হিট স্ট্রোক কি, হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায়

 হিট  স্ট্রোক কি, হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায়

হিট স্টোক চরম গরমের কারণে মানুষের শরীরে্র তাপমাত্রা ১০৪  ডিগ্রি ফারেনহাইট এর উপরে  উঠলে এ রোগ হতে পারে। অনেকে হিট স্ট্রোক রোগ সম্বন্ধে জানার চেষ্টা করেন। হিট স্ট্রোক কেন হয়,  এর প্রতিকার কি,  এর চিকিৎসা কি ইত্যাদি বিষয়ে জানা খুবই জরুরি। 

আমরা আজকে হিট স্ট্রোক কি, হিট  স্ট্রোক এর কারণ, হিট স্ট্রোক হলে কিভাবে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে হিট স্ট্রোক সম্বন্ধে অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং এর থেকে বাঁচার উপায় খুঁজে পাবেন। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ হিট স্ট্রোক কি, হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায়

হিট স্ট্রোক কি, হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায়
হিট স্ট্রোক কী, হিট স্ট্রোকের প্রকারভেদ
হিট স্ট্রোকের কারণসমূহ
হিট স্ট্রোকের উপসর্গ বা লক্ষণ কি
হিট স্ট্রোক হলে করণীয়
হিট  স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায়
শিশুদের হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়
বয়স্কদের হিট স্ট্রোক থেকে সুরক্ষার উপায়
হিট স্ট্রোক হলে কখন চিকিৎসকের নিকট যাবেন
হিট স্ট্রোক হলে ঘরে তৈরি কিছু প্রাকৃতিক ঠান্ডা পানীয়
 হিট স্ট্রোক হলে  চিকিৎসা সংক্রান্ত সতর্কতা
লেখকের শেষ মন্তব্য

হিট স্ট্রোক কি, হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায়

গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে হিটস্ট্রোক বা হিট অ্যাপ্লেক্সি একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যায় এবং শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দেয়। হিটস্ট্রোক প্রাথমিক চিকিৎসা না পেলে মৃত্যুও ঘটতে পারে। এই আর্টিকেলে আমরা জানব হিটস্ট্রোক কী, এর কারণ, লক্ষণ, এবং কীভাবে এই মারাত্মক রোগ থেকে নিজেকে ও প্রিয়জনদের রক্ষা করা যায়।

হিট স্ট্রোক কী, হিট স্ট্রোকের প্রকারভেদ

হিটস্ট্রোক হল এমন একটি চিকিৎসাজনিত জরুরি অবস্থা যখন শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা তার চেয়েও বেশি হয়ে যায় এবং শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ

১। ক্লাসিক হিটস্ট্রোক: গরম আবহাওয়ার কারণে বয়স্ক ও অসুস্থদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

২। এক্সারশনাল হিটস্ট্রোক: শরীরচর্চা বা কসরতজনিত হিটস্ট্রোক, যেটি তরুণ বা কর্মক্ষমদের মধ্যে বেশি ঘটে।

হিট স্ট্রোকের কারণসমূহ

অতিরিক্ত গরম ও আর্দ্র পরিবেশে দীর্ঘ সময় থাকা, সরাসরি রোদে কাজ করা, প্রচুর ঘাম হওয়া সত্ত্বেও পানি না খাওয়া, টাইট ও গাঢ় রঙের কাপড় পরা, গর্ভাবস্থা, শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত গরমের সংবেদনশীলতা, নির্দিষ্ট ওষুধ যেমন ডায়িউরেটিকস, বিটা ব্লকার ইত্যাদি। এখানে উল্লেখ্য যে,হিট স্ট্রোক  সাধারণত গরমকালে হয়, তবে অতিরিক্ত কসরত বা ভ্যাপসা আবহাওয়ায় অন্য সময়ও হতে পারে। যদি ঘর খুব গরম হয় এবং বাতাস চলাচল না থাকে, তাহলে ঘরেও হিট স্ট্রোক হতে পারে।

