নেম চিপের ডোমেইন ব্লগার কিভাবে ওয়েবসাইটে যুক্ত করবেন
নেম চিপের ডোমেইন ব্লগারে কীভাবে ওয়েবসাইটে যুক্ত করবেন
আমি আজ আপনাদের সামনে নেম চিপে ডোমেন ব্লগার কিভাবে ওয়েবসাইটে যুক্ত করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব. আপনি আমাদের সাথে থাকবেন এবং বিষয়টি সঠিকভাবে জানার জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পাঠ করুন।
নেম চিপের ডোমেইন ব্লগার কিভাবে ওয়েবসাইটে যুক্ত করবেন
ডোমেইন কি, ডোমেইন এর কাজ কী
নেমচিপ থেকে কেন ডোমেইন কিনবেন
ব্লগার কি এবং ব্লগার কেন ব্যবহার করবেন
নেমচিপ থেকে ডোমেইন কেনার ধাপসমূহ
নেমচিপ থেকে ডোমেইন কেনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
আমাদের শেষ বক্তব্য: নেম চিপের ডোমেইন ব্লগার কিভাবে ওয়েবসাইটে যুক্ত করবেন
নেম চিপের ডোমেইন ব্লগার কিভাবে ওয়েবসাইটে যুক্ত করবেন
বর্তমানে ইন্টারনেটভিত্তিক কাজ, ব্যবসা এবং ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিংয়ে ওয়েবসাইট একটি অপরিহার্য মাধ্যম। আর একটি ওয়েবসাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ডোমেইন। অনেকেই ডোমেইনের গুরুত্ব জানেন না, আবার অনেকেই জানেন না কীভাবে একটি ডোমেইন কিনে Blogger-এর মতো ফ্রি প্ল্যাটফর্মে সেটি ব্যবহার করবেন। এই আর্টিকেলে আমরা ধাপে ধাপে জানবো ডোমেইন কী, এর কাজ কী এবং কীভাবে Namecheap থেকে কেনা একটি ডোমেইন Blogger ওয়েবসাইটে যুক্ত করবেন।
আরো পড়ুনঃ
ব্লগিং বর্তমান সময়ের একটি জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। অনেকেই ব্লগার (Blogger.com) ব্যবহার করে নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান কারণ এটি গুগলের ফ্রি হোস্টিং সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে একজন ব্লগার যদি নিজের একটি প্রিমিয়াম ডোমেইন ব্যবহার করতে চান, তাহলে ন্যামচিপ (Namecheap) হতে ডোমেইন কিনে সেটিকে ব্লগারে কানেক্ট করতে হয়। এই কাজটি একদমই কঠিন নয়, তবে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয় সঠিকভাবে।
নেমচিপ (Namecheap) কি, নেমচিপ এর কাজ কি
নেমচিপ একটি জনপ্রিয় ডোমেইন রেজিস্ট্রার এবং ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি, যার মাধ্যমে আপনি সহজেই নিজের ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেইন নাম কিনতে পারেন এবং ওয়েবসাইট হোস্ট করতে পারেন। এটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এখন বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীর বিশ্বাসযোগ্য একটি প্ল্যাটফর্ম।
নেমচিপ এর প্রধান কাজগুলো:
১. ডোমেইন নাম রেজিস্ট্রেশন: নেমচিপের মাধ্যমে আপনি .com, .net, .org, .xyz, সহ বিভিন্ন এক্সটেনশনের ডোমেইন কিনতে পারেন। এটি সস্তা দামে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য পরিচিত।
২. ডোমেইন ট্রান্সফার: অন্য কোনো কোম্পানি থেকে আপনি চাইলে আপনার ডোমেইন নেমচিপে ট্রান্সফার করতে পারেন।
৩. ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস: নেমচিপ বিভিন্ন ধরনের হোস্টিং সার্ভিস সরবরাহ করে: Shared Hosting, WordPress Hosting, VPS Hosting, Dedicated Server Hosting,
