গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রভাল পাওয়ার গাইডলাইন

 গুগল  অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রভাল পাওয়ার গাইডলাইন 

ফ্রিল্যান্সিং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে google এডসেন্স অ্যাপ অ্যাপ্রভাল পেয়ে গুগল থেকে মাসিক ইনকাম করা। আজ আমরা গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রভাল পাওয়ার গাইডলাইন নিয়ে আলোচনা করব। আপনাদের অনেকেই এ বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান নাই।

 তাই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই ওয়েবসাইটটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। তাহলে আপনি গুগল এডসেন্স পারদর্শী হতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে গুগল থেকে কিভাবে আয় করা যায় সেটা জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ  গুগল  অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রভাল পাওয়ার গাইডলাইন 
গুগল  অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রভাল পাওয়ার গাইডলাইন
গুগল অ্যাডসেন্স কী, অ্যাডসেন্স কিভাবে কাজ করে
গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়
গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গাইডলাইন
গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্লাই করার ধাপ
গুগল অ্যাডসেন্স রিজেক্ট হওয়ার সাধারণ কারণসমূহ
গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার পর কী করবেন
গুগল অ্যাডসেন্স ইনকাম কিভাবে হয় 
গুগল অ্যাডসেন্স পেমেন্ট কিভাবে পাওয়া যায়
অ্যাডসেন্স বিকল্প (AdSense Alternatives)
আমাদের শেষ কথা

গুগল  অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রভাল পাওয়ার গাইডলাইন

বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনলাইন থেকে আয় করার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হলো গুগল অ্যাডসেন্স। আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট, ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলের মালিক হন, তবে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই বিজ্ঞাপন থেকে আয় করতে পারেন। তবে, অনেকেই জানেন না কীভাবে অ্যাডসেন্স কাজ করে এবং কিভাবে এটি পাওয়া যায়। এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে জানবো গুগল অ্যাডসেন্স কী, এর কাজ করার পদ্ধতি, এবং কীভাবে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়া যায়।

গুগল অ্যাডসেন্স কী, অ্যাডসেন্স কিভাবে কাজ করে

গুগল অ্যাডসেন্স হলো গুগলের একটি বিজ্ঞাপন পরিষেবা যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট মালিকরা তাদের কন্টেন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারেন এবং সেই বিজ্ঞাপন থেকে আয় করতে পারেন। এই বিজ্ঞাপনগুলো আসে গুগলের অ্যাডওয়ার্ডস (বর্তমানে Google Ads) থেকে, যেখানে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন দেয়।

আরো পড়ুনঃ

১. আপনি একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করেন।

২. গুগল অ্যাডআরো পড়ুনঃসেন্স-এ অ্যাপ্লাই করেন।

৩. গুগল আপনার সাইট রিভিউ করে।

৪. অ্যাপ্রুভাল পেলে গুগল আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন দেখায়।

৫. যখন ভিজিটররা সেই বিজ্ঞাপন দেখে বা ক্লিক করে, তখন আপনি ইনকাম পান।

গুগল অ্যাডসেন্স এর প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহঃ CPC (Cost Per Click) ভিত্তিক ইনকাম,  Responsive এবং কাস্টোমাইজযোগ্য বিজ্ঞাপন,  বিশ্বের যেকোনো দেশের ট্র্যাফিকে কার্যকর, পেমেন্ট মাসে একবার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আসে।

গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়

গুগল অ্যাডসেন্স (Google AdSense) হলো গুগলের একটি বিজ্ঞাপন প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আয় করতে পারেন। অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। নিচে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার প্রধান উপায়গুলো ধাপে ধাপে দেওয়া হলোঃ

১. মানসম্মত ওয়েবসাইট তৈরি করুনঃ  ওয়েবসাইটে অন্তত ২০–৩০টি ইউনিক ও মানসম্মত কনটেন্ট থাকতে হবে।  প্রতিটি পোস্টে কমপক্ষে ৮০০–১০০০ শব্দ থাকা ভালো।  কপিরাইট-করা কনটেন্ট, কপিপেস্ট, স্প্যাম বা ভুলভাল তথ্য যেন না থাকে।

২. গোপনীয়তা নীতি, সম্পর্কে, যোগাযোগ পেজ তৈরি করুনঃ  Privacy Policy, About Us এবং Contact Us পেজ অ্যাডসেন্সের জন্য বাধ্যতামূলক। এগুলো না থাকলে আবেদন প্রত্যাখ্যাত হতে পারে।

৩. ডোমেইন ও হোস্টিং ব্যবহার করুনঃ  নিজের ডোমেইন (.com, .net ইত্যাদি) ও ভালো মানের হোস্টিং ব্যবহার করুন। সাবডোমেইন (যেমন yoursite.blogspot.com) থেকেও আবেদন করা যায়, তবে নিজের ডোমেইন বেশি গ্রহণযোগ্য।

