যে কোন চাকরির CV লেখার সর্বোত্তম নিয়ম জানুন

 যে কোন চাকরির CV লেখার সর্বোত্তম নিয়ম  জানুন

সঠিকভাবে সিভি (CV) লেখার নিয়ম ও কাঠামো জানুন। যেকোনো চাকরির জন্য আদর্শ সিভির উদাহরণ, ফরম্যাট, ও গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিয়ে বিস্তারিত গাইড। চাকরি পাওয়ার জন্য সফল সিভি লেখার কৌশল এই আর্টিকেলে। 

এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব কীভাবে একটি আদর্শ সিভি তৈরি করবেন যেটি যেকোনো চাকরির জন্য প্রযোজ্য হতে পারে। আপনি এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করুন এবং যে কোন চাকরির ছবি লেখা সর্বোত্তম নিয়ম জেনে নিন সেই সাথে আপনার বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ যে কোন চাকরির CV লেখার সর্বোত্তম নিয়ম  জানুন

✅  যে কোন চাকরির CV লেখার সর্বোত্তম নিয়ম  জানুন
✅ চাকরির সিভি কি এবং এর বৈশিষ্ট্য কি
✅ সিভি (CV) এবং বায়োডাটা (Biodata) কী? এদের মধ্যে পার্থক্য কী
📌সিভি লেখার আগে যে সব বিষয় জানা জরুরি
🏗️ সিভির  লেখার উত্তম কাঠামো (CV Structure)
🧠 একটি সফল সিভি লেখার ১৫টি কার্যকরী টিপস
🧾 বাংলাদেশে চাকরির জন্য সিভি কেমন হওয়া উচিত
✅ নতুনদের জন্য CV লেখার আদর্শ টেমপ্লেট
📂 কোথায় তৈরি করবেন প্রফেশনাল CV
📢 লেখকের চুড়ান্ত মতামতঃ যে কোন চাকরির CV লেখার সর্বোত্তম নিয়ম 

📝যেকোনো চাকরির CV লেখার সর্বোত্তম নিয়ম  জানুন

✅ সঠিকভাবে সিভি (CV) তৈরি করে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ান 🔍 আজকের প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে একটি পেশাদার এবং প্রভাববিস্তারকারী সিভি (Curriculum Vitae) হচ্ছে আপনার চাকরি পাওয়ার প্রথম সিঁড়ি। এটি শুধুমাত্র আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতার তালিকা নয়—এটি আপনার পেশাগত পরিচয়, দক্ষতা ও সামর্থ্যের পরিচয়পত্র। তাই এটি যত বেশি গোছানো, প্রাসঙ্গিক এবং আকর্ষণীয় হবে, ততই বাড়বে আপনার নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ।

আরো পড়ুনঃ

যে কোন চাকরির সিভি লেখার সর্বোত্তম নিয়ম (অতি সংক্ষেপে)ঃ ১।  পরিষ্কার ও সংক্ষিপ্ত: ১-২ পাতার মধ্যে রাখুন। ২।  ব্যক্তিগত তথ্য: নাম, ঠিকানা, মোবাইল, ইমেইল ঠিকভাবে দিন। ৩। ভালো পেশাদার সারাংশ (Career Objective): সংশ্লিষ্ট চাকরির সাথে মিলিয়ে লিখুন। ৪। শিক্ষাগত যোগ্যতা: সর্বশেষ ডিগ্রি আগে দিন, ফলাফলসহ। ৫।  কাজের অভিজ্ঞতা: প্রতিষ্ঠান, পদবি, সময়কাল ও দায়িত্বগুলো উল্লেখ করুন। 

৬। দক্ষতা: কম্পিউটার, ভাষা ও পেশাগত দক্ষতা দিন। ৭। অতিরিক্ত কার্যক্রম: প্রশিক্ষণ, ওয়ার্কশপ, অ্যাওয়ার্ড উল্লেখ করুন। ৮।  সততা ও গঠন: বানান ঠিক রেখে, ফরম্যাট ঝরঝরে রাখুন। ৯।  ফটো ও রেফারেন্স: প্রয়োজনে দিন, কিন্তু চাকরি অনুযায়ী বিবেচনা করুন। ১০। কাস্টোমাইজ করুন: প্রতি চাকরির জন্য সিভি সামান্য পরিবর্তন করুন।

