কিভাবে ড্রাগন চাষ করবেন এবং অধিক ইনকাম বাড়াবেন

কিভাবে  ড্রাগন চাষ করবেন এবং অধিক ইনকাম বাড়াবেন

ড্রাগন (ড্রাগন ফ্রুট / পিটাইয়া) চাষ শুরু করার সম্পূর্ণ গাইড — ভূমি নির্বাচন থেকে বপন, পরিচর্যা, রোগ-নিয়ন্ত্রণ, সূচকভিত্তিক উৎপাদন ও খরচ-লাভের হিসাব, বাজার মূল্য ও নতুন আয় বাড়ানোর কৌশল সমেত। 

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান ও গবেষণার উপর ভিত্তি করে ইপিসোডিক নির্দেশনা। আপনি এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উদাহরণ করুন এবং কিভাবে ড্রাগন চাষ করবেন ও অধিক ইনকাম বাড়াবেন সে বিষয় নিয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ  কিভাবে  ড্রাগন চাষ করবেন এবং অধিক ইনকাম বাড়াবেন

   কিভাবে  ড্রাগন চাষ করবেন এবং অধিক ইনকাম বাড়াবেন
 ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম ঃ কনটেন্ট টেবিল (SEO-ফ্রেন্ডলি হেডিংসমূহ) 
 ✅ ড্রাগন ফ্রুট কী ও বাজার বর্তমান পরিস্থতি (সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান)। 
  ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম ঃ জমি ও জলবায়ু — কোথায় সেরা? 
  ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম ঃ উপযুক্ত জাত, রোপণ উপকরণ ও কাটা থেকে রোপণের পদ্ধতি। 
  ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম ঃ রোপণ পরিকল্পনা (স্পেসিং, ট্রেলিসিং, পোল সিস্টেম)। 
 ✅ ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম ঃ সেচ, সার ও পুষ্টি ব্যবস্থাপনা।
  ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম ঃ রোগ-পোকা ও রোগনিয়ন্ত্রণ। 
 ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম ঃউৎপাদন সম্ভাব্যতা, আনুমানিক ফলন ও খরচ-লাভ (বর্ণনামূলক হিসাব)। 
 ✅ ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম ঃ ফল সংগ্রহ, ভাঁজ, সংরক্ষণ ও মান নিয়ন্ত্রণ। 
ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম ঃবাজারজাতকরণ ও উচ্চ আয় বাড়ানোর কৌশল — ব্র্যান্ডিং, প্রক্রিয়াজাতকরণ, এক্সপোর্ট। 
 ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম ঃ  ছোট ফার্মারদের জন্য পরিকল্পনা (ক্যাশ-ফ্লো ও কিভাবে রিস্ক কমাবেন)।
 ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম ঃ  সফলতা কেস স্টাডি ও ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশ। 
  ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম ঃ FAQ এবং সুন্দর উপসংহার।
লেখকের শেষ বক্তব্যঃ কিভাবে ড্রাগন চাষ করবেন এবং অধিক ইনকাম বাড়াবেন 

 ✅ কিভাবে  ড্রাগন চাষ করবেন এবং অধিক ইনকাম বাড়াবেন

ড্রাগন ফ্রুট (পিটাইয়া) দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাংলাদেশে — কারণ কম জমিতে ভাল আয়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে উচ্চ মূল্য, এবং তুলনামূলকভাবে সহজ পরিচর্যা। এই আর্টিকেলে আপনি শিখবেন কীভাবে পরিকল্পনা করে ড্রাগন চাষ শুরু করবেন, কাদের জন্য সঠিক, কোন জাতগুলো বেছে নেবেন।

