নতুন গ্রাহকরা ইসলামী ব্যাংক বেছে নিচ্ছেন কেন
নতুন গ্রাহকরা ইসলামী ব্যাংক বেছে নিচ্ছেন কেন
বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে ইসলামী ব্যাংকিং সিস্টেম দেশব্যাপী মোট আমানতের ২৪.৩৬% মার্কেট শেয়ার দখল করেছে । ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ PLC (IBBL) এর নিজস্ব গ্রাহক সংখ্যা এবং আমানতের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ।
এই আর্টিকেলটি বিশ্লেষণ করবে কেন নতুন গ্রাহকরা IBBL‑কে বেছে নিচ্ছেন। আমরা পরিসংখ্যান, গ্রাহক সন্তুষ্টি গবেষণা, ব্যাংকের সেবা‑গুণ এবং মার্কেট ডেভেলপমেন্টের দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়গুলো দেখবো। 📄 নতুন গ্রাহকরা কেন ইসলামি ব্যাংক বেছে নিচ্ছেন? ধর্মীয় আকর্ষণ, লাভ‑ক্ষয় ভাগাভাগি, লাভজনক সেবা ও দ্রুত গ্রোথ‑স্ট্যাটিস্টিক্স সহ বিস্তারিত বিশ্লেষণ।
পোস্ট সূচিপত্রঃ নতুন গ্রাহকরা ইসলামী ব্যাংক বেছে নিচ্ছেন কেন
🟢 নতুন গ্রাহকরা ইসলামী ব্যাংক বেছে নিচ্ছেন কেন
কেন নতুন গ্রাহকরা IBBL বেছে নিচ্ছেঃ ১। শারিয়াহ‑সম্মত সেবাঃ একটি প্রধান আকর্ষণ: শরীয়াহ্ অনুসারে ব্যাংকিং। মুসলিম গ্রাহকদের জন্য কোনো সুদ‑বিহীন লেনদেন, মুনাফা‑বণ্টন মডেল, ফজিলত‑ভিত্তিক প্রোডাক্ট গ্রাহকদের জন্য খুবই আবেদনময়। অনেকে মনে করেন শারিয়াহ্‑বাঁধনে থাকলে “হালাল” পরিষেবা নিশ্চিত হয়, যা বেশিরভাগ মুসলমানদের জন্য একটি সহায়ক মানসিক ফ্যাক্টর।
আরো পড়ুনঃ
২. গ্রাহক সেবা ও ই‑সার্ভিস মানঃ গবেষণা অনুসারে, ইসলামী ব্যাংকগুলোর গ্রাহক সেবা মান উচ্চবিশেষ করে IBBL‑এর ই‑ব্যাংকিং ও অনলাইন সেবা গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হচ্ছে । সার্ভিস কোয়ালিটি, নিরাপত্তা ও দ্রুত লেনদেন প্রক্রিয়া নতুন গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
৩. ব্রাঞ্জ ও এজেন্ট নেটওয়ার্কের বিস্তৃতিঃ IBBL‑এর ৪০০ শাখা, ২৬৩ সাব‑শাখা, এবং ২৮০০ এর বেশি এজেন্ট আউটলেট, ATM/CRM সহ ৩০০০+ পয়েন্ট দেশের গ্রামীণ ও শহর দুই দিকেই সার্ভিস দেয় । নতুন গ্রাহক সহজে কাছের কোনো শাখা বা এজেন্ট থেকে ব্যাংকিং সুবিধা পায়।
৪. রেমিট্যান্স ও MSME‑এ ফোকাসঃ IBBL রেমিট্যান্স সেবা, SME ও মাইক্রো ক্রেডিটকে কেন্দ্রীয় গুরুত্ব দেয়। ২৫ লাখের বেশি সেলফিন (Cellfin) অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যা গ্রামীণ ও নগর গ্রাহকদের মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা দেয় । এছাড়াও প্রায় ২০ লাখ উদ্যোক্তা তাদের ব্যবসায়িক কাজে ঋণ পেয়েছেন IBBL থেকে।
৫. সামাজিক দায়িত্ব ও CSRঃ IBBL সামাজিক দায়বদ্ধতায় কাজ করে—দরিদ্র জনগোষ্ঠীতে মাইক্রো ক্রেডিট, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে । এই দিক সামাজিক সচেতন গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয়।
৬. বিশ্বাসযোগ্যতা ও কর্পোরেট করদাতা হিসেবে স্বীকৃতিঃ IBBL দেশের কর্পোরেট বিশ্বের অন্যতম বড় করদাতা ব্যাংক। ব্যাংকের অবকাঠামো ও সেটেলমেন্টে বিশ্বস্ততা নতুন গ্রাহকদের নিরাপত্তাবোধ দেয়।