✅ চাকরির সিভি কি এবং এর বৈশিষ্ট্য কি

✅ চাকরির CV কীঃ  CV এর পূর্ণরূপ হলো Curriculum Vitae, যার বাংলা অর্থ হলো জীবনবৃত্তান্ত। এটি একটি লিখিত দলিল বা নথি যেখানে একজন চাকরিপ্রার্থীর শিক্ষা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, কৃতিত্ব, এবং ব্যক্তিগত তথ্য সংক্ষিপ্ত ও সংগঠিতভাবে উপস্থাপন করা হয়। মূলত কোনো চাকরির জন্য আবেদন করার সময় নিয়োগকারী যেন একজন প্রার্থীর যোগ্যতা দ্রুত মূল্যায়ন করতে পারেন, সে জন্যই CV ব্যবহৃত হয়।

✅ চাকরির CV এর বৈশিষ্ট্যসমূহঃ চাকরির জন্য একটি ভালো CV-এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমনঃ সংক্ষিপ্ত ও প্রাসঙ্গিক  CV অবশ্যই ১–২ পাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত। শুধুমাত্র চাকরির সাথে সম্পর্কিত তথ্যই উল্লেখ করা উচিত।

2️⃣ সুশৃঙ্খল বিন্যাস সুনির্দিষ্ট শিরোনামে বিভাজন (যেমন: ব্যক্তিগত তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, ইত্যাদি) থাকা উচিত। পয়েন্ট আকারে লেখা হলে পাঠক সহজে ধরতে পারেন।

3️⃣ সঠিক ও আপডেটেড তথ্য  প্রতিটি তথ্য (যেমন: ফোন নম্বর, ইমেইল, ঠিকানা, শিক্ষাগত ফলাফল) সঠিক এবং হালনাগাদ হওয়া জরুরি।

4️⃣ পেশাদারী ভাষা ও বানান বানান ভুল বা অনাকাঙ্ক্ষিত ভাষা ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত। পেশাদার টোনে লেখা থাকা উচিত। 

5️⃣ প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতা পূর্বের চাকরি বা কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তা তারিখসহ উল্লেখ করা জরুরি। কোন দায়িত্ব পালন করেছেন, সেটাও সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হয়।

6️⃣ দক্ষতা (Skills) প্রাসঙ্গিক সফটওয়্যার, প্রযুক্তিগত জ্ঞান, যোগাযোগ দক্ষতা ইত্যাদি উল্লেখ করা দরকার।

7️⃣ অর্জন ও প্রশংসাপত্র পুরস্কার, সনদপত্র বা কোনো বড় অর্জনের উল্লেখ করলে নিয়োগকর্তা উৎসাহিত হন।

8️⃣ ভুল তথ্য পরিহার  অতিরঞ্জিত বা মিথ্যা তথ্য কখনোই দেওয়া উচিত নয়। এটি চাকরি পাওয়ার পরেও সমস্যার কারণ হতে পারে।

9️⃣ পাসপোর্ট সাইজ ছবি (যদি প্রযোজ্য হয়)  কিছু চাকরির ক্ষেত্রে ছবি যুক্ত করা প্রয়োজন হয়।

🔟 Career Objective (কর্মজীবনের লক্ষ্য) সংক্ষিপ্তভাবে চাকরি প্রার্থীর লক্ষ্য ও আগ্রহ বোঝাতে একটি “Career Objective” অংশ থাকা ভালো।

✅ একটি মানসম্পন্ন CV চাকরির প্রথম ধাপে নিয়োগকর্তার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করার মাধ্যম। এটি যদি সঠিকভাবে প্রস্তুত করা হয়, তাহলে ইন্টারভিউয়ের ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