আরো পড়নঃ

গাছ লাগানোর পদ্ধতি, পরিচর্যা, ফলনের হিসাব, ও কীভাবে আপনার আয় বাড়ানো যায় বিক্রয়, ভ্যালুঅ্যাডিশন ও ব্র্যান্ডিং-এর মাধ্যমে। নিচে “ভূমিকা দেখুন” বাটনটি ক্লিক করলে সরাসরি ভূমিকা অংশে ফিরে যাবেন — (ওয়েব/ব্লগে ব্যবহারযোগ্য HTML বাটন উদাহরণ)ঃ <button onclick="document.getElementById('intro').scrollIntoView()">ভূমিকা দেখুন</button>

  ড্রাগন ফ্রুট কি, বাজারের অবস্থা (সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান)

ড্রাগন ফ্রুট (Hylocereus spp.) — ট্রপিক্যাল ক্যান্ডেলিস্ট-ধাঁচের ক্যাকটাসের ফল। বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে ড্রাগন চাষ দ্রুত বাড়ছে: উদাহরণস্বরূপ মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদনে দেখা যায় যে ২০১৫-১৬ সালে প্রায় ৩৮ হেক্টর থেকে ২০২১-২২ সালে ১,১১৫ হেক্টর পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে — অর্থাৎ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি বিস্তৃত হচ্ছে। এটি নির্দেশ করে যে দেশীয় চাহিদা ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনা দ্রুত বাড়ছে। 

বর্তমান বাজারমূল্য (২০২৪–২০২৫ পর্যায়ে) শহরভিত্তিক ও মৌসুম অনুসারে পরিবর্তে, ঢাকার খুচরা বাজারে ড্রাগন ফ্রুট প্রায় BDT 300–800/কেজি বা অবরোধে USD প্রায় $3–6/kg পর্যায়ে দেখা যায় — যা উচ্চমূল্যের ফলধারা হিসাবে বিবেচিত। ভিন্ন উৎসে সঠিক দাম ভিন্নতা থাকতে পারে; নির্দিষ্ট দিনের হোলসেল রেট দেখে পণ্য বিক্রয় করুন। 

  ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম জমি, পরিবেশ এবং কোন অঞ্চলে চাষ করা ভাল

জমির ধরন: ভালো ড্রেনেজ, দুধারিত মাঠ নয়; অবশিষ্ট জল জমে থাকা জমি এড়িয়ে চলুন। বালি-দোআঁশ বা চুল্লীর মিশ্র মাটিতে ভালো ফলন দেখা যায়। মাটির pH 6.0–7.5 বাঞ্ছনীয়। 

জলবায়ু: সুষ্ক-উষ্ণ জলবায়ুতে সর্বোত্তম। বাংলাদেশে রাজশাহী, নাটোর, নাটোর, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও চা-ক্‍ෂেত্রগুলোর আশেপাশের কিছু স্থানকে উপযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভূ-নকশা ও উপযোগিতা গবেষণায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল বিশেষভাবে অনুকূল বলে দেখা গেছে। 

সৌরতা ও ছায়া: পূর্ণ সূর্যালোক ফলন বাড়ায়; তবে গ্রীষ্মে অতিরিক্ত তাপ থাকলে হালকা ছায়া লাভজনক। তরুণ গাছ প্রথম বছরে সামান্য ছায়ায় ভালো বেড়ে ওঠে।

 ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম  উপযুক্ত জাত, কাটা থেকে রোপণ (Propagation)

জনপ্রিয় জাত: লাল-ভেত্তিক ফল (red pulp), সাদা-ভেত্তিক (white pulp) এবং পিটাইয়া লাল-ছাল ইত্যাদি। বাণিজ্যিকভাবে রেড পিটাইয়া উচ্চ চাহিদা পায় (রঙ-সেন্টিভ)। স্থানীয় গবেষণা ও কৃষি বিভাগে পাওয়া জাতগুলোর মধ্যে স্থানীয়ভাবে অ্যাডাপ্টেড ক্লোন বেছে নেওয়া নিরাপদ। 

