বিকাশ, নগদ ও রকেটে হিসাব খুলবেন কিভাবে, কী কী সুবিধা পাবেন
বিকাশ, নগদ ও রকেটে হিসাব খুলবেন কিভাবে, কী কী সুবিধা পাবেন
বিকাশ, নগদ ও রকেটে হিসাব খোলা খুব সহজ। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নিকটস্থ এজেন্ট বা অ্যাপের মাধ্যমে মাত্র কয়েক মিনিটেই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। অ্যাকাউন্ট খুললে মোবাইল থেকেই টাকা জমা, উত্তোলন, রিচার্জ, বিল পরিশোধ, অনলাইন কেনাকাটা ও টাকা পাঠানো সম্ভব হয়।
এছাড়া নিরাপদ লেনদেন, সহজ ব্যবহার, ২৪/৭ সেবা এবং কম খরচে দেশের যেকোনো স্থানে টাকা পাঠানোই এর সবচেয়ে বড় সুবিধা। আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ অধ্যায়ন করলে ক্যাশ নবোদয়র অফিসের হিসাব খোলার নিয়ম এবং সুবিধা সমূহ সম্বন্ধে জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বিকাশ, নগদ ও রকেটে হিসাব খুলবেন কিভাবে, কী কী সুবিধা পাবেন
বিকাশ, নগদ ও রকেটে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস একাউন্ট কেন লাগবে
দ্বিতীয় অংশ–২: নগদ (Nagad) হিসাব খোলা
প্রথম অংশ–১: বিকাশ (bKash) হিসাব খোলা
তৃতীয় অংশ–৩: রকেট (DBBL Rocket) হিসাব খোলা
বিকাশ, নগদ ও রকেটে চার্জ ও সুবিধাসমূহ হাইলাইটস
বিকাশ, নগদ ও রকেটে তুলনামূলক সারাংশ
বিকাশ, নগদ ও রকেটে ধাপে ধাপে: নতুন একাউন্ট খোলার চেকলিস্ট
বিকাশ, নগদ ও রকেটে নিরাপত্তা টিপস অবশ্যই মেনে চলুন
বিকাশ, নগদ ও রকেটে ব্যবহারের সেরা কৌশল (ফি বাঁচান, সুবিধা বাড়ান)
বিকাশ, নগদ ও রকেটে ব্যবহার–কেস স্টাডি: কোন প্ল্যাটফর্ম কার জন্য
বিকাশ, নগদ ও রকেটে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক কিছু নীতিমালা প্রসঙ্গে
বিকাশ, নগদ ও রকেটে সাধারণ প্রশ্ন উত্তর (FAQ)
আমাদের শেষ বক্তব্যঃ বিকাশ নগদ ও রকেটে হিসাব খুলবেন কিভাবে, সব সুবিধা পাওয়া যায়
বিকাশ, নগদ ও রকেটে হিসাব খুলবেন কিভাবে, কী কী সুবিধা পাবেন
বাংলাদেশে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (MFS) – বিকাশ, নগদ ও রকেট– এ নতুন হিসাব খোলার সহজ ধাপ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ, নিরাপত্তা টিপস, সাধারণ ভুল, ব্যবহার-কেস ও তুলনামূলক চার্ট—সবকিছু এক জায়গায় পাওয়া যায়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অফিসিয়াল সোর্স থেকে ২০২৫ সালের সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরো পরুনঃ