✅ সিভি (CV) এবং বায়োডাটা (Biodata) কী,এদের মধ্যে পার্থক্য কী

চাকরি, শিক্ষাক্ষেত্র বা পেশাগত জীবনে নিজেকে উপস্থাপন করতে আমরা সাধারণত সিভি (Curriculum Vitae) ও বায়োডাটা (Biographical Data) ব্যবহার করি। তবে অনেকেই এই দুটি শব্দকে এক মনে করলেও, এদের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলোঃ 

📝 সিভি (Curriculum Vitae) কীঃ  Curriculum Vitae ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ "জীবনের পাঠক্রম" বা "life course"। এটি হলো এমন একটি বিস্তারিত নথি যা একজন ব্যক্তির শিক্ষা, কর্মজীবন, গবেষণা, স্কিল, প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য পেশাগত তথ্য উপস্থাপন করে।

🔹 সিভির বৈশিষ্ট্যঃ বিস্তারিত এবং গুছানো উপস্থাপন। শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের অভিজ্ঞতা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত একাধিক পৃষ্ঠা দীর্ঘ হয় (২-৪ পৃষ্ঠা হতে পারে)। একাডেমিক, গবেষণা বা আন্তর্জাতিক চাকরিতে বেশি ব্যবহৃত হয়।  নির্দিষ্ট পজিশনের জন্য Customization করা যায়। 📝 বায়োডাটা (Biographical Data) কীঃ  বায়োডাটা হলো ব্যক্তিগত তথ্যভিত্তিক একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন। এটি মূলত বয়স, জন্মতারিখ, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, ধর্ম, ভাষা, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কিছু ক্ষেত্রে চাকরির ইতিহাস তুলে ধরে।

🔹 বায়োডাটার বৈশিষ্ট্যঃ ব্যক্তিগত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি। সাধারণত ১ পৃষ্ঠার বেশি হয় না। সরকারী চাকরি, বিয়ের প্রস্তাব, বা সাধারণ কাজের জন্য ব্যবহৃত। কম ফরমাল এবং বিস্তারিত তথ্য থাকে না। 

📊 সিভি এবং বায়োডাটার মধ্যে পার্থক্যঃ 

   বিষয় সিভি (CV) বায়োডাটা (Biodata)

পূর্ণরূপ Curriculum Vitae Biographical Data

প্রধান লক্ষ্য পেশাগত ও একাডেমিক জীবন উপস্থাপন ব্যক্তিগত তথ্য উপস্থাপন

তথ্যের ধরন শিক্ষা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, গবেষণা ইত্যাদি জন্ম, ঠিকানা, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা ইত্যাদি

দৈর্ঘ্য বিস্তারিত (২-৪ পৃষ্ঠা হতে পারে) সংক্ষিপ্ত (১ পৃষ্ঠা সাধারণত)

ব্যবহার ক্ষেত্র একাডেমিক, কর্পোরেট, বিদেশি চাকরি সরকারী চাকরি, বিয়ে, সাধারণ কাজ

ফরমাল কাঠামো   খুবই ফরমাল ও প্রফেশনাল তুলনামূলকভাবে অনানুষ্ঠানিক

🎯 আপনি যদি গবেষণাভিত্তিক, শিক্ষামূলক বা কর্পোরেট পেশায় আবেদন করতে চান, তাহলে সিভি ব্যবহার করাই উপযুক্ত। তবে যদি সরকারী চাকরি বা বিয়ের জন্য তথ্য উপস্থাপন করতে চান, তাহলে বায়োডাটাই যথাযথ।

📌সিভি লেখার আগে যে সব বিষয় জানা জরুরি

🎯 সিভির লক্ষ্য নির্ধারণঃ প্রথমেই আপনাকে বুঝতে হবে, কোন ধরনের চাকরির জন্য আপনি আবেদন করছেন এবং সেই চাকরির প্রয়োজন অনুযায়ী কী ধরনের তথ্য সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক। উদাহরণস্বরূপঃ যদি আপনি একটি মার্কেটিং পজিশনের জন্য আবেদন করেন, তাহলে আপনার মার্কেটিং স্কিল, ডিজিটাল ক্যাম্পেইন অভিজ্ঞতা, এবং কমিউনিকেশন দক্ষতা বেশি গুরুত্ব পাবে।