৪. SSL সার্টিফিকেট সরবরাহ: ওয়েবসাইট নিরাপদ রাখতে SSL সার্টিফিকেট কেনার সুযোগ দেয়, যা HTTPS সক্রিয় করে।
৫. ইমেইল হোস্টিং: আপনার ডোমেইনের জন্য কাস্টম ইমেইল ঠিকানা (যেমন info@yourdomain.com) সেটআপ করার সুযোগ দেয়।
৬. Free DNS এবং Domain Privacy: নেমচিপ ফ্রি DNS ম্যানেজমেন্ট এবং WHOIS গোপনীয়তা (Domain Privacy Protection) ফ্রি বা খুব কম মূল্যে প্রদান করে।
নেমচিপ কেন ব্যবহার করবেন: সহজ ইউজার ইন্টারফেস, সাশ্রয়ী মূল্যের প্যাকেজ, ফ্রি ডোমেইন প্রাইভেসি. ২৪/৭ কাস্টমার সাপোর্ট, নির্ভরযোগ্য হোস্টিং পারফরম্যান্স. আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট শুরু করতে চান, তবে নেমচিপ থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং কেনা একটি ভালো ও নিরাপদ সিদ্ধান্ত হতে পারে।
ডোমেইন কি, ডোমেইন এর কাজ কী
ডোমেইন হলো একটি ওয়েবসাইটের ঠিকানা যা ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেট ব্রাউজারে টাইপ করে সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে। সহজভাবে বললে, যেমন আপনার বাসার একটি ঠিকানা আছে, তেমনি ওয়েবসাইটের ঠিকানাই হলো ডোমেইন।
একটি প্রফেশনাল ডোমেইন আপনার ব্লগকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে এবং ভবিষ্যতে ব্র্যান্ড তৈরি করতেও সাহায্য করে। সঠিকভাবে DNS কনফিগারেশন, ব্লগার সেটিংস এবং ওয়েবসাইট ডিজাইন করলে আপনি একটি পূর্ণাঙ্গ ও পেশাদার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন একদম ফ্রিতে।
উদাহরণঃ www.google.com, www.facebook.com , www.youtube.com
ডোমেইনের মূল কাজ হচ্ছে ব্যবহারকারীদের ওয়েবসাইটে সহজে পৌঁছাতে সাহায্য করা। সার্ভারের জটিল আইপি অ্যাড্রেসের পরিবর্তে একটি সহজ নাম দিয়ে যেকোনো ওয়েবসাইটকে চিহ্নিত করাই এর উদ্দেশ্য।
ডোমেইনের প্রধান কাজগুলো:
১। পরিচয় প্রদান: একটি ডোমেইন আপনার ওয়েবসাইটের ব্র্যান্ড পরিচয় তৈরি করে।
২। সহজ অ্যাক্সেস: ব্যবহারকারীরা সহজেই আপনার ওয়েবসাইট খুঁজে পেতে পারে।
৩। পেশাদারিত্ব: একটি কাস্টম ডোমেইন আপনার ওয়েবসাইটকে পেশাদার করে তোলে।
৪। SEO তে সহায়তা: সঠিক কিওয়ার্ডভিত্তিক ডোমেইন সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিংয়ে সহায়ক।
৫। বিশ্বাসযোগ্যতা: একটি নির্ভরযোগ্য ডোমেইন ব্যবহারকারীদের আস্থা তৈরি করে।
নেমচিপ (Namecheap) কি এবং কেনো এখান থেকে ডোমেইন কিনবেন
Namecheap একটি জনপ্রিয় ডোমেইন রেজিস্ট্রার ও হোস্টিং সার্ভিস প্রোভাইডার। এটি ব্যবহার করা সহজ এবং তুলনামূলকভাবে কম দামে ডোমেইন সরবরাহ করে।
নেমচিপ থেকে কেন ডোমেইন কিনবেন
সহজ ইন্টারফেস, ফ্রি WHOIS গোপনীয়তা, ২৪/৭ সাপোর্ট, নিরাপদ ট্রান্সাকশন, সাশ্রয়ী মূল্য।
নেমচিপ (Namecheap) থেকে ডোমেইন কেনার বেশ কিছু ভালো কারণ রয়েছে, যা অনেক ব্যবহারকারীকে এই কোম্পানিকে বেছে নিতে উদ্বুদ্ধ করে। নিচে নেমচিপ থেকে ডোমেইন কেনার কয়েকটি প্রধান কারণ তুলে ধরা হলোঃ
১. সাশ্রয়ী মূল্যঃ নেমচিপ সাধারণত ডোমেইনের জন্য খুবই প্রতিযোগিতামূলক ও সাশ্রয়ী মূল্য অফার করে। নতুন ডোমেইন নিবন্ধন, রিনিউ এবং ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ডিসকাউন্ট ও অফার দেয়, যা অনেক সময় অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় কম খরচে ডোমেইন কেনার সুযোগ দেয়।