বাংলাদেশে এখন টাকা পাঠানো, বিল পরিশোধ করা, কেনাকাটার পেমেন্ট, স্যালারি বা সরকারী ভাতাসবই মোবাইল থেকেই সম্ভব। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তুলনামূলক সারাংশ মতে, ২০২৫ সালের শুরুর দিকে দৈনিক গড় লেনদেন ৫,৫৩৭ কোটি টাকারও বেশি; নিবন্ধিত গ্রাহক (কাস্টমার+মার্চেন্ট) সংখ্যা ২৩.৯ কোটি+ এবং অ্যাকটিভ একাউন্ট ৮.৯+ কোটি। এ খাতে বিকাশ, নগদ ও রকেট, এই তিনটি প্ল্যাটফর্মই সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত হয়।
এই গাইডে দেখানো হলো—কীভাবে দ্রুত নতুন একাউন্ট খুলবেন, কী কী সুবিধা পাবেন, কোন কোন চার্জ/সীমা প্রযোজ্য, এবং কোনটা আপনার জন্য বেশি উপযোগী। > 👉 দ্রুত শুরু করতে: নিচের “দ্রুত শুরু” বাটনে ক্লিক-করাইড গাইড আছে।
বিকাশ, নগদ ও রকেটে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস একাউন্ট কেন লাগবে
মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস একাউন্ট যেসব কারণে লাগবে তার ৫টি বাস্তব কারণ নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
১। খুব দ্রুত টাকা পাঠানো যায় (P2P)ঃ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সেকেন্ডের মধ্যে টাকা পাঠানো হয়।
২। ক্যাশ-আউটের বিশাল নেটওয়ার্ক—এজেন্ট/এটিএম/ফাস্টট্র্যাক সহ হাজারো পয়েন্ট।
৩। বিল/ফি/মার্চেন্ট পেমেন্ট—বাড়ি ভাড়া, ইলেকট্রিসিটি/গ্যাস/পানি, শিক্ষা ফি, ই-কমার্স—সবই অ্যাপ থেকে।
৪। রেমিট্যান্স গ্রহণ—বিদেশ থেকে টাকা পেলে সাথে সাথেই ব্যবহারের সুবিধা, সরকারের প্রণোদনা যোগসহ।
৫। ব্যাংক-লিংক/কার্ড-টু-ওয়ালেট—ব্যাংক/কার্ড থেকে অ্যাড মানি করে ব্যবহার।
প্রথম অংশ–১: বিকাশ (bKash) হিসাব খোলা
একাউন্ট খোলার পদ্ধতি (eKYC সহ), অ্যাপ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে (সবচেয়ে দ্রুত)ঃ bKash অ্যাপ ডাউনলোড করুন, NID/জন্ম নিবন্ধনের ছবি আপলোড করুণ, সেলফি তুলুন, কয়েকটি ধাপ পর্যায়ক্রমে তার হতে হবে, এরপর PIN সেট করলেই একাউন্ট রেডি হয়ে যাবে এবং আপনি লেন্দেন শুরু করতে পারবেন।
USSD/এজেন্টের মাধ্যমেঃ *247# → নির্দেশনা মতো বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রদান করুন, বা নিকটস্থ bKash এজেন্ট পয়েন্টে NID এবং অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে যান। (ওয়েব-সহায়িকা দেখুন) ।
যেসব লাগবে: বৈধ NID/জন্মনিবন্ধন, সক্রিয় মোবাইল নম্বর, সেলফি (অ্যাপ রেজিস্ট্রেশন ক্ষেত্রে)।