ইসলামী ব্যাংকিং বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে দ্রুত গতি অর্জন করেছে। ধর্মীয় মূল্যবোধ অনুসারে বিনিয়মিত সেবা‑প্রদান, ঝুঁকি‑ভাগাভাগি ভিত্তিক মডেল এবং নৈতিক ব্যবসায়িক নীতির কারণে নতুন গ্রাহকদের আকর্ষণ বেড়েছে। এই নিবন্ধে আমরা বিশ্লেষণ করবো: বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকগুলোর বৃদ্ধি‑ধারা, কেন নতুন গ্রাহকরা islamic banking বেছে নিচ্ছেন, কী উপাত্ত, ফলাফল ও প্রবণতা সামনে আসছে।
🔶 ইসলামী ব্যাংকিং মার্কেটের বর্তমান চিত্র
ইসলামী ব্যাংকিং মার্কেট শেয়ার জানুয়ারী ২০২৫ এ ছিল প্রায় ২৪.৩৬% (যা আগের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি) । ইসলামী ব্যাংকিং সেক্টরের উন্নয়নের ধারায় হিসাব করলে মজার বিষয়, ইসলামী ব্যাংকগুলো ক্রমশ চাহিদা বাড়াচ্ছে, যদিও মোট মার্কেট শেয়ার সামান্য কমে যেতে পারে ।
IBBL‑এর নিজস্ব পরিসংখ্যান (ডিসেম্বর ২০২৪ অনুসারে)ঃ গ্রাহক সংখ্যা: ২৩.৫ মিলিয়ন, ব্রাঞ্চ সংখ্যা: ৪০০, সাব‑ব্রাঞ্চ: ২৬৩, এজেন্ট আউটলেট: ২৮০০+, ATM/CRM: ৩০০০+, মোট আমানত: ১৫০,০০০ কোটি টাকা। রেমিট্যান্স হ্যান্ডলিং: দেশীয় অনুপ্রধান ভাগ, SME ও মাইক্রো ক্রেডিট: লক্ষ্যমাত্রার কোটি মানুষের পাশে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি: প্রায় ১ কোটি চাকরি ।
যদি আমানতের পরিমাণ আগস্ট ২০২৪ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত হ্রাস‑বৃদ্ধিতে নজর দেওয়া হয়, তখন আমানত বেড়েছে ১.৫৩ ট্রিলিয়ন থেকে ১.৭৩ ট্রিলিয়ন টাকা এ সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী । এগুলোই নির্দেশ করে যে IBBL‑এর বিস্তৃতি ও গ্রহণযোগ্যতা এগিয়ে যাচ্ছে—সেই কারণেই নতুন গ্রাহকদের আকর্ষণ তীব্র।
🧠 ইসলামি ব্যাংকিং বৃদ্ধির সামগ্রিক পরিসংখ্যান
১। বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং সেক্টর গত পাঁচ বছরে প্রায় ৯০.৫% জমাদানের বৃদ্ধির সাক্ষী হয়েছে ।
২। ২০২৫ সালের মার্চের হিসাবে ইসলামি ব্যাংক সিস্টেমের মোট আমানত দাঁড়ায় BDT 4,429.62 billion, যা আগের তুলনায় BDT 32.04 billion বেড়েছে ।
৩। ইসলামি ব্যাংকগুলো দেশের মোট আমানতের প্রায় ২৫.৩% আধিপত্য রাখে (১ম অর্ধ ২০২৩ হিসেবে), যা পূর্ববর্তী বছর ২৮.২% থেকে কিছুটা নিম্ন ।
৪। Islami Bank PLC‑এর নিজস্ব হিসাবে (ডিসেম্বর ২০২৪) গ্রাহক সংখ্যা ২.৩৫ কোটি, ব্রাঞ্চ সংখ্যা ৪০০, এবং মোট আমানত BDT ১৫০,০০০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে ।
💤 নতুন গ্রাহকদের ইসলামি ব্যাংক বেছে নেওয়ার কারণ
১ ধর্মীয় ও নৈতিক মানদণ্ডঃ বাংলাদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি আনুগত্যের ভিত্তিতে ইসলামি ব্যাংক বেছে নিচেন। গবেষণা অনুযায়ী ধর্মীয় পছন্দই সর্বাধিক প্রভাবশালী কারণ । “religious motive is the crucial factor” এবং “Islamic banking in Bangladesh has seen significant growth due to its alignment with Shariah”।
২ লাভ–ক্ষয় ভাগাভাগি (Profit‑loss sharing) মডেলঃ ইসলামি ব্যাংকে মূলধণ বিনিয়োগে ‘মুদারাবা’ বা ‘মুশারাকা’ মডেল ব্যবহৃত হয়, যেখানে গ্রাহক ও ব্যাংক উভয়ই লাভ–ক্ষয় ভাগাভাগি করেন। এই মডেল গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় কারণ এটি অধিক স্বচ্ছতা ও অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করে।