সিভি (CV) লেখার আগে যা জানা জরুরি – সংক্ষেপেঃ ১।  আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: কোন চাকরির জন্য সিভি বানাচ্ছেন তা স্পষ্টভাবে ঠিক করুন। ২। সঠিক ফরম্যাট জানুন: রিভার্স ক্রোনোলজিকাল, ফাংশনাল বা কম্বিনেশন সিভি— কোনটি উপযুক্ত তা বুঝে নিন। ৩। প্রাসঙ্গিক তথ্য বাছাই করুন: চাকরির সঙ্গে সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতাই উল্লেখ করুন। ৪। সংক্ষিপ্ত ও পরিষ্কার লেখা: অতিরিক্ত তথ্য নয়, প্রয়োজনীয় তথ্য সংক্ষেপে ও প্রাঞ্জলভাবে লিখুন। 

৫।  ভুল-মুক্ত বানান ও গঠন: গ্রামার, বানান ও বিন্যাস ভালোভাবে পরীক্ষা করুন। ৬।  পেশাদার টোন বজায় রাখুন: ব্যক্তিগত তথ্য কম দিন, প্রফেশনাল পরিচিতি গড়ে তুলুন। ৭। সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন: নিয়োগকারীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে মিল রেখে কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন। 🔹স্মার্ট টিপস: সিভি সর্বোচ্চ ১-২ পাতার মধ্যে সীমিত রাখুন এবং প্রতিটি আবেদন অনুযায়ী সিভি কাস্টোমাইজ করুন। 

📚 সিভি বনাম রিজিউমে: পার্থক্য

বিষয় সিভি (CV) রিজিউমে (Résumé)

দৈর্ঘ্য ২-৩ পৃষ্ঠা বা বেশি ১-২ পৃষ্ঠা

লক্ষ্য একাডেমিক বা গবেষণা চাকরির আবেদন

বিস্তারিত বিস্তারিতভাবে সকল অর্জন সংক্ষেপে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো

🏗️ সিভির  লেখার উত্তম কাঠামো (CV Structure)

১. ব্যক্তিগত তথ্য (Personal Information)ঃ এখানে কী থাকবেঃ 

পূর্ণ নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা (প্রফেশনাল), ঠিকানা (ঐচ্ছিক), লিঙ্কডইন প্রোফাইল / পোর্টফোলিও লিংক।  ✅ বিঃদ্রঃ ফেসবুক আইডি, অপ্রাসঙ্গিক সোশ্যাল লিংক এড়িয়ে চলুন।

২. সারসংক্ষেপ বা ক্যারিয়ার অবজেকটিভ (Career Objective)ঃ 

ভুল উদাহরণঃ "আমি একজন পরিশ্রমী ও সৎ ব্যক্তি। আমি যে কোনো কাজ করতে পারি।"

সঠিক উদাহরণঃ "To obtain a challenging position in a reputed organization where I can utilize my communication and analytical skills to contribute to business growth and develop my career." 

৩. শিক্ষাগত যোগ্যতা (Educational Qualifications)ঃ 

    ডিগ্রি প্রতিষ্ঠান ফলাফল শিক্ষাবর্ষ/ সময়কাল

MBA ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩.৭৫/৪.০০ ২০২১-২০২৩

BBA ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩.৬০/৪.০০ ২০১৭-২০২১

HSC                      ঢাকা বোর্ড                           ৫.০০/৫.০০                      ২০১৫-২০১৭

SSC                        ঢাকা বোর্ড                           ৫.০০/৫.০০                      ২০১৩-২০১৫

➡️ সর্বশেষ ডিগ্রি উপরের দিকে রাখুন।

৪. কর্ম অভিজ্ঞতা (Work Experience)ঃ 

পদের নাম: Digital Marketing Executive

প্রতিষ্ঠান: ABC Solutions Ltd.