লিমিট (সর্বশেষ অফিসিয়াল)ঃ মোমেন্টে সর্বোচ্চ ব্যালেন্স: ৫,০০,০০০ টাকা। দৈনিক/মাসিক ক্যাশ-আউট (এজেন্ট+এটিএম): দৈনিক ৩০,০০০ টাকা, মাসিক ২,০০,০০০ টাকা। ব্যাংকে ডিপোজিট: দৈনিক ৫০,০০০, মাসিক ৩,০০,০০০ টাকা (বিভিন্ন ব্যাংকে “bKash to Bank” সার্ভিসে)। রেমিট্যান্স: এক লেনদেনে ২,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত; রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ টাকার ব্যালেন্স ক্যাপ প্রযোজ্য নয় (বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে)।
চার্জের হাইলাইটসঃ এজেন্ট ক্যাশ-আউট (প্রিয় এজেন্টে): নির্দিষ্ট স্ল্যাব পর্যন্ত ১.৪৯%, ৫০,০০০ টাকা অতিক্রম করলে ১.৮৫% প্রযোজ্য (প্রিয় এজেন্ট লিমিট কনজিউমড হিসেবে গণ্য)। এটিএম ক্যাশ-আউট: ৳১৪.৯০ / প্রতিহাজার (BRAC/City/Q-Cash নেটওয়ার্ক)। সেন্ড মানি (Priyo Number): মাসে ৳২৫,০০০ পর্যন্ত ফ্রি; এরপর স্ল্যাবভিত্তিক ৳৫/৳১০ চার্জ। চার্জ ক্যালকুলেটর: অফিসিয়াল ক্যালকুলেটরে যেকোনো সার্ভিসের চার্জ হিসাব করা যায়।
বিকাশ হিসাব খোলার মাধ্যমে যেসব কাজ করতে পারবেন
মার্চেন্ট/ই-কম পেমেন্ট, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, মোবাইল রিচার্জ, সেভিংস/ইন্টারেস্ট, ব্যাংক-টু-বিকাশ/কার্ড-টু-বিকাশ, রেমিট্যান্স, শিক্ষা ফি/টিউশন ফি ইত্যাদি। সাম্প্রতিক ক্যাম্পেইন সময়ভেদে ডিসকাউন্টও থাকে।
দ্বিতীয় অংশ–২: নগদ (Nagad) হিসাব খোলা
নগদে একাউন্ট খোলার নিয়মঃ অ্যাপ থেকে eKYC ডাউনলোড করুন Nagad অ্যাপ । NID স্ক্যান করুন, সেলফি তুলুন, মোবাইল ভেরিফিকেশন কোড আসলে যাচাই করুন। PIN নাম্বার সেট করুন, নুতুন একাউন্ট তৈরি হলো । (Nagad অফিশিয়াল সার্ভিস পেইজে ধাপে ধাপে অপশন ও FAQ আছে) ।
লিমিট ও চার্জ বিষয়ে (অফিশিয়াল)ঃ মোমেন্টে সর্বোচ্চ ব্যালেন্সঃ ৫,০০,০০০ টাকা থাকতে হবে। দৈনিক ক্যাশ-আউটঃ সর্বোচ্চ ৩০,০০০ টাকা। ক্যাশ-ইন: দৈনিক সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা; ক্যাশ-ইন ফ্রি। সেন্ড মানিঃ অ্যাপ থেকে মাসে প্রথম ৩টি ফ্রি, এরপর প্রতি ট্রানজ্যাকশনে ৳৫; USSD (*167#) ব্যবহারে ৳৫/txn। ক্যাশ-আউট রেট (রেগুলার অ্যাপ)ঃ ৳১২.৯৯ / প্রতি হাজার—ঘোষণামতে তাদের “লোয়েস্ট এভার” রেট। ।(বিস্তারিত “Limit & Charges”, “Cash Out”, “Tariff Calculator” পেইজে) দেখুন ।
> নোট: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক নির্দেশনায় শিল্প-সর্বজনীন দৈনিক/মাসিক ট্রান্সফার ক্যাপ (P2P, ক্যাশ-ইন/আউট) বাড়ানো হয়েছে—প্ল্যাটফর্মভেদে বাস্তবায়ন ও UI আপডেটে পার্থক্য থাকতে পারে। সর্বশেষ নোটিশ/অ্যাপ আপডেট দেখে নিতে পারেন।
নগদ হিসাব খোলার মাধ্যমে যেসব কাজ করতে পারবেন