হিট স্ট্রোকের উপসর্গ বা লক্ষণ কি

হিটস্ট্রোকের উপসর্গ শুরুতে সাধারণ মনে হলেও দ্রুত গুরুতর হতে পারে। নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু লক্ষণ তুলে ধরা হলোঃ 

শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি,  মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ও বিভ্রান্তি, ত্বক শুষ্ক ও লালচে হওয়া (ঘাম না হওয়া), বমি বমি ভাব বা বমি,  শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হয়ে যাওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া,  অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, খিঁচুনি ইত্যাদি।

হিট স্ট্রোক হলে করণীয়

হিটস্ট্রোক হলে দেরি না করে নিচের ধাপগুলো মেনে চলুনঃ 

১।  রোগীকে তাত্ক্ষণিক ছায়া বা ঠান্ডা স্থানে নিয়ে যান।

২।  টাইট জামাকাপড় খুলে দিন।

৩।  ঠান্ডা পানি বা বরফ দিয়ে শরীর মোছাতে থাকুন।

৪।  যদি সম্ভব হয়, ঠান্ডা পানিতে স্নান করান বা শরীরে পানি ঢালুন।

৫।  যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যান।

৬।  রোগী যদি সচেতন থাকে তবে ঠান্ডা পানি খাওয়াতে পারেন।

হিট  স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায়

১. পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ  প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। গরমকালে অতিরিক্ত পানি ও তরলজাতীয় খাবার যেমন ডাবের পানি, ফলের রস খেতে হবে।

২. সূর্যের তাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করুনঃ  রোদে বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহার করুন, সানগ্লাস ও হ্যাট পরুন এবং সূর্যরশ্মি তীব্র সময় (দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা) এড়িয়ে চলুন।

৩. হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুনঃ  সাদা বা হালকা রঙের সুতির কাপড় গরম শোষণ করে না এবং শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

৪. খাদ্যাভ্যাসে সতর্কতাঃ  গ্রীষ্মকালে ঝাল, ভাজাপোড়া ও গুরুপাক খাবার এড়িয়ে চলুন। শাকসবজি ও পানিযুক্ত ফল যেমন তরমুজ, শসা বেশি খান।

৫. ঘর ঠান্ডা রাখুনঃ  ঘরে যতটা সম্ভব ফ্যান, এসি বা প্রাকৃতিক বাতাস প্রবাহ নিশ্চিত করুন। দিনে বারবার পানি দিয়ে গা ধুয়ে নিতে পারেন।

৬. অতিরিক্ত কসরত বা পরিশ্রম এড়িয়ে চলুনঃ  গরমের সময়ে দৌড়, ভারোত্তোলন বা হাঁটা এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে ভোর বা সন্ধ্যাবেলায় ব্যায়াম করুন।

৭. ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের প্রতি যত্নবান হোনঃ  বয়স্ক, শিশু, গর্ভবতী নারী এবং হৃদরোগী ব্যক্তিদের গরমকালে বিশেষভাবে নজরে রাখুন।

শিশুদের হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়

শিশুদের দীর্ঘ সময় রোদে খেলতে দেবেন না,  হালকা ও আরামদায়ক কাপড় পরান, পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাওয়ান, গরমে ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

শিশুদের হিট স্ট্রোক (Heat Stroke) একটি গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে। তাপমাত্রা বেড়ে গেলে শিশুরা সহজেই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে, কারণ তাদের শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বড়দের তুলনায় কম উন্নত। নিচে শিশুদের হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়গুলো দেওয়া হলো:

১. প্রচণ্ড রোদে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুনঃ  দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রচণ্ড রোদে শিশুদের বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।  জরুরি প্রয়োজনে বাইরে গেলে ছাতা, হ্যাট বা টুপি পরান এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

২. হালকা এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরানঃ  পাতলা, হালকা রঙের, সুতির এবং ঢিলেঢালা পোশাক শিশুকে গরম থেকে সুরক্ষা দেয়। সাদা বা হালকা নীল রঙের কাপড় বেশি কার্যকর।