৩ নিরাপত্তা, সেবা ও স্বচ্ছতাঃ গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক গ্রাহক ইসলামি ব্যাংকের পরিষেবা ‘convenient’ হলেও তার চেয়ে নিরাপত্তা ও সেবা‑গুণমান তাদের পছন্দের বড় কারণ । “provide convenient processes, safety, security” — গ্রাহকরা সেন্স করে যে ইসলামি ব্যাংকিং অনেক ক্ষেত্রেই ঝুঁকি‑মুক্ত ও নিরাপদ।
.৪ ব্র্যান্ড‑সুনাম ও রেপুটেশনঃ একটি ইসলামী ব্যাংকের সুনাম, সামাজিক দায়িত্ববোধ ও কর প্রদানের রেকর্ড গ্রাহকদের আস্থা জাগায়। গবেষণা বলছে, ব্র্যান্ড রেপুটেশন ও কস্ট‑বেনিফিট সম্পর্ক নতুন গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে ।
🌟 ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক প্রোফাইল ও সেগমেন্টেশন
বলা যায়, ধর্মনিষ্ঠ ব্যক্তি, SME উদ্যোক্তা, মাইক্রো ক্রেডিট গ্রাহক ও রেমিট্যান্সকারী গ্রাহকরা ইসলামী ব্যাংকিংয়ে বেশি ঝোঁকান। Islami Bank PLC ১.৭ লাখ পরিবারকে মাইক্রো লোন দিয়েছে, ২০ লাখ উদ্যোক্তা, এবং কোটি কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে । কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ইসলামী ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে, ফলে উদ্যোক্তা গ্রাহকদের আকর্ষণ বাড়ছে।
🌟বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা ও সুপারিশ
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন সময় ইসলামি ব্যাংকগুলোর জন্য লিকুইডিটি সুবিধা, মুদারাবা তহবিল, এবং প্রণোদনা স্কিম চালু করেছে । এতে ব্যাংকগুলো দ্রুত বাড়ছে এবং নতুন গ্রাহকরা সেবা গ্রহণে আগ্রহী।ইসলামী ব্যাংক সম্বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা ও সুপারিশ (সংক্ষেপে)ঃ
বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ইসলামী ব্যাংকিং খাতকে একটি স্বতন্ত্র ও গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক খাত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং এর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কিছু নীতিমালা ও সুপারিশ দিয়েছে। নিচে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলোঃ ১. শরিয়াহ পরিপালন নিশ্চিতকরণঃ বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকগুলোকে শরিয়াহ বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছে, যা ব্যাংকের সকল কার্যক্রম শরিয়াহ অনুযায়ী হচ্ছে কিনা তা তদারকি করে। ২. ডুয়াল ব্যাংকিং সিস্টেম সমর্থনঃ বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের আর্থিক ব্যবস্থায় ইসলামী ও প্রচলিত উভয় ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালা তৈরি করেছে, যাতে ইসলামী ব্যাংকগুলো শরিয়াহ ভিত্তিক লেনদেনে স্বাধীনতা পায়। ৩. ইসলামী ব্যাংকিং গাইডলাইনঃ বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০৯ সালে “Guidelines for Islamic Banking” নামে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে, যেখানে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা, অডিট, হিসাবনিকাশ, ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সুপারিশ করা হয়।