প্রচলিত প্রজনন পদ্ধতি: কাটা (cutting) থেকে রোপণই সবচেয়ে দ্রুত ও কম খরচে রোপণযোগ্য। প্রতি কাটা 60–80 সেন্টিমিটার হলে ভালো। কাটা নিলে ৩–৭ দিন শুকিয়ে রেখে রুটিং-মাধ্যম (রুটিং হরমোন ব্যবহার করলে দ্রুত) দেওয়া হয় এবং তারপর মাটিতে রোপণ করা হয়। কাটা থেকে ফল পাওয়া সাধারণত রোপণের ১–২ বছরের মধ্যে শুরু হতে পারে (বিভিন্ন ক্লোনে পার্থক্য থাকে)। 

  ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম রোপণ পরিকল্পনা: স্পেসিং, ট্রেলিসিং ও পোল সিস্টেম

স্পেসিং: বাণিজ্যিক এবং হাই-ডেনসিটি সিস্টেমে স্পেসিং বিভিন্নভাবে করা হয় — প্রচলিত সিস্টেমে 2.5m x 2.5m বা 3m x 3m স্পেসিং ব্যবহার করে (প্রতি হেক্টরে ১১০০–১৬০০ গাছ হতে পারে)। উচ্চ ঘনত্বে ট্রেলিসিং এবং পোল-সিস্টেম ব্যবহার করলে প্রতি একর ১২০০–২৮০০ উদ্ভিদ পর্যন্ত লাগানো যায়। স্পেসিং নির্ধারণে আপনার রোপণের পদ্ধতি ও ট্রেলিসিং ডিজাইন বিবেচ্য।

ট্রেলিসিং / পোল সিস্টেম: টেকসই পোল (concrete/wooden/pvc) ব্যবহার করে ২–৩ মিটার উচ্চতার ট্রেলিসিং করা হয়; প্রতিটি পোল-এ ২–৩ কাটা বাঁধা যায়। সঠিক ট্রেলিসিং ফল ধরাকে সহজ করে এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। দড়ি বা তোরণ দিয়ে লতাগাছ পরিষ্কার রাখতে হবে। 

 ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম  সেচ, সার ও পুষ্টি ব্যবস্থাপনা

সেচ: প্রথম বছরে নিয়মিত সেচ জরুরি; এর পর গাছ তুলনামূলকভাবে সামান্য শুষ্ক সহনীয়। বর্ষা মৌসুমে ড্রেনেজ ভালো রাখতে হবে। মিনি-ড্রিপ সিস্টেম প্রতি গাছের জন্য পানি প্রদান নিয়ন্ত্রণ করে খরচ কমায় ও ফল গুণমান বাড়ায়।

সার প্রথা (আনুমানিক নির্দেশ): স্থায়ী সার: জৈব সার/কম্পোস্ট ১০–২০ টন/হেক্টর (প্রতিষ্ঠার সময়)।বার্ষিক: NPK (উদাহরণ: ১০০–১৫০ কেজি N, ৮০–১০০ কেজি P₂O₅, ১০০–১৫০ কেজি K₂O প্রতি হেক্টরে) — স্থানীয় মাটি বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে সামঞ্জস্য করুন। মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট (জিংক, বরন) পরীক্ষা করে প্রয়োগ করুন।  

 ✅ ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম রোগ-পোকা ও রোগনিয়ন্ত্রণ

প্রধান সমস্যা: গাছের মূল ও গোড়া বরজানো (root rot), পাতার দাগ, ছাঁচ — বিশেষত অতিবৃষ্টি ও খারাপ ড্রেনেজে। পোকামাকড়: অ্যাফিড, স্কেল, নাইটোভরা (নিম্মপ্রকার) ইত্যাদি হতে পারে।