সময়কাল: জানুয়ারি ২০২৩ - বর্তমান

দায়িত্বঃ গুগল অ্যাড ক্যাম্পেইন পরিচালনা, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ক্লায়েন্ট রিপোর্ট তৈরি। 

📌 ফ্রেশার হলে এই অংশে "ইন্টার্নশিপ", "প্রজেক্ট" কিংবা "ভলান্টিয়ারিং" অভিজ্ঞতা লিখুন।

৫. দক্ষতা (Skills)ঃ 

হার্ড স্কিলসঃ  MS Office (Word, Excel, PowerPoint),  Adobe Photoshop, Digital Marketing Tools (SEO, Google Ads, Meta Ads), 

সফট স্কিলসঃ  Leadership, Teamwork, Communication, Time Management। 

৬. প্রশংসাপত্র (Reference)ঃ 

যদি আপনার কাছে পূর্ববর্তী সুপারভাইজার বা শিক্ষকের অনুমতি থাকে, তাহলে তাঁদের নাম, পদবী, ও যোগাযোগের মাধ্যম দিন। 

উদাহরণঃ Dr. Mohammad Hossain

Associate Professor, IBA, University of  Dhaka

Email: hossain@iba.du.ac.bd

৭. অতিরিক্ত অংশ (ঐচ্ছিক)ঃ 

ভাষা দক্ষতা

পুরস্কার ও সম্মাননা

ট্রেনিং ও সার্টিফিকেশন

প্রফেশনাল মেম্বারশিপ

🧠 একটি সফল সিভি লেখার ১৫টি কার্যকরী টিপস

১।  সুনির্দিষ্ট ও প্রাসঙ্গিক তথ্য দিন। ২।  অপ্রয়োজনীয় তথ্য বাদ দিন (ধর্ম, জাতীয়তা ইত্যাদি)। ৩।  সঠিক বানান ও ব্যাকরণ অনুসরণ করুন। ৪।  ১-২ পাতায় সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করুন। ৫। PDF ফরম্যাটে সেভ করুন। ৬।  প্রফেশনাল ফন্ট ব্যবহার করুন (যেমনঃ Calibri, Arial)। ৭। সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড ও পরিষ্কার ডিজাইন বেছে নিন। ৮। হাইলাইট করুন গুরুত্বপূর্ণ শব্দ বা বাক্য (bold)। ৯।  ক্লিয়ার হেডিং এবং সাব-হেডিং দিন। 

১০। আপডেটেড তথ্য দিন, পুরনো বা ভুল তথ্য রাখবেন না। ১১। ভুলভ্রান্তি থাকলে প্রুফরিডিং করুন। ১২।  সঠিক ইমেইল ব্যবহার করুন (যেমনঃ yourname@gmail.com)। ১৩।  প্রফেশনাল ছবি ব্যবহার করা যেতে পারে (ঐচ্ছিক)। ১৪।  নকল তথ্য দেবেন না, HR সহজেই ধরতে পারে। ১৫। প্রতিটি চাকরির জন্য সিভি কাস্টমাইজ করুন।

🧾 বাংলাদেশে চাকরির জন্য সিভি কেমন হওয়া উচিত

বাংলাদেশের চাকরি বাজারে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হয় যেমনঃ সরকারি চাকরিতে সারসংক্ষেপের ফরম্যাট আলাদা।  বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। আইটি, মার্কেটিং, ও ফ্রিল্যান্সিং খাতে সৃষ্টিশীলতা ও প্রজেক্ট উল্লেখ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের চাকরির জন্য সিভি হওয়া উচিতঃ 

✅ সংক্ষিপ্ত ও পরিষ্কার (১–২ পৃষ্ঠা)

✅ ব্যক্তিগত তথ্যের শুরুতে (নাম, ঠিকানা, মোবাইল, ইমেইল)