৩. শিশুদের বেশি পরিমাণে পানি পান করানঃ  শিশুদের পর্যাপ্ত পানি, ফলের রস বা ওরস্যালাইন খাওয়ান।  তারা যেন কখনোই ডিহাইড্রেট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

৪. ঘর ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করুনঃ  যতোটা সম্ভব ঘর ঠাণ্ডা রাখুন—ফ্যান, এসি, অথবা জানালা খোলা রেখে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন।  রাতে ঘুমানোর সময়ও হালকা কাপড় ব্যবহার করুন।

৫. তাপমাত্রা বেশি হলে বাইরে খেলা নিষিদ্ধ করুনঃ  প্রচণ্ড গরমে খেলাধুলা বা দৌড়ঝাঁপ থেকে বিরত রাখুন। বিকেলের দিকে বা ছায়াযুক্ত জায়গায় খেলতে দিন।

৬. খাবারে সতর্কতাঃ  তেল-মসলা বা হজমে কষ্ট হয় এমন খাবার এড়িয়ে চলুন।  সহজপাচ্য ও পানিযুক্ত ফল যেমন তরমুজ, শসা, আম ইত্যাদি খেতে দিন।

৭. শিশুর শারীরিক লক্ষণে নজর রাখুনঃ  অতিরিক্ত ঘাম, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, বমি ভাব, মাথা ঘোরা, জ্বর—এগুলো হিট স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে। এমন লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ছায়াযুক্ত ঠাণ্ডা স্থানে নিয়ে যান এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

৮. নিয়মিত গোসল করানঃ  দিনে অন্তত একবার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করানো শিশুর শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে।

বয়স্কদের হিট স্ট্রোক থেকে সুরক্ষার উপায়

দিনে বারবার বিশ্রাম নিন,  সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলুন,  নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করছেন কিনা এবং তা হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে কিনা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন,  পানির অভাব যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করুন। 

বয়স্কদের হিট স্ট্রোক (Heat Stroke) থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য নিচের উপায়গুলো মেনে চলা অত্যন্ত জরুরিঃ 

১. প্রচণ্ড রোদ এড়িয়ে চলুনঃ  দুপুর ১২টা থেকে ৪টার মধ্যে বাইরে না যাওয়া সবচেয়ে ভালো।  জরুরি কাজ থাকলে ছাতা বা টুপি ব্যবহার করুন।

২. পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ  বারবার পানি পান করতে হবে, যদিও তৃষ্ণা না পায়।  ডিহাইড্রেশন হিট স্ট্রোকের প্রধান কারণ। 

৩. হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুনঃ  সুতি কাপড় বেছে নিন।  গা ঢাকা পোশাক পরা উচিত যাতে রোদ সরাসরি গায়ে না লাগে। 

৪. ঘর শীতল রাখুনঃ  দরজা-জানালা খুলে হাওয়া চলাচল বজায় রাখুন।  দরকার হলে ফ্যান বা এসি ব্যবহার করুন। 

৫. ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গা মুছে দিনঃ  দিনে একাধিকবার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে হাত-পা ও মুখ ধুয়ে নিন।

৬. ভারী খাবার ও ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুনঃ  সহজপাচ্য ও পানিযুক্ত খাবার খান (ফল, শাকসবজি, স্যালাইন ইত্যাদি)।  চা, কফি বা সোডা জাতীয় পানীয় কম খাওয়া উচিত। 

৭. বয়স্কদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুনঃ  বিশেষ করে যারা একা থাকেন বা অসুস্থ, তাঁদের প্রতি বেশি নজর দিন।  হঠাৎ অসুস্থতা (জ্বর, বমি, মাথা ঘোরা) দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৮. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকুনঃ  কিছু ওষুধ শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে প্রভাব ফেলে।  চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন নিশ্চিত করুন।