নিয়ন্ত্রণ: ভাল ড্রেনেজ বজায় রাখা, পোকামাকড় হলে জৈব-কর্তিত পদ্ধতি (নিষ্প্রয়োগকৃত সোপ, নিছক-নিম তেল) ব্যবহার করুন; প্রয়োজনে নিবন্ধিত কীটনাশক/ফাঙ্গিসাইড ব্যবহার করুন। কৃষি অফিসের পরামর্শ ও মাটি-পরীক্ষা নিশ্চিত করুন। 

 ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম  ফলন সম্ভাব্যতা, আনুমানিক ফলন ও খরচ-লাভ বিশ্লেষণ

ফসল ধরার সময়: রোপণের সাধারণত ১–২ বছর পরে ফলন শুরু। পূর্ণপ্রাপ্তি-পর অবস্থা (3–4 বছর) থেকে স্থায়ী ফলন পাওয়া যায়।

আনুমানিক ফলন: গবেষণায় একর প্রতি ফলন প্রায় ১,২০০–১,৩০০ কেজি পর্যন্ত রিপোর্ট করা হয়েছে (ভিত্তিক ক্ষেত্রভিত্তিক ভিন্নতা থাকতে পারে) — ফলন ক্লোন, আগামি পরিচর্যা ও পরিবেশ অনুসারে বাড়তে পারে। কিছু মাল্টি-ক্লোন বা উচ্চ ঘনত্ব পদ্ধতিতে বেশি ফলনও প্রাপ্তি সম্ভব। আর্থিক অভিযোজন (সংক্ষিপ্ত উদাহরণ)ঃ > নোট: নিচের হিসাব আনুমানিক; স্থানীয় খরচ ও মূল্য পরিবর্তনশীল। 

একরায় প্রাথমিক খরচ (প্রতিষ্ঠা-বছর): পোল, ট্রেলিস, কাটা সংগ্রহ, জমি প্রস্তুতি, জৈব সার ইত্যাদি — আনুমানিক BDT 40,000–1,50,000 (ক্লোন ও উপকরণের উপর নির্ভর করে)। বার্ষিক অপারেটিং খরচ: সার, সেচ, শ্রম, পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ — আনুমানিক BDT 20,000–60,000/একর।  আয়: যদি প্রতি একর ১,২০০ কেজি ফলন হয় এবং গড় বিক্রয় মূল্য BDT 300/কেজি ধরলে মোট আয় ≈ BDT 360,000। খরচ বাদ দিলে নেট ইনকাম বড়। (মূল্য ও ফলন অনুযায়ী নেট ইনকাম অনেকটা বাড়তে/কমতে পারে)। 

গবেষণায় পাওয়া বাস্তব উদাহরণ: একটি পরীক্ষামূলক ও কৃষক মাঠ পর্যবেক্ষণে প্রতি একর প্রায় ১,248–1,293 কেজি ফলন ও খরচ-লাভ অনুপাত রিপোর্ট হয়েছে; স্থানীয় বাজারে কেজি মূল্য ভিন্নতা অনুযায়ী নেট আয় ভিন্ন। 

 ✅ ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম ফল সংগ্রহ, প্যাকিং ও সংরক্ষণ

ফল সংগ্রহ যখন ছাল ঝিনে নরম ও রং সম্পূর্ণ হয়ে যায়। ট্রান্সপোর্টেশনের সময় বিন্দু উদ্দীপনা কমাতে তাজা কাগজ/ফেনা ব্যবহার করুন। শীতল রুমে ১০–১৩°C তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করলে ২–৩ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো মান ধরে রাখা যায়; তবে কাঁচামাল গুণগতভাবে দ্রুত পতন হতে পারে, তাই দ্রুত বাজারজাতকরণ সবচেয়ে লাভজনক।

  ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম বাজারজাতকরণ ও আয় বাড়ানোর কৌশল