কার্ড-টু-নগদ অ্যাড মানি, রেমিট্যান্স গ্রহণ, বিল/মার্চেন্ট পেমেন্ট, মোবাইল রিচার্জ, EMI/ডোনেশন ইত্যাদি—অ্যাপ থেকে এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় থম ট্রাসফার করা যায়।
তৃতীয় অংশ–৩: রকেট (DBBL Rocket) হিসাব খোলা
রকেট একাউন্ট খোলার নিয়মঃ ডিজিটাল-KYC (অ্যাপ থেকে)ঃ Rocket অ্যাপ ডাউনলোড করুন, শুধু NID (অরিজিনাল) যুক্ত করুন, সেলফি দিয়ে Self-Registration দিন, PIN নাম্বার সেট করুন, এবার একাউন্ট রেডি হলো।
এজেন্ট/শাখা/ফাস্টট্র্যাক থেকে হিসাব খলার নিয়মঃ জাতীয় পরিচয়পত্র NID যুক্ত করুন, ছবি নিয়ে নিকটস্থ এজেন্ট/ডিবিবিএল ব্রাঞ্চ/ফাস্টট্র্যাক/MB অফিসে যান, eKYC ফর্ম পূরণ করুন, *322#/IVR মাধ্যমে PIN সেট করুন।
বিকাশ, নগদ ও রকেটে চার্জ ও সুবিধাসমূহ হাইলাইটস
Send Money:ঃ ফ্রি (যে-কোনো অংক, অ্যাপে); USSD-এ নির্দিষ্ট ফি থাকতে পারে। Cash Out: DBBL ATM/ফাস্টট্র্যাক/ব্রাঞ্চ: ০.৯%। এজেন্ট পয়েন্ট: ১.৮%, (Salary/স্টাইপেন্ড প্রোডাক্টে ভিন্ন রেট প্রযোজ্য) নেটওয়ার্কঃ এজেন্ট, ATM, ফাস্টট্র্যাক, বিল পে, রেমিট্যান্স, মার্চেন্ট পেমেন্টসহ বিস্তৃত কাভারেজ।
বিকাশ, নগদ ও রকেটে ২০২৫ সালের বাজারের কিছু চিত্র( স্ন্যাপশট)
দৈনিক গড় লেনদেন: ~৳৫,৫৩৭ কোটি (Jan’25, বাংলাদেশ ব্যাংক তুলনামূলক সারাংশ)।নিবন্ধিত ব্যবহারকারী (কাস্টমার+মার্চেন্ট): ২৩.৯৩ কোটি। অ্যাকটিভ অ্যাকাউন্ট: ৮.৯৩৮ কোটি। মাসিক ট্রানজ্যাকশনের সংখ্যা/মূল্য: ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায়। (বছরভিত্তিক বিশ্লেষণে ২০২৪ সালে MFS ট্রানজ্যাকশনের মোট মূল্য ৳১৭.৩৭ লক্ষ কোটি—২০২৩ থেকে ~২৮% বেশি—শিল্পের দ্রুত প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।)
বিকাশ, নগদ ও রকেটে তুলনামূলক সারাংশ
ফিচার/বিষয় বিকাশ (bKash) নগদ (Nagad) রকেট (DBBL)
অ্যাপ-ভিত্তিক eKYC NID/জন্মনিবন্ধন + সেলফি দিয়ে তাত্ক্ষণিক NID + সেলফি NID + সেলফি (Self-Registration)
মোমেন্টে সর্বোচ্চ ব্যালেন্স ৳৫,০০,০০০ ৳৫,০০,০০০ (বাংলাদেশ ব্যাংকের সাধারণ MFS ক্যাপ অনুযায়ী; পণ্যানির্ভর)
দৈনিক ক্যাশ-আউট ক্যাপ ৳৩০,০০০ (এজেন্ট+এটিএম মিলিয়ে) ৳৩০,০০০ পণ্যানির্ভর; ATM/ব্রাঞ্চ ০.৯%, এজেন্ট ১.৮% চার্জ
এটিএম ক্যাশ-আউট ৳১৪.৯০/হাজার (অফিসিয়ালি অ্যাপ-এজেন্ট ফোকাসড) ০.৯% (DBBL ATM/ফাস্টট্র্যাক)
সেন্ড মানি Priyo নম্বরে মাসে ৳২৫,০০০ পর্যন্ত ফ্রি; এরপর ৳৫/৳১০ অ্যাপে মাসে প্রথম ৩টা ফ্রি; এরপর ৳৫/txn; USSD ৳৫ অ্যাপে ফ্রি
