প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া
প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া
নিচে বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া, বৈজ্ঞানিক তথ্য ও সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী একটি প্রবন্ধের কাঠামো ও মূল বিবরণ দেওয়া হলো। বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া: বিস্তারিত নির্দেশিকা
বাংলাদেশে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক নিয়োগ ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া অপরিহার্য। এটি দুইটি ধাপে বিভক্ত—সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ও বেসরকারি (MPO-ভুক্ত) বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিবন্ধন (NTRCA)। নিচে উভয় ক্ষেত্রের সাম্প্রতিক নিয়মনীতি, তথ্য ও গ্রাফিক্সে সাজানো বিশ্লেষণ দেওয়া হয়েছে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া
প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ ও নিবন্ধনঃ নিয়োগ পরীক্ষা ও নিয়োগ প্রক্রিয়া
বেসরকারি (MPO-ভুক্ত) বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিবন্ধন ও নিয়োগ (NTRCA)
প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ ও নিবন্ধনঃ সুযোগ সুবিধা ও ভবিষ্যৎ
প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া
আমাদের শেষ বক্তব্যঃ প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া
প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া
১। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ – প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (DPE) সরকারি ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ২। আবেদন জমা – প্রার্থীরা অনলাইনে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে আবেদন ফি প্রদানসহ আবেদন করেন। ৩। যোগ্যতা – সাধারণত ন্যূনতম স্নাতক/সমমান ডিগ্রি, বয়স সীমা ও অন্যান্য শর্ত পূরণ করতে হয়। ৪। লিখিত পরীক্ষা – বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া হয়।
আরো পড়ুনঃ
৫। মৌখিক পরীক্ষা – লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষা হয়। ৬। ফলাফল ও নিয়োগপত্র – চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রকাশের পর নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। ৭। নিবন্ধন – নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান করে অফিসিয়াল নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা পদ্ধতি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া বর্তমানে বাংলাদেশে একটি সুসংগঠিত ও ধাপভিত্তিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়, যাতে যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা যায়। নিচে ধাপে ধাপে বিস্তারিত তুলে ধরা হল।
প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ ও নিবন্ধনঃ নিয়োগ পরীক্ষা ও নিয়োগ প্রক্রিয়া
১. নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশঃ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (DPE) অনলাইনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরুর ও শেষের তারিখ, বয়সসীমা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, শূন্যপদ সংখ্যা, এবং পরীক্ষার পদ্ধতি উল্লেখ থাকে।
২. আবেদন করার যোগ্যতাঃ শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম স্নাতক/সমমান পাশ (অনেক সময় HSC-ও প্রযোজ্য হতে পারে, বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী)। বয়সসীমা: সাধারণত ২১-৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও কিছু ক্ষেত্রে ৩২ বছর পর্যন্ত। অতিরিক্ত যোগ্যতা: শিক্ষাদানে আগ্রহ, কম্পিউটার জ্ঞান, এবং স্থানীয় প্রার্থীদের অগ্রাধিকার।