হিট স্ট্রোক হলে কখন চিকিৎসকের নিকট যাবেন

হিট স্ট্রোক (Heat Stroke) একটি প্রাণঘাতী অবস্থা, যা তাৎক্ষণিক চিকিৎসা ছাড়া মারাত্মক জটিলতা তৈরি করতে পারে। নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত: যখন হিট স্ট্রোকে চিকিৎসা নিকট যেতে হবে:

১।  শরীরের তাপমাত্রা ১০৪°F (৪০°C) বা তার বেশি হলেঃ  এটি হিট স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। যদি শরীর অত্যন্ত গরম মনে হয় এবং ঘাম না হয়, তাহলে তা বিপজ্জনক। 

২।  মনোসংযোগের ঘাটতি বা বিভ্রান্তি দেখা দিলেঃ যেমন: জড়তা, অসংলগ্ন কথা বলা, বেহুঁশ হয়ে যাওয়া। 

৩।  অজ্ঞান হয়ে গেলে বা খিঁচুনি হলেঃ  সব হলে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিতে হবে।

৪। ত্বক শুকনো ও গরম হয়ে গেলে (ঘামহীন)ঃ হিট স্ট্রোকে শরীর ঘামানো বন্ধ হয়ে যায়। এটি একান্ত জরুরি লক্ষণ।


৫। শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত ও অস্বাভাবিক হলে।

৬। পালস বা হৃদস্পন্দন অত্যন্ত দ্রুত হলে।

৭। বমি বমি ভাব বা বমি হলে এবং কিছু খেতে পারছেন না।

আপৎকালীন করণীয় যতক্ষণ না চিকিৎসা পাওয়া যায়: আক্রান্তকে ঠান্ডা পরিবেশে নিতে হবে। শরীরের তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করতে হবে (ঠান্ডা পানির কাপড় বা বরফ ব্যবহার করে)। যদি সে জ্ঞান থাকে, তাকে পানি বা ইলেক্ট্রোলাইট পান করানো যেতে পারে।  

আরো পড়ুনঃ

সতর্কতা: হিট স্ট্রোক সন্দেহ হলে কখনোই অপেক্ষা করা উচিত নয়। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা গ্রহণ জরুরি অর্থাৎ যখন দেখবেন  শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না,  রোগী অজ্ঞান বা খুব দুর্বল হয়ে পড়েছে, খিঁচুনি হচ্ছে,  ৩০ মিনিটের ঠান্ডা ব্যবস্থার পরেও উন্নতি হচ্ছে না। 

হিট স্ট্রোক হলে ঘরে তৈরি কিছু প্রাকৃতিক ঠান্ডা পানীয়

ডাবের পানি,  বেলের শরবত,  তেঁতুলের শরবত, লেবু পানি,  ভেজানো চাল ভাতের পানি (পান্তা), ঠান্ডা পানি, লবণযুক্ত পানি,  ফলের রস খাওয়া ভালো।, । 

 হিট স্ট্রোক হলে  চিকিৎসা সংক্রান্ত সতর্কতা

হিটস্ট্রোক হলে নিজে থেকে ওষুধ খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।  বরফ সরাসরি ত্বকে লাগানো ক্ষতিকর হতে পারে।  প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। 

লেখকের শেষ মন্তব্য

হিটস্ট্রোক একটি জীবনঘাতী স্বাস্থ্যসমস্যা হলেও সচেতনতা ও সঠিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এটি এড়ানো সম্ভব। গরমের সময়ে শরীরের যত্ন নেওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান করা, রোদ থেকে বাঁচা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা, এই সাধারণ কিছু অভ্যাসই হিট স্ট্রোক থেকে জীবন রক্ষা করতে পারে। নিজের পাশাপাশি পরিবার ও প্রতিবেশীর প্রতিও যত্নবান হোন।

আমরা হিট স্ট্রোকের কারণ, হিট স্ট্রোকের সংগা,  হিট স্ট্রোক হলে করণীয় এবং  হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায় ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি আমাদের সাথে ছিলেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি যদি নূন্যতম জ্ঞান অর্জন করতে পারেন আমাদের এই আর্টিকেল থেকে তাহলে আপনার বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url