১) সরাসরি বিক্রি (ব্যান্ড/ফার্ম-গেট): নিয়মিত কাস্টমার বা রেস্টুরেন্ট/হোটেল সরবরাহ চুক্তি করুন — বড় অর্ডারে ভালো মূল্য পেতে পারেন।  ২) প্রক্রিয়াজাতকরণ: জাম, জেলি, শুকনো স্লাইস, স্মুথি প্যাক বা ককটেল মিশ্রণ তৈরিতে ব্যবহার করুন — ভ্যালু-অ্যাডিশন করে রাজস্ব বাড়ে। ৩) ব্র্যান্ডিং ও সোশ্যাল মিডিয়া: ফার্ম-ব্র্যান্ড তৈরি করুন — “অর্গানিক/লোকাল/টেস্টেড” লেবেল কাস্টমারের আস্থা বাড়ায়।

 ৪) এক্সপোর্ট সুযোগ: প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্লকচেইন ও মান নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে বিদেশি বাজারে সুযোগ আছে; তবে এক্সপোর্টে কাস্টম/ফাইটোসেনট্রি সার্টিফিকেট ও মান বজায় রাখা প্রয়োজন।  প্রাইসিং-টিপস: স্থানীয় হোলসেল বাজার মনিটরিং করুন (দিনের দাম ওঠানামা দেখে বিক্রয় করুন)। অনলাইন খুচরো প্ল্যাটফর্ম (চালডাল, ওথোবা ইত্যাদি) বা হাই-এন্ড গ্রোসারিতে সরবরাহ করলে কেজি মূল্যে বড় পার্থক্য দেখা যায়। 

 ড্রাগন চাষএবং অধিক ইনকাম  ছোট ফার্মারদের জন্য বাস্তবায়ন পরিকল্পনা (৩ বছরের রোডম্যাপ)

বছর ০ (পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি): জমি পরীক্ষা, সঅর্খনীতি, কাটা সংগ্রহ, ট্রেলিস ডিজাইন, বোঝাপড়া মার্কেট/অফটেকার খুঁজুন। বছর ১ (প্রতিষ্ঠা): কাটা রোপণ, পোল স্থাপন, নিয়মিত জল দেওয়া, প্রথম বীজ সঞ্চয়/কর্মী প্রশিক্ষণ। বছর ২: ফলন শুরু, স্থানীয় বাজারে বিক্রি, প্যাকেজিং শেখা, ব্লগ/ফেইসবুক পেজ চালু। 

বছর ৩: সম্পূর্ণ উৎপাদনশীলতা লক্ষ্য, প্রক্রিয়াজাতকরণ বা চেইন বিকাশ, বড় ক্রেতার সঙ্গে চুক্তি করা।  রিস্ক ম্যানেজমেন্ট: বীমা (যদি উপলব্ধ), পচা/বন্যার ঝুঁকি কমাতে উঁচু বেড, ভালো ড্রেনেজ, ও সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং অপরিহার্য।

 ড্রাগন চাষ এবং অধিক ইনকাম  কেস স্টাডি ও গবেষণার সারসংক্ষেপ

বাংলাদেশে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে ড্রাগন ফ্রুটের আবাদ দ্রুত বাড়ছে — ২০১৬–২০২২ সময়ে হেক্টর সংখ্যা ও উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজশাহী অঞ্চল বিশেষভাবে সফল ও উচ্চ মূল্য পাচ্ছে; কখনও-কখনও ঢাকার উচ্চমানের বাজারে কেজি BDT 700-800 পর্যন্ত বিক্রয়ও ধরা পড়েছে। গবেষণা রিপোর্টগুলো দেখায় সফল বাস্তবায়নে উৎপাদনশীলতা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

 ✅ ড্রাগন চাষ এবং অধিক ইনকাম  প্রায়ই পড়ে এমন প্রশ্ন (FAQ)

প্রশ্ন: ড্রাগন ফ্রুট কত দ্রুত ফল দেয়?

উত্তর: সাধারণত কাটা থেকে ১–২ বছরের মধ্যে আরম্ভ; স্থায়ী ফলন ৩–৪ বছরে পৌঁছায়। 

আরো পড়নঃ

প্রশ্ন: প্রতিটি গাছে গড়ে কত ফল হয়?