৩. আবেদন প্রক্রিয়াঃ অনলাইনে আবেদন: প্রার্থীরা DPE-এর ওয়েবসাইটে (dpe.teletalk.com.bd) গিয়ে ফরম পূরণ করে। আবেদন ফি জমা: টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে ফি প্রদান (সাধারণত ১১০–২০০ টাকা)। প্রয়োজনীয় নথি: ছবি, স্বাক্ষর, শিক্ষাগত সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি স্ক্যান করে আপলোড। ৪. নিয়োগ পরীক্ষা পদ্ধতিঃ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সাধারণত তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়ঃ
ক) লিখিত পরীক্ষাঃ বিষয়: বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও প্রাথমিক বিজ্ঞান। নম্বর: সাধারণত ৮০ নম্বরের MCQ (বহুনির্বাচনী প্রশ্ন)। সময়: ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট।
নেগেটিভ মার্কিং: অনেক সময় প্রতি ভুলের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হয়।
খ) মৌখিক পরীক্ষা (Viva)ঃ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। এখানে প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব, আত্মবিশ্বাস, শিক্ষাদান পদ্ধতির জ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান এবং বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা যাচাই করা হয়। নম্বর সাধারণত ২০–৩০।
গ) চূড়ান্ত মেধা তালিকাঃ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রস্তুত হয়। জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক শূন্যপদ অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচন করা হয়।
৫. নিয়োগের পর প্রক্রিয়াঃ নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ (PTI – Primary Teachers’ Training Institute) এ পাঠানো হয়। প্রশিক্ষণ শেষে নিয়োগপত্র প্রদান করে কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
৬. বিশেষ তথ্য (সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী – ২০২৫)ঃ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা খুব বেশি; প্রতি পদে ২৫–৪০ জন পর্যন্ত আবেদন করে। নারীদের জন্য নির্দিষ্ট কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ অন্যান্য সংরক্ষিত আসন থাকে। সব প্রক্রিয়া এখন ডিজিটাল, ফলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া(DPE মাধ্যমে)
২.১ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সারসংক্ষেপঃ এটি পরিচালিত হয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (DPE) এর মাধ্যমে। কাউন্সিল থেকে মার্কড ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ হয়, যেখানে সহকারী শিক্ষক হলে গ্রেড ১৩, বেতন স্কেল ১১,০০০–২৬,৫৯০ টাকা ।
২.২ যোগ্যতা ও বয়স সীমাঃ শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক/সম্মান ডিগ্রি, CGPA: ৪ স্কেলে ≥ ২.২৫ অথবা ৫-স্কেলে ≥ ২.৮ । বয়স সীমা: সাধারণ প্রার্থী ২১–৩০/৩২ বছর; মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য বয়সসীমা শিথিল হয় (ধরা হতে পারে ৩২ বছর পর্যন্ত) ।
২.৩ আবেদন প্রক্রিয়া (অনলাইন পদক্ষেপ)ঃ 1. আবেদন ফর্ম পূরণ: DPE-র ওয়েবসাইট (dpe.teletalk.com.bd) থেকে আবেদন । 2. Fee জমা: Teletalk SIM-এ প্রয়োজনীয় পরিমাণ (প্রায় ২২০ টাকা, ফি + সার্ভিস চার্জ) । 3. Applicant’s Copy: ফি জমার পর SMS-এ পাঠানো User ID/Password দিয়ে Final Applicant’s Copy ডাউনলোড ।
২.৪ নিয়োগ পরিক্ষা (পরীক্ষার স্টেপ)ঃ লিখিত পরীক্ষা: সাধারণত MCQ ফরম্যাটে (বাংলা, গণিত, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান + ICT/বিজ্ঞান) মোট ৭৫–৮০ নম্বর; ভুলের জন্য নেতিবাচক মার্কিং (প্রতি ভুলে –০.২৫) । মৌখিক পরীক্ষা (viva-voce): লিখিত উত্তীর্ণ প্রার্থী মৌখিকেই অংশ নেয় যা ব্যক্তিত্ব, যোগাযোগ দক্ষতা ইত্যাদি যাচাই করে । অন্যান্য যাচাইকরণঃ ডিক্যাল টেস্ট ও পুলিশ ভেরিফিকেশন হয় পরবর্তী ধাপে ।