২. ফ্রি WHOIS গোপনীয়তা (Free Domain Privacy)ঃ নেমচিপ প্রথম বছরের জন্য WHOIS গোপনীয়তা সম্পূর্ণ ফ্রি দিয়ে থাকে। এর ফলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য (যেমন: নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল) ইন্টারনেটে পাবলিকলি শো হয় না, যা স্প্যাম এবং অনাকাঙ্ক্ষিত কল থেকে রক্ষা করে।
৩. ব্যবহার-বান্ধব ইন্টারফেসঃ নেমচিপের ড্যাশবোর্ড ও কনফিগারেশন প্যানেল অনেক সহজ ও ব্যবহারকারী বান্ধব। আপনি খুব সহজেই ডোমেইন ম্যানেজ করতে পারবেন, DNS সেটিং পরিবর্তন, রিডাইরেক্ট, কাস্টম নেমসার্ভার ইত্যাদি কনফিগার করতে পারবেন।
৪. ২৪/৭ লাইভ চ্যাট সাপোর্টঃ নেমচিপ ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহে ৭ দিন লাইভ চ্যাট সাপোর্ট প্রদান করে। যেকোনো সমস্যায় আপনি সহজেই তাদের সাপোর্ট টিমের সহায়তা পেতে পারেন।
৫. ডোমেইন ম্যানেজমেন্ট ও রিনিউ রিমাইন্ডারঃ নেমচিপ আপনার ডোমেইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আপনাকে ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয় এবং অটো রিনিউ সেটআপের সুবিধাও দেয়, যাতে আপনি ডোমেইন হারিয়ে না ফেলেন।
৬. অন্যান্য ফ্রি সুবিধাঃ নেমচিপ ডোমেইনের সঙ্গে কিছু অতিরিক্ত সুবিধা বিনামূল্যে দেয় যেমনঃ ফ্রি DNS Management, ফ্রি Email Forwarding, ফ্রি Dynamic DNS, Free PositiveSSL (কখনো কখনো প্রোমো হিসেবে)।
৭. নির্ভরযোগ্যতা ও সিকিউরিটিঃ নেমচিপ একটি জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য ডোমেইন রেজিস্ট্রার। এর সিকিউরিটি সিস্টেম যথেষ্ট শক্তিশালী এবং আপনার ডোমেইন নিরাপদ রাখতে তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
আপনি যদি একটি সাশ্রয়ী, নিরাপদ এবং ব্যবহার-বান্ধব প্ল্যাটফর্ম থেকে ডোমেইন কিনতে চান, তবে নেমচিপ একটি চমৎকার পছন্দ। বিশেষ করে যারা নতুন, তাদের জন্য এটি খুব সহজ ও ঝামেলাহীন অভিজ্ঞতা দেয়।
ডোমেইন এবং হোস্টিং এর মধ্যে পার্থক্য কি
অনলাইনে একটি ওয়েবসাইট চালাতে হলে ডোমেইন এবং হোস্টিং—এই দুটি জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেকেই এই দুইটির মধ্যে পার্থক্য ঠিকমতো বোঝেন না। নিচে সহজভাবে পার্থক্যটি ব্যাখ্যা করা হলোঃ
ডোমেইন (Domain)ঃ ডোমেইন হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের নাম বা ঠিকানা, যা ব্যবহারকারীরা ব্রাউজারে লিখে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে। যেমন: www.example.com এটি হলো একটি ইউনিক ওয়েব অ্যাড্রেস। উদাহরণঃ যেমন, আপনার দোকানের নাম যদি হয় "Rahim Store", তাহলে অনলাইনে তার নাম হতে পারে rahimstore.com — এটিই হলো ডোমেইন।
হোস্টিং (Hosting)ঃ হোস্টিং হচ্ছে একটি সার্ভিস যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের সব তথ্য, ছবি, ভিডিও, কোড ইত্যাদি সংরক্ষণ থাকে। এটি মূলত এক ধরনের সার্ভার বা কম্পিউটার যেখানে ওয়েবসাইটের ডাটা রাখা হয়, যা ২৪ ঘণ্টা ইন্টারনেটে সক্রিয় থাকে। উদাহরণঃ আপনার দোকানের নাম যদি হয় "Rahim Store" (ডোমেইন), তাহলে আপনার দোকানের ভেতরের পণ্য ও সাজসজ্জা যেখানে রাখা হয় সেটিই হলো হোস্টিং।