৪.পণ্য ও সেবার বৈচিত্র্যতা বৃদ্ধিঃ বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকগুলোকে মুরাবাহা, ইজারা, মোদারাবা, মুশারাকা ইত্যাদি শরিয়াহসম্মত পণ্য ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। ৫. গভর্ন্যান্স ও স্বচ্ছতাঃ বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকগুলোকে গঠনমূলক কর্পোরেট গভর্ন্যান্স এবং স্বচ্ছ লেনদেন নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে। ৬. লাভ-ক্ষতির ভিত্তিতে বিনিয়োগঃ সুদের পরিবর্তে লাভ-ক্ষতির অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগ ব্যবস্থা পরিচালনার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ৭. তদারকি ও মূল্যায়নঃ বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিতভাবে ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রম তদারকি করে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসব নীতিমালা ও সুপারিশ ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে সুদমুক্ত, ন্যায়ভিত্তিক ও শরিয়াহসম্মত করে গড়ে তুলতে সাহায্য করছে। এর ফলে গ্রাহকদের আস্থা বাড়ছে এবং ইসলামী ব্যাংকিং সেক্টর বাংলাদেশে ক্রমাগত বিস্তার লাভ করছে।
🟢 নতুন গ্রাহকরা ইসলামী ব্যাংক বেছে নিচ্ছে মূলত
১। শারিয়াহ্ সঙ্গত, সুদবিহীন ব্যাংকিং মডেল
২। উচ্চমানের গ্রাহক সেবা ও ই‑ব্যাংকিং সুবিধা
৩। গ্রামীণ ও নগর উভয় অঞ্চলে বিস্তৃত ব্রাঞ্চ ও এজেন্ট নেটওয়ার্ক
৪। রেমিট্যান্স, MSME ঋণ ও মাইক্রো ক্রেডিটে শক্ত ভূমিকা
৫। সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে অবদান
৬। ট্রাস্ট ও কর্পোরেট বিশ্বাসযোগ্যতা
এছাড়া গবেষণা ও পরিসংখ্যান দেখায় সার্ভিস কোয়ালিটি ও নিরাপত্তা গ্রাহকের সন্তুষ্টির প্রধান ড্রাইভার । এই কারণগুলোই নতুন গ্রাহকদের IBBL‑এর দিকে টেনে আনে এবং আগামী দিনগুলোতেও ব্যাংকিং সেক্টরে IBBL‑এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলবে।
🍯 ইসলামী ব্যাংকের চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা
সামগ্রিকভাবে ইসলামী ব্যাংকিং মার্কেট শেয়ার বাড়লেও প্রতিযোগিতাও বাড়ছে; অন্যান্য ইসলামী ব্যাংক ও Conventional ব্যাংক Islamic উইন্ডো প্রসার করছে । প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন যেমন AI, ডিজিটাল সেবা আরও উন্নত করতে হবে; গ্রাহক কমফোর্ট জোনে রাখতে নিরাপত্তা ও UX তে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
🍯 ইসলামী ব্যাংকের আর্থিক বৃদ্ধি ও বাজার অংশ
১। সামগ্রিকভাবে মুসলিম সমাজে ইসলামী ব্যাংকিংকে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত আমানত ও গ্রাহক বৃদ্ধির তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । ইসলামী ব্যাংকিং টোটাল আমানত এখন দেশের মোট আমানতের অনুপাতে প্রায় ২৫%–২০% ধারায় অদ্যাবধি বৃদ্ধি দেখাচ্ছে।