২.৫ চূড়ান্ত নিয়োগ ও পোস্টিংঃ মেধাতালিকা অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচন, স্কুলে যোগদান ও পোস্টিং। মহিলা প্রার্থীদের গ্রামে পোস্টিং সুবিধা দেওয়া হয় । যোগদানের পর B.Ed বা সমমানের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হয় ।বেতন ছাড়াও পেনশন, স্বাস্থ্যবীমা, গৃহঋণ, উৎসব ভাতা ইত্যাদি সুবিধা থাকে ।
২.৬ সাম্প্রতিক অবস্থা ও বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্তঃ ৬,৫৩১ জন সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল: হাইকোর্ট গত ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ পুরানো কোটাভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে এবং পুনরায় ফল প্রকাশে নির্দেশ দেয় । প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ: বর্তমানে ৩৪,১০৬টি শুন্য প্রধান শিক্ষক পদ রয়েছে (মোট ৬৫,৫৬৯ বিদ্যালয়ে)। BPSC-তে এই পদগুলোর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসছে শিগগিরই । সরকারি শিক্ষক নিয়োগ উদ্যোগ: ডাক্তার, সহকারী শিক্ষক ও নার্স নিয়ে দ্রুত নিয়োগের পরিকল্পনা চলছে—প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে প্রায় ৩০,০০০ জন নিয়োগ করা হবে ।
বেসরকারি (MPO-ভুক্ত) বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিবন্ধন ও নিয়োগ (NTRCA)
৩.১ NTRCA-এর ভূমিকাঃ NTRCA (Non-Government Teachers’ Registration and Certification Authority) প্রতিষ্ঠিত ২০০৫ সালে। MPO-ভুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক নিয়োগ-নিবন্ধন পরিচালনা করে । প্রিলিমিনারি → লিখিত → মৌখিক (viva-voce) এই তিন ধাপে পরীক্ষা হয় ।
৩.২ নিয়োগ প্রক্রিয়ার ধাপসমূহঃ 1. প্রিলিমিনারি: ১ ঘণ্টায় ১০০ নম্বরের MCQ পরীক্ষা । 2. লিখিত + কাগজপত্র যাচাইকরণ: শিক্ষাগত সনদ, আবেদনপত্র যাচাইয়ের পর লিখিত পরিক্ষা হয় । 3. মৌখিক (viva-voce): তৃতীয় ধাপে মৌখিক পরীক্ষা হয় এবং সফল প্রার্থীদের ভর্তি তালিকা ও প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়; MPO-ভুক্ত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশ যোগ্যতা অনুযায়ী করা হয় । ২০১৭ সালে প্রায় ৫২৭,৭৫৭ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন, ১,৪৭,২৬২ উত্তীর্ণ ছিলেন ।
৩.৩ সাম্প্রতিক নীতিগত পরিবর্তনঃ পুলিশ ভেরিফিকেশন সহজীকরণ: ৯ জুলাই ২০২৫-এ জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী, NTRCA নির্বাচিত প্রার্থীদের VR ফরম সরাসরি পুলিশের Special Branch-এ পাঠাবে যাতে প্রক্রিয়া দ্রুত হয় ।
প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ ও নিবন্ধনঃ সুযোগ সুবিধা ও ভবিষ্যৎ
আপনার প্রশ্নের প্রতিটি অংশ — নিয়োগ প্রক্রিয়া, নিবন্ধন (অর্থাৎ আবেদনের ফি), সুযোগ-সুবিধা, এবং চাকরির ভবিষ্যৎ — নিচে বাংলায় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:
১. নিয়োগ প্রক্রিয়া ও আবেদনের ফিঃ নিয়োগ কর্তৃপক্ষ: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (DPE) ও DPE.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়স: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি (ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি), এবং বয়ঃসীমা সাধারণ ক্ষেত্রে ২১–৩২ বছর। আবেদন ফি: টেলিটক মোবাইল মাধ্যমে আবেদন করলে ফি— ৳২০০ + সার্ভিস চার্জ ৳২০ = মোট ৳২২০।
২. বেতন ও সুযোগ-সুবিধাঃ বেতন স্কেল: সহকারী শিক্ষক গ্রেড-১৩, বেতন স্কেল ৳১১,০০০–২৬,৫৯০; প্রারম্ভিক মূল বেতন: ৳১১,০০০। ভাতা ও ভাড়া ভাতাসহ মোট আয়ঃ চিকিৎসা ভাতা: ৳১,৫০০, টিফিন ভাতা: ৳২০০, যাতায়াত ভাতা: ৳৩০০, বাড়িভাড়া: এলাকার ভিত্তিতে মূল বেতনটির ৪৫–৬০% (ঢাকায় ৬০%, অন্য বড় শহরে ৫০%, তফসিলি এলাকায় ৪৫%),মোট আয়: ঢাকা → প্রায় ৳১৯,৫০০; অন্যান্য বড় শহর → ~৳১৮,৫০০; তফসিলি এলাকা → ~৳১৭,৯৫০ ।