✅ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য (Career Objective)

✅ শিক্ষাগত যোগ্যতা (সাম্প্রতিকটি আগে)

✅ কর্ম অভিজ্ঞতা বা ইন্টার্নশিপ (যদি থাকে)

✅ দক্ষতা (কম্পিউটার, ভাষা ইত্যাদি)

✅ সত্য ও নির্ভুল তথ্য

✅ একটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি

👉 বানান ও গঠন খেয়াল রাখুন।

👉 পজিশন অনুযায়ী সিভি কাস্টমাইজ করুন।

✅ নতুনদের জন্য CV লেখার আদর্শ টেমপ্লেট

নাম: মোঃ হাসান কবির

মোবাইল: ০১৭xxxxxxxx

ইমেইল: hasan.kabir@email.com

লিঙ্কডইন: linkedin.com/in/hasankabir

🎯 ক্যারিয়ার অবজেকটিভ:

To build a career in the field of Finance and Accounting where I can utilize my educational knowledge and analytical ability to grow professionally.

🎓 শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ BBA in Finance, University of Dhaka, CGPA: 3.85/4.00, Duration: 2018 – 2022

💼 ইন্টার্নশিপঃ Finance Intern, BRAC Bank Ltd. June 2022 – August 2022

🛠️ দক্ষতাঃ  Tally ERP, Microsoft Excel, Communication

🗣️ ভাষাঃ বাংলা (দক্ষ), ইংরেজি (দক্ষ)

📜 রেফারেন্সঃ  উপরের অনুরোধে প্রদান করা হবে।

যে ভুলগুলো এড়িয়ে চলা উচিত

আরো পড়ুনঃ

বানান ভুলঃ  একাধিক ফন্ট ব্যবহার, দীর্ঘ ও অপ্রাসঙ্গিক তথ্য, পুরনো ফোন নম্বর / ইমেইল,  অতিরিক্ত রঙ বা ডিজাইন। 

📂 কোথায় তৈরি করবেন প্রফেশনাল CV

Canva: সহজে ডিজাইনযোগ্য CV টেমপ্লেট।  Zety: প্রফেশনাল টেমপ্লেট ও সাজেশন। Novoresume: ATS Friendly CV তৈরির টুল।  Microsoft Word: কাস্টম ডিজাইন সুবিধা। 

🔎 অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর (FAQ)

❓ CV কি হাতে লেখা উচিত?


না। বর্তমানে প্রায় সব চাকরির জন্য টাইপকৃত ও ডিজিটাল সিভি ব্যবহার করা হয়।

❓ সরকারি চাকরির জন্য কি আলাদা CV দরকার?

হ্যাঁ, অনেক ক্ষেত্রে সরকারি চাকরির জন্য নির্দিষ্ট ফরম্যাট চাওয়া হয়। সেটি অনুসরণ করাই শ্রেয়।

❓ কতো দিন পর পর সিভি আপডেট করা উচিত?

কমপক্ষে প্রতি ৬ মাসে একবার বা নতুন কোনো অভিজ্ঞতা বা সার্টিফিকেট অর্জনের পরপরই আপডেট করা উচিত।

📢লেখকের চুড়ান্ত মতামতঃ যে কোন চাকরির CV লেখার সর্বোত্তম নিয়ম  জানুন

একটি ভাল চাকরি পাওয়ার প্রথম ধাপ হচ্ছে একটি চমৎকার ও প্রাসঙ্গিক সিভি তৈরি করা। আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, ও অর্জনসমূহকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারলেই আপনি নিয়োগকর্তার চোখে আলাদা হয়ে উঠবেন। তাই এই আর্টিকেলে আলোচনা করা নিয়ম ও টিপসগুলো মেনে চলে আপনার সিভি তৈরি করুন এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে আবেদন করুন। 

আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পাঠ করেছেন এবং অনেক জ্ঞান অর্জন করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের এই আর্টিকেল থেকে সিভি লেখার নিয়ম শিখে আপনি বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করুন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url