২ প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও ডিজিটাল সেবাঃ ইসলামী ব্যাংকগুলো এখন মোবাইল ব্যাংকিং, ইমামবিলিটি, অনলাইন চালু করে সহজ সেবা দিচ্ছে – যা আধুনিক ও নতুন গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণের উৎস।
৩ অনুকূলে নীতি ও সামাজিক দায়বদ্ধতাঃ সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR), কর প্রদানের উচ্চ মান, গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নতুন গ্রাহকদের আস্থা বাড়াচ্ছে। Islami Bank PLC এর উদাহরণ অনুযায়ী করপোরেট ট্যাক্সপেয়ার হিসেবে শীর্ষস্থান দখল ।
আরো পড়ুনঃ
৪ গ্রাহক সন্তুষ্টি ও সচেতনতা বৃদ্ধিঃ শিক্ষা ও প্রচারণার মাধ্যমে ধর্মভিত্তিক ও वित्तবাস্তবতা‑সচেতন নতুন গ্রাহকরা исламি ব্যাংকিংকে আরো বিশ্বাসযোগ্যভাবে দেখছেন।
🧘ইসলামী ব্যাংকের কিছু সংক্ষিপ্ত তথ্য ও উপাত্ত
সারাংশ টেবিল (সংক্ষিপ্ত)
বিষয় বিবরণ
আমানত বৃদ্ধির হার পাঁচ বছরে প্রায় ৯০.৫% বৃদ্ধি
মোট আমানত BDT 4,429.62 billion (মার্চ ২০২৫)
ইসলামি ব্যাংকের শেয়ার ≈ ২৫.৩% (১ম অর্ধ ২০২৩)
প্রধান কারণ ধর্মীয় মানদণ্ড, ঝুঁকি‑ভাগাভাগি মডেল, নিরাপত্তা ও সেবা
প্রধান গ্রাহক ধর্মনিষ্ঠ ব্যক্তি, উদ্যোক্তা, রেমিট্যান্সকারী, মাইক্রো ক্লায়েন্ট
ভবিষ্যৎ প্রবণতা আরও বৃদ্ধি ও অংশগ্রহণ সম্ভাবনা
বাজার শেয়ার (মার্চ ২০২৫) ২৪.৩৬% ইসলামী ব্যাংকিং মার্কেট শেয়ার
গ্রাহক সংখ্যা (ডিসে. ২০২৪) ২৩.৫ মিলিয়ন
আমানত (ডিসেম্বর ২০২৪) ১৫০,০০০ কোটি টাকা
আমানত প্রবৃদ্ধি (আগস্ট ২০২৪–জুন ২০২৫) ১.৫৩ → ১.৭৩ ট্রিলিয়ন টাকা
শাখা ও এজেন্ট নেটওয়ার্ক ৪০০ শাখা, ২৬৩ সাব‑শাখা, ২৮০০+ এজেন্ট, ৩০০০+ ATM/CRM
নতুন গ্রাহকদের দ্বারা ইসলামি ব্যাংক বাছাই করার প্রধান কারণ হলো: ধর্মীয় ও নৈতিক আকর্ষণ, profit–loss sharing মডেল, নিরাপদ ও স্বচ্ছ সেবা, সুনাম ও ব্র্যান্ড আস্থা, এবং নেতৃত্বমূলক কাস্টমার‑ফ্রেন্ডলি কার্যক্রম।
বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিং ইতোমধ্যে মাত্র পাঁচ বছরে প্রায় ৯০% আমানত বৃদ্ধি দেখিয়েছে। Islami Bank PLC‑র গ্রাহক সংখ্যা ইতিমধ্যে ২.৩৫ কোটি ছাড়িয়েছে। এসব তথ্য নির্দেশ করে যে: আগামী দিনেও নতুন গ্রাহকের আস্থা ও অংশগ্রহণ আরও বাড়বে।
🌟 লেখকের শেষ বক্তব্যঃ নতুন গ্রাহকরা ইসলামী ব্যাংক বেছে নিচ্ছেন কেন
ইসলামী ব্যাংকিং সেক্টর বর্তমানে এক আকর্ষণীয় এবং দ্রুতবর্ধমান ক্ষেত্র। ধর্মভিত্তিক মূল্যবোধ, অংশীদারিত্বমূলক মডেল, উচ্চ সেবা‑মান, ডিজিটালফিকেশন এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার মাধ্যমে নতুন গ্রাহকরা ইসলামি ব্যাংক বেছে নিচ্ছেন। সঠিকভাবে সেবা ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই প্রবণতা আগামীতে আরও শক্তিশালী হবে।
সবশেষে, উপরে দেওয়া সার্বিক বিশ্লেষণ ও তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে স্পষ্ট যে, নতুন গ্রাহকরা ইসলামি ব্যাংক বেছে নিচ্ছেন কারণ এটি “বিশ্বাসযোগ্য, নৈতিক, লাভ-ভিত্তিক ও প্রযুক্তির সঙ্গে সমন্বিত” একটি সেবা‑মডেল। আপনি আমাদের সাথে থেকে এই আর্টিকেলটি অধ্যয়ন করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url