ড অংশে থাকে পিএইচপি ও ও পি এবং মাই এস কিউ এল।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট  কি কাজ করে

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের অনেক কাজ আছে। একটি ওয়েবসাইটকে প্রস্তুত করা থেকে আরম্ভ করে ইন্টারনেটে জীবন্ত করা পর্যন্ত যে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয় সেই কার্যক্রম গুলিকে একসঙ্গে সমন্বয় করাই ডেভেলপমেন্টের কাজ। একটি ওয়েব সার্ভারে সঞ্চিত ও সংরক্ষিত তথ্য ও প্রাপ্ত ইন্টারনেট এবং ওয়েব ব্রাউজারের সাহায্যে দর্শনযোগ্য করার কার্যক্রমই হলো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট একটি বহুল জনপ্রিয় পেশা। এ পেশার মাধ্যমে অনেক বেকার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। যে কেউ, যে কোন ব্যক্তি ওয়েবসাইট তৈরি করে ওয়েবসাইটের ডিজাইন বা চিত্র অনুসরণ করে গ্রাহকের ভাষা গুলো ব্যবহার করে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করতে পারে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের ভবিষ্যৎ চাহিদা কেমন 

ফ্রিল্যান্সিং জগতে যারা কাজ করে এবং যে সকল পদ্ধতি অনুসরণ করে তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রিয় সেক্টর হল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সেক্টর । এই সেক্টরের বর্তমান চাহিদা থেকে বোঝা যায় এর ভবিষ্যৎ কত উজ্জ্বল। বর্তমানে বিভিন্ন বিজনেস কোম্পানিগুলি ডিজিটালাইজেশনের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে বিভিন্ন প্রোগ্রাম সেট করছে।

আমরা প্রতিনিয়তই মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে নানা ধরনের ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে থাকি. যা আমাদের চারদিকে সবখানেই প্রযুক্তির তথ্য-উপাত্ত বিদ্যমান এবং পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের লিংক। ফলে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে আধুনিক যুগে অনলাইন ভিত্তিক যত কার্যক্রম ও সেবা তৈরি করা হয়েছে তা গত পাঁচ বছর পূর্বেও এই সুযোগ-সুবিধা ছিল না।

আজ মুদির দোকান থেকে আরম্ভ করে বড় বড় প্রতিষ্ঠান গুলো ওয়েব ডেভলপারের সরণাপন্ন হচ্ছে।এজন্য ওয়েব ডেভেলপমেন্টের বিকল্প বর্তমান যুগে খুজে পাওয়া কষ্টকর ।

ওয়েব ডেভেলপারদের বেতন কত 

ওয়েব ডেভেলপারদের বেতন কত এ নিয়ে আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে। আসলে এটি একটি আপেক্ষিক বিষয়। কারণ ওয়েব ডেভেলপারদের মাসিক আয় তাদের কাজের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব ও চাহিদার উপর নির্ভর করে। নতুন অবস্থায় কোন ডেভলপারের সাধারণত মাসিক বেতন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা হতে পারে। 

আরো পড়ুন:

আবার অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভরকরে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। সুন্দর পোর্টফোলিযও হলে এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারলে এ পেশায় মাসে এক থেকে দুই লক্ষ টাকার উপরে উপার্জন করা সম্ভব। বেতন কাঠামো নির্ভর করে কোম্পানি টু কোম্পানির উপর । আবার ফুল টাইম এবং পার্ট টাইম দুই ধরনের জব আছে । এই দুই ধরনের সার্ভিসের বেতন কাঠামো আবার ভিন্ন ভিন্ন হয়।

একজন নবাগত ওয়েব ডেভলপার যে বেতন পায় তার থেকে অভিজ্ঞ এবং দক্ষ ওয়েব ডেভলপার কয়েক গুণ বেশি বেতন পায়। বাংলাদেশে এক রেঞ্জের বেতন কাঠামো আবার বিদেশে এর চেয়ে অনেক বেশি রেঞ্জের বেতন পাওয়া যায়। তাই ডেভেলপারের বেতন কাঠামো কোম্পানি টু কোম্পানি ভেরি করে আবার দেশ টু দেশও নির্ভর করে।


ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে কতদিন লাগে 

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে কত সময় লাগবে সেটা নির্ভর করে আপনার লক্ষ্য, শিক্ষার গতিপ্রকৃতি এবং আপনার সময় ব্যয় এর উপর । বেসিক জ্ঞান অর্জন করতে যেমন-- এইচটিএমএল,  সিএসএস এবং জাভাস্ক্রিপ্ট শিখতে এক থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে, তাও প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় দিতে হবে।

 ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট শিখতে তিন থেকে ছয় মাস লাগতে পারে। এর মধ্যে আছে React,Vue,Bootstrap ইত্যাদি। ব্যাক এন্ড ডেভেলপমেন্ট শিখতে 6 থেকে 12 মাস সময় লাগতে পারে. সার্ভার, এ পি আই, এবং ডাটাবেজ নিয়ে কাজ করতে হলে আপনাকে আরো বেশি সময় দিতে হবে। ফুল স্ট্যাকেে এন্ড ডেভেলপমেন্ট যেমন-MERN, MEAN, LAMP Stack ইত্যাদি এক থেকে দুই বছর সময় লাগবে। ছয় মাস থেকে এক বছর নিয়মিত প্র্যাকটিস করলে প্রাথমিকভাবে একজন ওয়েব ডেভলপার হিসেবে কাজ শুরু করা যায়।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিক্ষা করার জন্য প্রতিদিন কোডিং প্র্যাকটিস করতে হবে। রিয়াল প্রজেক্ট তৈরি করুন, গিট হাব ব্যবহার করে প্রজেক্ট শেয়ার করুন এবং ফ্রিল্যান্সিং ইন্টার্নশিপ করতে পারেন।

একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার হতে কি কি জানতে হয়

একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে টেকনোলজি এবং স্কিল বিষয়ে অনেক জ্ঞান অর্জন করতে হয়। ওয়েব ডেভলপারকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়। ফ্রন্ট এন্ড এবং ব্যাক এন্ড ডেভলপ... ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত কিছু অভিজ্ঞতা যদি আপনার জানা থাকে তাহলে আপনি ভালো ওয়েব ডেভেলপার হতে পারবেন।

ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্টঃ এইচটিএমএল যা ওয়েব পেজের কাঠামো তৈরি করে, সিএসএস ওয়েব পেজের ডিজাইন ও লেআউট তৈরি করে, জাভা আইসক্রিমt ওয়েবসাইট কে ইন্টারেক্টিভ করতে সাহায্য করে, যে কুইরি পুরাতন প্রোজেক্টের জন্য প্রয়োজন হতে পারে।

ব্যাক এন্ড ডেভেলপমেন্টঃ ব্যাক এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের সার্ভার সাইড লজিক ও ডাটাবেজ পরিচালনা করা হয়। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন- জাভা স্ক্রিপ্ট, পাইথ্‌ পিএইচপি, জাভা, রুবাই অন রেইল।


ওয়েব  ডেভেলপমেন্টের জন্য কেমন কম্পিউটার দরকার

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জন্য খুব বেশি শক্তিশালী কম্পিউটার লাগবে না, তবে কিছু নির্দিষ্ট কনফিগারেশন থাকলে কাজ করা আরও সহজ ও দ্রুত হবে। নিচে ভালো পারফরম্যান্সের জন্য কিছু সুপারিশ দেওয়া হলোঃ

ন্যূনতম কনফিগারেশন (Entry-Level)

প্রসেসর (CPU): Intel Core i3 (10th Gen) বা AMD Ryzen 3

র‌্যাম (RAM): ৮GB

স্টোরেজ: ২৫৬GB SSD (HDD হলেও চলবে, তবে SSD হলে দ্রুত হবে)

ডিসপ্লে: ১৩-১৫.৬ ইঞ্চি, 1080p রেজোলিউশন

অপারেটিং সিস্টেম: Windows 10/11, macOS বা Linux

ইন্টারনেট: ভালো গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট কানেকশন

উন্নতমানের কনফিগারেশন (Mid to High-Level)

প্রসেসর: Intel Core i5/i7 (11th/12th Gen) বা AMD Ryzen 5/7

র‌্যাম: ১৬GB (React, Angular বা ভারী সফটওয়্যার চালাতে হলে)

স্টোরেজ: ৫১২GB SSD বা তার বেশি

গ্রাফিক্স: Integrated GPU যথেষ্ট, তবে ডিজাইন কাজ করলে NVIDIA GTX/RTX বা AMD Radeon ভালো হবে।