উত্তর: ক্লোন ও পরিচর্যার ওপর নির্ভর করে; গড়ে একটি সুস্থ গাছ বার্ষিক কয়েক ডজন পর্যন্ত ফল দিতে পারে; হাই-ডেনসিটি সিস্টেমে একর প্রতি মোট ফলন হাজার কেজি পর্যায়ে হতে পারে। 

প্রশ্ন: ছোট জমিতে কীভাবে লাভ বাড়াব?

উত্তর: উচ্চ ঘনত্ব প্ল্যান্টিং, ভ্যালু-অ্যাডিশন (জ্যাম/প্যাকড স্মুথি), সরাসরি উচ্চমূল্য ক্রেতার সন্ধান এবং মৌসুমি চাহিদা ঝুঁকি কমানো (চেইনেড কন্ট্রাক্ট)। 

সুপারিশসমূহ — দ্রুত চেকলিস্ট (নতুন শুরুকারীদের জন্য) ১।  মাটি পরীক্ষা ও উপযোগিতা যাচাই করুন। ২। উচ্চমানের কাটিং সংগ্রহ করুন (সার্টিফাইড ক্লোন হলে ভালো)। ৩। ট্রেলিস ও ড্রেনেজে বেশি খরচ করুন — দীর্ঘমেয়াদে রিটার্ন বাড়ায়। ৪। বাজার-কানেকশন আগে থেকেই তৈরি রাখুন (বিক্রেতা/হটেল/চেইন)। ৫। ফলন-চাপ বাড়াতে জৈব সার ও টাইমড সেচ ব্যবহার করুন। 

 ✅ ড্রাগন চাষ এবং অধিক ইনকাম  গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স (সংক্ষিপ্ত তালিকা)

Bangladesh — প্রকাশিত প্রবন্ধ: “Is Bangladesh witnessing a dragon fruit revolution?” (The Financial Express). Rajshahi news & মূল্য সূচি (BSS News)। Dragon fruit price overview (Selina Wamucii - Bangladesh price index)।  গবেষণা প্রকাশনা: “Opportunities of Dragon Fruit Cultivation in Bangladesh” (IJSSHR / ResearchGate)।  হাই-ডেনসিটি প্ল্যান্টিং গাইড (AgriFarming / Wikifarmer)। 

লেখকের  শেষ বক্তব্যঃ কিভাবে ড্রাগন চাষ করবেন এবং অধিক ইনকাম বাড়াবেন 

ড্রাগন ফ্রুট চাষ বর্তমানে বাংলাদেশে দ্রুত বেড়েছে এবং এটি ছোট থেকে মাঝারি কৃষকের জন্য আয় বাড়ানোর একটি শক্তিশালী পথ। সঠিক জমি নির্বাচন, ট্রেলিসিং, নিয়মিত পরিচর্যা, রোগ-নিয়ন্ত্রণ, এবং বাজারকেন্দ্রিক পরিকল্পনা মিলিয়ে ফসলকে লাভজনক করা সম্ভব। বিশেষ করে ভ্যালু-অ্যাডিশন — প্রক্রিয়াজাতকরণ, ব্র্যান্ডিং ও সরাসরি ক্রেতা চেইন — আপনার আয় দ্রুত বাড়াতে পারে।

 গবেষণা ও সরকারি/বেসরকারি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে স্থানীয় ক্লোন ও পরিবেশের জন্য অপ্টিমাইজ করলে ঝুঁকি কমে ও লাভ বাড়ে। সাম্প্রতিক রিপোর্ট ও বাজার-দাম বিবেচনা করে আপনার ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন — নরমালি ১–২ বছরের মধ্যে আয় শুরু হবে, কিন্তু পূর্ণ লাভ অর্জনে ৩–৪ বছর দরকার পড়তে পারে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url