ক্যাশ-ইন চার্জবিহীন (এজেন্ট/ব্যাংক-টু-বিকাশ/কার্ড-টু-বিকাশ শর্ত সাপেক্ষে) ফ্রি এজেন্ট/ব্রাঞ্চে ফ্রি/নীতিনির্ভর কাজ করে।
বিশেষ সুবিধাঃ ব্যাংকে ডিপোজিট, ATM কম-চার্জ ক্যাশ-আউট, রেমিট্যান্স, সেভিংস/ইন্টারেস্ট, বৃহৎ মার্চেন্ট নেটওয়ার্ক লো-চার্জ ক্যাশ-আউট (৳১২.৯৯/হাজার, শর্তসাপেক্ষ), কার্ড-টু-নগদ ATM/ফাস্টট্র্যাকে স্বল্প-চার্জ, রেমিট্যান্স, ব্যাংকিং ইকোসিস্টেম। উৎস: অফিসিয়াল হেল্প/চার্জ/লিমিট পেজ ও FAQ।
বিকাশ, নগদ ও রকেটে ধাপে ধাপে: নতুন একাউন্ট খোলার চেকলিস্ট
১। জাতীয় পরিচয়পত্র NID ও মোবাইল নম্বর প্রস্তুত রাখুন; অ্যাপ থেকে হলে ভালো ক্যামেরা/আলো দরকার। ২। অ্যাপ ডাউনলোড করুন (bKash/Nagad/Rocket) – অফিসিয়াল অ্যাপই ব্যবহার করুন। ৩। eKYC সম্পন্ন করুনঃ জাতীয় পরিচয়পত্র NID স্ক্যান করুন, সেলফি তুলুন, বেসিক তথ্য সরবরাহ করুন, OTP ভেরিফাই করে নিশ্চিত হোন । ৪। সিকিউর PIN সেট করুন, কাউকে কখনোই গোপন নাম্বার শেয়ার করবেন না। (সবাই ২৪/৭ হেল্পলাইন দেয়) ।
৫। প্রথম লেনদেনের আগেঃ চার্জ/লিমিট ক্যালকুলেটর দেখে নিন; প্রিয় এজেন্ট/প্রিয় নম্বর সেট করে নিলে খরচ কমে যাবে। ৬। অ্যাড মানি/ক্যাশ-ইন করে ফিচারগুলো টেস্ট করুন, রিচার্জ/বিল/সেন্ড মানি।
বিকাশ, নগদ ও রকেটে নিরাপত্তা টিপস অবশ্যই মেনে চলুন
PIN/OTP কারও সাথে শেয়ার করবেন না, ব্যাংক/ কর্তৃপক্ষ কখনোই এসব তথ্য মোবাইলে চাইবে না। অফিসিয়াল অ্যাপ/USSD (*247# / *167# / *322#) ছাড়া কিছু ব্যবহার করবেন না। অ্যাপ লক/বায়োমেট্রিক অন রাখুন; সন্দেহজনক কল/লিঙ্ক এড়িয়ে চলুন। ট্রানজ্যাকশন অ্যালার্ট (SMS/অ্যাপ নোটিফিকেশন) চালু রাখুন; স্টেটমেন্ট দেখে নিন নিশ্চিত হন।
বিকাশ, নগদ ও রকেটে ব্যবহারের সেরা কৌশল (ফি বাঁচান, সুবিধা বাড়ান)
bKash Priyo Number/Agent সেট করুন—সেন্ড মানি/ক্যাশ-আউট সাশ্রয়ী হবে। Nagad অ্যাপে ক্যাশ-আউট—বর্তমান অফারে ৳১২.৯৯/হাজার (শর্তসাপেক্ষ), বড় অংকে লাভজনক। Rocket ATM/ফাস্টট্র্যাক—০.৯% ক্যাশ-আউট রেট, বড় অংকে খরচ কম। ব্যাংকে ডিপোজিট/অ্যাড মানি—ক্যাশ বহনের ঝুঁকি কমায়; bKash/Nagad এ কার্ড/ব্যাংক-লিংক ব্যবহার করুন।
বিকাশ, নগদ ও রকেটে সাধারণ প্রশ্ন উত্তর (FAQ)
প্রশ্ন ১: NID না থাকলে কি একাউন্ট খোলা যাবে?
অনলাইন eKYC–এ NID প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন; বিকল্প হিসেবে জন্ম নিবন্ধন (bKash) উল্লেখ আছে। তবে নিয়ন্ত্রক নীতিমালায় NID-নির্ভর যাচাইকরণই মানদণ্ড। আপনার প্ল্যাটফর্মের অ্যাপের “Information Update/eKYC” মেনু দেখে নিন।
প্রশ্ন ২: অ্যাকাউন্ট ওপেনিং চার্জ লাগে?