মূল পার্থক্যগুলো এক নজরেঃ
বিষয় ডোমেইন হোস্টিং
সংজ্ঞা ওয়েবসাইটের ঠিকানা ওয়েবসাইটের তথ্য সংরক্ষণের জায়গা
ধরন একটি নাম বা URL একটি সার্ভার বা কম্পিউটার স্পেস
কাজ ব্যবহারকারীকে ওয়েবসাইটে পৌঁছাতে সাহায্য করে ওয়েবসাইটকে ইন্টারনেটে দৃশ্যমান রাখে
প্রয়োজনীয়তা ওয়েব ঠিকানা হিসেবে আবশ্যক ওয়েবসাইট চালাতে আবশ্যক।
আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট চালাতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি ডোমেইন এবং একটি হোস্টিং নিতে হবে। ডোমেইন ছাড়া ব্যবহারকারী আপনাকে খুঁজে পাবে না, আর হোস্টিং ছাড়া আপনার ওয়েবসাইট চলবে না।
ব্লগার কি এবং ব্লগার কেন ব্যবহার করবেন
ব্লগার হলো Google-এর একটি ফ্রি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম। যাদের ওয়েবসাইট তৈরি করার বাজেট কম, তারা সহজেই এই প্ল্যাটফর্মে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
একদম ফ্রি, Google-এর হোস্টিং, সহজ ব্যবহারযোগ্য, কাস্টম ডোমেইন যুক্ত করার সুবিধা, SEO ফ্রেন্ডলি
ব্লগার (Blogger) হলো গুগলের একটি ফ্রি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি সহজে নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করে কনটেন্ট শেয়ার করতে পারেন। নিচে ব্লগার ব্যবহারের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ দেওয়া হলোঃ
১. একেবারে ফ্রি প্ল্যাটফর্মঃ ব্লগার সম্পূর্ণ ফ্রি, কোনো হোস্টিং চার্জ নেই। শুধু একটি গুগল অ্যাকাউন্ট থাকলেই আপনি একটি ব্লগ খুলতে পারেন।
২. গুগলের সাপোর্ট ও নিরাপত্তাঃ ব্লগার গুগলের প্রোডাক্ট হওয়ায় এটি নিরাপদ এবং দ্রুতগতির। আপনার ব্লগ হ্যাক হওয়া বা ডাউন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কম।
৩. সহজ ইন্টারফেসঃ ব্লগারের ড্যাশবোর্ড অনেক সহজ এবং ব্যবহারবান্ধব। নতুনদের জন্য এটি উপযুক্ত, কারণ কোনো কোডিং জানার প্রয়োজন হয় না।
৪. গুগল অ্যাডসেন্স ইনটেগ্রেশনঃ ব্লগারে সহজেই গুগল অ্যাডসেন্স যুক্ত করা যায়, ফলে আপনি আপনার ব্লগ থেকে আয় করতে পারেন।
৫. কাস্টম ডোমেইন যুক্ত করার সুযোগঃ আপনি চাইলে ব্লগারে কাস্টম ডোমেইন যুক্ত করে নিজের পছন্দমতো ঠিকানায় ব্লগ চালাতে পারেন (যেমন: yourname.com)।
৬. এসইও-ফ্রেন্ডলি প্ল্যাটফর্মঃ ব্লগার গুগলের প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় এটি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (SEO) জন্য উপযুক্ত। কনটেন্ট ঠিকভাবে লিখলে সহজেই গুগলে র্যাঙ্ক করে।
৭. টেমপ্লেট ও ডিজাইন কাস্টমাইজেশনঃ ব্লগারে বিভিন্ন ফ্রি এবং পেইড টেমপ্লেট রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার সাইটের ডিজাইন সহজেই বদলাতে পারেন।
৮. মাল্টিপল ব্লগ পরিচালনার সুবিধাঃ একটি গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে আপনি একাধিক ব্লগ তৈরি এবং পরিচালনা করতে পারবেন। যদি আপনি ব্লগিং শুরু করতে চান এবং ওয়েবসাইট তৈরির খরচ বা জটিলতা চান না, তাহলে ব্লগার একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম। এটি নতুন এবং অভিজ্ঞ দুই ধরনের ব্লগারদের জন্যই উপযোগী।