বেতন বৃদ্ধিঃ উৎসব ও ভাতাঃ প্রতিবছর ৫% বেতন বৃদ্ধি (~৳৫৫০)।বছরে দুইটি উৎসব ভাতা (প্রতি উৎসবে মূল বেতনের সমপরিমাণ, মোট ~৳১১,০০০)। বৈশাখী ভাতা ২০% (~৳২,২০০)। দু’টি টাইম স্কেল সুবিধা কর্মজীবনে । অন্যান্য সুবিধাঃ কল্যাণ তহবিল থেকে অসুস্থতার জন্য আর্থিক সহায়তা। শিক্ষাবিদ হিসেবে বিদেশে এক বছরের প্রশিক্ষণ – খরচ দেবে অধিদপ্তর। পোষ্য কোটা ও শীর্ষস্থানীয় বৃত্তির সুযোগ। পেনশন ও অবসর সুবিধাঃ ৫ বছর চাকরির পরই পেনশনের আওতায় পড়া যায়।
অবসর পর ১৮ মাসের মূল বেতন সমপরিমাণ ল্যামগ্রান্ড (Gratuity), এক বছরের PRL, অর্জিত বেতনের ২৩ ০-গুণ পেনশন এবং আজীবন পারিবারিক পেনশন। শায়িত চিকিৎসা ভাতা: আগে ছিল ৳১,৫০০, ৬৫+ বয়স হলে মাসিক ভাতা ৳২,৫০০ । উদাহরণস্বরূপ: মূল বেতন ~৳২০,৫৩০ হলে এককালীন Gratuity ~৳২৪,৬৯,৮৫৫, মাসিক পেনশন ~৳৯,২৩৮.৫০ + চিকিৎসা ভাতা ৳১,৫০০ = মোট মাসিক ~৳১০,৭৩৮.৫০ ।
৩. চাকরির ভবিষ্যৎ (Career Outlook)ঃ স্থিতিশীলতা ও সম্মান: সরকারি চাকরি হওয়ায় সরকারি সেবা নিরাপদ, সম্মানজনক এবং সুশাসন ব্যবস্থায় সম্মান পায়। ক্যারিয়ার অগ্রগতি: সহকারী → সহকারী প্রধান শিক্ষক → প্রধান শিক্ষক পদ; উচ্চ পর্যায়ে চলে গেলে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে প্রশাসনিক শিক্ষক (ATEO, PTI Instructor) পদে কাজ করার সম্ভাবনা থাকে । স্ব-উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ: চাকরির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, বিদেশগামী প্রোগ্রাম, পেশাগত উন্নয়নের সুযোগ আছে ।
সংক্ষিপ্ত সারাংশ (টেবুলার)
বিষয় বিশদ বিবরণ
নিয়োগ প্রক্রিয়া DPE এর মাধ্যমে অনলাইন, ফি ৳২২০
শুরুর বেতন মূল বেতন ৳১১,০০০ + ভাতাসহ মোট ~৳১৭-১৯ হাজার
ভাতা ও সুবিধা চিকিৎসা, টিফিন, যাতায়াত, বাড়িভাড়া, উৎসব/বৈশাখী ভাতা, সময়সীমা অনুযায়ী টাইম-স্কেল
আরো পড়ুনঃ
পেনশন ও অবসর ৫ বছর পর পেনশনযোগ্য; অবসর পর Gratuity, PRL, পেনশন ও চিকিৎসা ভাতা
ক্যারিয়ার সম্ভাবনা পদোন্নতি, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, বিদেশ প্রশিক্ষণ; সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা।
সারসংক্ষেপে বলতে গেলে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হওয়া একটি নিরাপদ, সম্মানজনক এবং দীর্ঘমেয়াদি পেশাগত বিকাশের সুযোগ জুগিয়ে থাকে—যেখানে বেসিক বেতনের পাশাপাশি বিভিন্ন ভাতা, পদোন্নতির পথ, অবসরকালীন আর্থিক সুরক্ষা ও প্রশিক্ষণ সুবিধা রয়েছে।
প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকঃ তুলনামূলক বিশ্লেষণ: সরকারি vs NTRCA নিয়োগ
বিষয় সরকারি (DPE) নিয়োগ NTRCA (বেসরকারি MPO-ভুক্ত)
নিয়োগ কর্তৃপক্ষ DPE (সরাসরি নিয়োগ) NTRCA (নিবন্ধন ও সুপারিশ)
আবেদন পদ্ধতি ডাইরেক্ট অনলাইন অনলাইন + কাগজপত্র যাচাই
পরীক্ষা ধাপ লিখিত, মৌখিক, ভেরিফিকেশন প্রিলিমিনারি, লিখিত, মৌখিক, ভেরিফিকেশন
পোস্টিং সরকারী স্কুল MPO-ভুক্ত বেসরকারি বিদ্যালয়
সুবিধা B.Ed প্রশিক্ষণ, পেনশন, স্বাস্থ্য, গ্রাম পোস্টিং প্রত্যয়নপত্র, অনুমোদিত নিয়োগ
সাম্প্রতিক পরিবর্তন কোটাসংক্রান্ত বিচার, প্রধান শিক্ষক নিয়োগ শুরু পুলিশ ভেরিফিকেশন সহজ করা হয়েছে।
আমাদের শেষ বক্তব্যঃ প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া
প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষক নিয়োগ ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি ও বেসরকারি দুইটি ক্ষেত্রের প্রক্রিয়া জানার মাধ্যমে প্রার্থীরা প্রস্তুতি নিতে পারেন। সাম্প্রতিক ঘটনার প্রতি নজর রাখা—যেমন আদালতের রায়, নিয়োগ বাতিল, প্রধান শিক্ষক নিয়োগ—তথ্যসমৃদ্ধ ও সময়োপযোগী লেখা নিশ্চিত করবে প্রবন্ধের কার্যকারিতা ও SERP-র উচ্চতর অবস্থান।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url