রকেটে অ্যাকাউন্ট খোলা ফ্রি; bKash/Nagad–এর ক্ষেত্রেও অ্যাকাউন্ট ওপেনিং ফি নেই—লেনদেনভিত্তিক চার্জ প্রযোজ্য।
প্রশ্ন ৩: ক্যাশ-আউট ও সেন্ড মানির চার্জ কীভাবে কমাবো?
bKash–এ Priyo Agent/Priyo Number, নগদ–এ অ্যাপ থেকে সেন্ড মানি প্রথম ৩টি ফ্রি, রকেটে অ্যাপ সেন্ড মানি ফ্রি—এসব ব্যবহার করুন।
প্রশ্ন ৪: রেমিট্যান্স নিলে কি আলাদা সুবিধা আছে?
bKash–এ রেমিট্যান্সে সরকারের ২.৫% প্রণোদনা (ব্যাংক প্রণোদনা থাকলে সেটিও) ও কম-চার্জ ATM ক্যাশ-আউট সুবিধা রয়েছে; নগদ/রকেটেও রেমিট্যান্স গ্রহণ সাপোর্টেড।
আরো পরুনঃ
প্রশ্ন ৫: লিমিট কি প্ল্যাটফর্মভেদে আলাদা?
বাংলাদেশ ব্যাংকের শিল্প-সর্বজনীন ক্যাপ থাকে; প্ল্যাটফর্মগুলো সেটির ভেতরে নিজস্ব প্রোডাক্ট-ওয়াইজ লিমিট/ইন্টারফেস দেয়। সর্বশেষ অফিসিয়াল লিমিট পেজ দেখুন।
বিকাশ, নগদ ও রকেটে ব্যবহার–কেস স্টাডি: কোন প্ল্যাটফর্ম কার জন্য
এটিএম ক্যাশ-আউট বেশি দরকার? DBBL নেটওয়ার্ক থাকায় রকেট—০.৯% রেট—ভালো অপশন। অনেক মার্চেন্ট পেমেন্ট/অনলাইন অফার চান? বিকাশ—বৃহৎ মার্চেন্ট নেটওয়ার্ক ও নিয়মিত ক্যাম্পেইন। লো-চার্জ ক্যাশ-আউট চান? নগদ অ্যাপ—৳১২.৯৯/ প্রতি হাজার (শর্তসাপেক্ষ)। ব্যাংকিং ইকোসিস্টেমে লিংকড সার্ভিসঃ রকেট (ডিবিবিএল ইকোসিস্টেম) ও বিকাশ (ব্যাংক-টু-বিকাশ/বিকাশ-টু-ব্যাংক) ফান্ড ট্রানস্ফার করা যায়।
বিকাশ, নগদ ও রকেটে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক কিছু নীতিমালা প্রসঙ্গে
২০২৪–২৫ সময়ে লেনদেনের সংখ্যা ও মূল্যে দৃঢ় প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে; P2P ও মার্চেন্ট পেমেন্ট—দুই সেগমেন্টেই ব্যবহার বেড়েছে। দৈনিক গড় ট্রানজ্যাকশন, একটিভ অ্যাকাউন্ট, এজেন্ট নেটওয়ার্ক। সবকিছুতে ইতিবাচক ট্রেন্ড আছে। (শিল্প সারাংশ/সংবাদ প্রতিবেদন দেখুন) ।
আমাদের শেষ বক্তব্যঃ বিকাশ নগদ ও রকেটে হিসাব খুলবেন কিভাবে, সব সুবিধা পাওয়া যায়
বাংলাদেশে বিকাশ, নগদ ও রকেট—তিনটিই এখন অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য MFS সমাধান। আপনার প্রধান চাহিদা (ATM ক্যাশ-আউট, লো-চার্জ ক্যাশ-আউট, মার্চেন্ট অফার, ব্যাংক-লিংক, রেমিট্যান্স), যেটি প্রাধান্য পায়, সেই অনুযায়ী প্রাইমারি প্ল্যাটফর্ম বেছে নিন; পাশাপাশি সেকেন্ডারি হিসেবে অন্য একটি একাউন্টও রাখলে অফার/ফি-অপ্টিমাইজেশন করা সম্ভব হয়।
সবচেয়ে জরুরি হলো—অফিসিয়াল অ্যাপ ব্যবহার, PIN/OTP গোপন রাখা, আর চার্জ-লিমিট জেনে স্মার্টলি ট্রানজ্যাকশন করা। সর্বশেষ চার্জ/লিমিট ও ক্যাম্পেইন সবসময় অফিসিয়াল পেজেই যাচাই করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url