নেমচিপ থেকে ডোমেইন কেনার ধাপসমূহ
ধাপ ১: Namecheap ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন
ওয়েবসাইট: www.namecheap.com
সার্চ বক্সে আপনার পছন্দের ডোমেইন নাম লিখে সার্চ দিন।
ধাপ ২: ডোমেইন সিলেক্ট ও অ্যাড টু কার্ট করুন
পছন্দ হলে "Add to Cart" বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩: অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন
নেমচিপ -এ একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন (যদি আগে থেকে না থাকে)।
ধাপ ৪: পেমেন্ট সম্পন্ন করুন
পেমেন্ট মেথড নির্বাচন করে ডোমেইন কেনার কাজ শেষ করুন।
নেমচিপ থেকে কেনা ডোমেইন ব্লগার এ যুক্ত করার ধাপসমূহ
পর্ব ১: Blogger-এ সেটিংস কনফিগার করুন
ধাপ ১: Blogger ড্যাশবোর্ডে যান
আপনার ব্লগে লগইন করুন: www.blogger.com
ধাপ ২: “Settings” মেনুতে ক্লিক করুন
ধাপ ৩: “Custom domain” অপশন খুঁজে বের করুন
সেখানে আপনার ডোমেইন টাইপ করুন (যেমন: www.yourdomain.com)
ধাপ ৪: একটি ত্রুটি বার্তা দেখাবে
"We have not been able to verify your authority to this domain" — এর নিচে দুটি CNAME রেকর্ড দেখাবে।
পর্ব ২: Namecheap-এ DNS সেটিংস কনফিগার করুন
ধাপ ১: Namecheap অ্যাকাউন্টে লগইন করুন
ধাপ ২: “Domain List” থেকে আপনার ডোমেইন নির্বাচন করুন
ধাপ ৩: “Advanced DNS” বা “Manage” এ ক্লিক করুন
ধাপ ৪: নিচের DNS রেকর্ড যুক্ত করুন
1. CNAME রেকর্ড (২টি):
Host: www | Value: ghs.google.com
আরো পড়ুনঃ
Host: দ্বিতীয় CNAME | Value: Blogger-এ দেওয়া র্যান্ডম কোড।
2. A রেকর্ড (৪টি): Blogger-এ www ছাড়া টাইপ করলে যেন কাজ করে সেজন্য নিচের IP গুলো যুক্ত করুন:
Host: @ | Value: 216.239.32.21
Host: @ | Value: 216.239.34.21
Host: @ | Value: 216.239.36.21
Host: @ | Value: 216.239.38.21
ধাপ ৫: Save করুন এবং অপেক্ষা করুন
DNS আপডেট হতে ৫ মিনিট থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
পর্ব ৩: Blogger-এ ভেরিফাই করুন ও HTTPS চালু করুন
ধাপ ১: Blogger-এ ফিরে যান এবং “Save” চাপুন
যদি DNS সঠিকভাবে কনফিগার হয়, তাহলে এটি সেভ হয়ে যাবে।
ধাপ ২: HTTPS সেটিং চালু করুন
“HTTPS availability” ও “HTTPS redirect” দুইটি অপশন Enable করে দিন।
সাধারণ সমস্যাগুলো ও সমাধান
সমস্যা সম্ভাব্য কারণ সমাধান।
ডোমেইন কাজ করছে না DNS এখনও প্রোপাগেট হয়নি ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন
HTTPS কাজ করছে না Redirect অন করা হয়নি HTTPS redirect অপশন Enable করুন
www ছাড়া লোড হচ্ছে না A রেকর্ড যোগ হয়নি চারটি A রেকর্ড যুক্ত করুন।
নেমচিপ থেকে ডোমেইন কেনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
সবসময় SSL/HTTPS চালু রাখুন।
Blogger-এর সেটিংস সঠিকভাবে কনফিগার করুন।
ডোমেইনের WHOIS গোপন রাখুন।
একটি ব্র্যান্ডেবল নাম ব্যবহার করুন।
আমাদের শেষ বক্তব্য: নেম চিপের ডোমেইন ব্লগার কিভাবে ওয়েবসাইটে যুক্ত করবেন
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url