ডুয়াল মনিটর: একাধিক স্ক্রিনে কাজ করলে উৎপাদনশীলতা বাড়বে

অতিরিক্ত বিষয় যা কাজে লাগতে পারে:

ভালো ব্যাকলিট কিবোর্ড (রাতের বেলায় কোডিংয়ের জন্য)

ভালো ব্যাটারি লাইফ (যদি ল্যাপটপ হয়)

Linux সমর্থন (যদি সার্ভার এবং ডেভেলপমেন্ট এনভায়রনমেন্ট সেটআপ করতে হয়)

আপনার বাজেট এবং কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী কম্পিউটার বেছে নিতে পারেন। আপনি কী ধরনের ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (ফ্রন্টএন্ড, ব্যাকএন্ড, ফুলস্ট্যাক) করছেন কিনা ।

কিভাবে ওয়েবডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ার গড়তে পারি

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনাকে একটি সুসংগঠিত পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোতে হবে। এখানে ধাপে ধাপে গাইডলাইন দেওয়া হলোঃ

১। বেসিক জ্ঞান অর্জন করুন

প্রথমে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মৌলিক বিষয়গুলো শিখতে হবে:

HTML: ওয়েবপেজের স্ট্রাকচার তৈরি করতে লাগে

CSS: ওয়েবসাইট ডিজাইন ও লেআউট তৈরির জন্য

JavaScript: ওয়েবসাইটকে ইন্টারঅ্যাকটিভ করার জন্য

২। ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপমেন্ট শিখুন

ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপাররা ব্যবহারকারীদের জন্য আকর্ষণীয় ও ইন্টারঅ্যাকটিভ ওয়েবসাইট তৈরি করে। এর জন্য শিখতে হবেঃ

CSS Frameworks: Bootstrap, Tailwind CSS

JavaScript Frameworks: React.js, Vue.js, বা Angular

Version Control: Git, GitHub

৩। ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্ট শিখুন

যদি ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপার হতে চান, তাহলে ব্যাকএন্ড প্রযুক্তি শেখা জরুরিঃ

প্রোগ্রামিং ভাষা: Node.js (JavaScript), Python (Django/Flask), PHP (Laravel), Ruby on Rails

ডাটাবেজ: MySQL, PostgreSQL, MongoDB

API Development: REST API, GraphQL

৪ । প্রাকটিক্যাল প্রজেক্ট করুন

শুধু তত্ত্ব না শিখে, হাতে-কলমে কাজ করুন

ব্যক্তিগত প্রজেক্ট বানান (পোর্টফোলিও, ব্লগ, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদি)

GitHub-এ প্রজেক্ট শেয়ার করুন

Open Source কন্ট্রিবিউশন করুন

৫। ফ্রিল্যান্সিং বা চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিন

ফ্রিল্যান্সিং: Fiverr, Upwork, Freelancer-এ প্রোফাইল তৈরি করুন

জব মার্কেট: LinkedIn, Glassdoor, এবং বিভিন্ন জব পোর্টালে অ্যাপ্লাই করুন

নেটওয়ার্কিং: ওয়েব ডেভেলপারদের সাথে সংযুক্ত থাকুন, কমিউনিটিতে অংশ নিন

৬। নতুন প্রযুক্তি শিখে আপডেটেড থাকুন

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট দ্রুত পরিবর্তনশীল, তাই নতুন ট্রেন্ড সম্পর্কে আপডেট থাকাটা জরুরি। নতুন ফ্রেমওয়ার্ক, লাইব্রেরি ও টুলস সম্পর্কে জানুন।

সেরা ১০ ওয়েবডেভেলপমেন্ট ফ্রেম

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জওয়ার্কন্য জনপ্রিয় ও শক্তিশালী অনেক ফ্রেমওয়ার্ক রয়েছে। এখানে সেরা ১০টি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক তালিকাভুক্ত করা হলো:

ফ্রন্টএন্ড ফ্রেমওয়ার্ক:

1. React.js – ফেসবুক ডেভেলপ করেছে, কম্পোনেন্ট-ভিত্তিক আর্কিটেকচার, ভার্চুয়াল DOM ব্যবহার করে দ্রুত পারফরম্যান্স।

2. Angular.js – Google দ্বারা নির্মিত, TypeScript-ভিত্তিক, পূর্ণাঙ্গ ফ্রন্টএন্ড ফ্রেমওয়ার্ক।

3. Vue.js – সহজ এবং হালকা ওজনের, রিয়্যাক্ট এবং অ্যাঙ্গুলারের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে।

4. Svelte – কম্পাইল-টাইম ফ্রেমওয়ার্ক, ভার্চুয়াল DOM ছাড়াই দ্রুত পারফরম্যান্স।

5. Next.js – React-ভিত্তিক, SEO ফ্রেন্ডলি, সার্ভার-সাইড রেন্ডারিং (SSR) সাপোর্ট করে।

ব্যাকএন্ড ফ্রেমওয়ার্ক:

6. Express.js – Node.js-ভিত্তিক হালকা ও দ্রুত ব্যাকএন্ড ফ্রেমওয়ার্ক।

7. Django – Python-ভিত্তিক, সিকিউরিটি ও স্কেলেবিলিটির জন্য উপযুক্ত।

8. Ruby on Rails – Ruby-ভিত্তিক, সহজ সিনট্যাক্স ও দ্রুত ডেভেলপমেন্টের জন্য জনপ্রিয়।

9. Spring Boot – Java-ভিত্তিক, এন্টারপ্রাইজ লেভেলের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।

10. Laravel – PHP-ভিত্তিক, MVC আর্কিটেকচার অনুসরণ করে, ডেভেলপারদের মধ্যে জনপ্রিয়।

ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েবডেভেলপমেন্ট এর পার্থক্য

ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট একে অপরের সাথে সম্পর্কিত হলেও তাদের কাজের ক্ষেত্র ও দক্ষতা আলাদা। ওয়েব ডিজাইন:

ওয়েব ডিজাইনের মূল কাজ হলো একটি ওয়েবসাইটের দৃষ্টিনন্দন ও ব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করা। ওয়েব ডিজাইনাররা সাধারণত নিচের বিষয়গুলোর উপর কাজ করেনঃ

ওয়েবসাইটের লেআউট, রঙ, ফন্ট, এবং গ্রাফিক ডিজাইন

ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা (UX) ও ইন্টারফেস ডিজাইন (UI)

রেসপন্সিভ ডিজাইন (মোবাইল ও অন্যান্য ডিভাইসে সাইটের ভালোভাবে প্রদর্শন নিশ্চিত করা)

ডিজাইনের জন্য Adobe XD, Figma, Sketch ইত্যাদি টুল ব্যবহার করা

HTML, CSS, JavaScript-এর মাধ্যমে সামান্য ফ্রন্টএন্ড কাজ করা (কিছু ডিজাইনার কেবল ভিজ্যুয়াল ডিজাইনেই সীমাবদ্ধ থাকেন) ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হলো ডিজাইনকৃত ওয়েবসাইটটিকে সক্রিয় ও কার্যকরী করে তোলা। ওয়েব ডেভেলপমেন্টকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়ঃ 1. ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপমেন্ট:

ওয়েব ডিজাইনের ফাইলগুলোকে কার্যকরী ওয়েবপেজে রূপান্তর করা

HTML, CSS, JavaScript (React, Vue, Angular) ব্যবহার করে ওয়েবসাইট ডেভেলপ করা

রেসপন্সিভ ডিজাইন এবং ইন্টারেক্টিভ ফিচার তৈরি করা

2. ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্ট:

ওয়েবসাইটের সার্ভার, ডাটাবেস, এবং সার্ভার-সাইড লজিক তৈরি করা, প্রোগ্রামিং ভাষা যেমন PHP, Python, Node.js, Java, Ruby ইত্যাদি ব্যবহার করা।

ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট (MySQL, MongoDB, PostgreSQL)

API ডেভেলপমেন্ট ও সার্ভারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা

সংক্ষেপে পার্থক্য: একটি ভালো ওয়েবসাইট তৈরি করতে ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের শেষ কথা

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল, কারণ ডিজিটালাইজেশনের কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি অনলাইনে আরও সক্রিয় হচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি যেমন React, Vue, Angular, Django, Laravel, এবং DevOps ওয়েব ডেভেলপমেন্টকে আরও উন্নত ও সহজ করে তুলেছে।

অর্থাৎ, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট একটি ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্র যা ভবিষ্যতে আরও প্রযুক্তিগত উন্নতির মাধ্যমে প্রসারিত হবে, এবং দক্ষ ডেভেলপারদের চাহিদা অব্যাহত থাকবে। আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url