৪. ট্রাফিক (ভিজিটর) নিয়ে চিন্তা করবেন না শুরুতেইঃ  প্রচুর ভিজিটর না থাকলেও গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ দিতে পারে, তবে কনটেন্টের মান ভালো হতে হবে।

৫. ওয়েবসাইট ৬ মাস পুরনো কিনা তা দেখাঃ  কিছু দেশ (যেমন ভারত, চীন, পাকিস্তান) থেকে আবেদন করলে ওয়েবসাইট ৬ মাস পুরনো হওয়া লাগে।  বাংলাদেশ থেকে আবেদনের ক্ষেত্রে সাধারণত এমন বাধ্যবাধকতা নেই, তবে ২-৩ মাসের পুরনো হওয়া ভালো।

৬. কনটেন্টের ক্যাটাগরি গুরুত্বপূর্ণঃ পর্নোগ্রাফি, হ্যাকিং, গ্যাম্বলিং বা অবৈধ কনটেন্টের সাইট অ্যাডসেন্স পায় না।  স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রযুক্তি, টিউটোরিয়াল, রিভিউ ইত্যাদি বিষয়ে কনটেন্ট হলে সহজে অ্যাপ্রুভ হয়। 

৭. ওয়েবসাইটের ডিজাইন ও ব্যবহারযোগ্যতাঃ  সাইটটি মোবাইল ও ডেস্কটপ ফ্রেন্ডলি হওয়া উচিত। পেজ লোডিং স্পিড দ্রুত হওয়া দরকার। 

৮. ইউটিউব অ্যাডসেন্সের জন্য (যদি ভিডিও কনটেন্ট করেন) ঃ  ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ও গত ১২ মাসে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।  তারপর YouTube Partner Program এ আবেদন করতে পারবেন।

৯. আবেদন করার আগে চেক করুনঃ  গুগল অ্যাডসেন্সের নীতিমালা ভালোভাবে পড়ে নিন।  আপনার ওয়েবসাইটে কোনো ব্রোকেন লিঙ্ক বা ইনঅ্যাক্টিভ পেজ যেন না থাকে।

১০. অ্যাডসেন্সে আবেদন করুনঃ  https://www.google.com/adsense/start/ এই লিংকে গিয়ে আবেদন করুন।  আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল যোগ করুন এবং গুগল থেকে কোড কপি করে সাইটে বসান। সাধারণত ১-২ সপ্তাহের মধ্যে মেইলে জানিয়ে দেয় আবেদন মঞ্জুর হয়েছে কি না।

 গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গাইডলাইন

Google AdSense অ্যাপ্রুভাল পেতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম ও শর্ত পূরণ করতে হয়। নিচে ধাপে ধাপে গাইডলাইন দেওয়া হলো।

১. মানসম্মত ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করুনঃ  ওয়েবসাইটটি দেখতে যেন প্রফেশনাল হয় । ওয়েবসাইটে কমপক্ষে ১৫–২০টি ইউনিক এবং মানসম্মত কনটেন্ট থাকতে হবে। প্রতিটি আর্টিকেল যেন ৭০০–১০০০ শব্দের হয়।  কপিরাইট মুক্ত ইমেজ ব্যবহার করুন। 

২. গুরুত্বপূর্ণ পেইজ যুক্ত করুনঃ  নিচের পেইজগুলো অবশ্যই ওয়েবসাইটে থাকা উচিতঃ 

About Us, Contact Us,  Privacy Policy, Disclaimer,  Terms & Conditions

৩. ইউনিক ও অরিজিনাল কন্টেন্টঃ  গুগল কপিপেস্ট করা কনটেন্ট কখনোই গ্রহণ করে না। তাই অবশ্যই ইউনিক এবং নিজের লেখা কনটেন্ট ব্যবহার করুন।

৪. কনটেন্টের ভাষাঃ  আপনার ওয়েবসাইটের ভাষা গুগলের অনুমোদিত ভাষাগুলোর মধ্যে থাকতে হবে। বাংলা ভাষা বর্তমানে গুগল অ্যাডসেন্স সাপোর্ট করে।

৫. ট্রাফিক ও ভিজিটরঃ  যদিও অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভালের জন্য ভিজিটরের সংখ্যা সরাসরি বাধ্যতামূলক নয়, তবে অর্গানিক ট্রাফিক থাকা প্লাস পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে।

৬. নেভিগেশন সহজ ও ইউজার-ফ্রেন্ডলি হতে হবেঃ  সাইটের মেনু, ক্যাটাগরি, এবং অন্যান্য অংশ যেন সহজে খুঁজে পাওয়া যায়।

৭. প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট এড়িয়ে চলুনঃ  গুগল অ্যাডসেন্স ১৮+ কনটেন্ট, হ্যাকিং, মাদকদ্রব্য, জুয়া সম্পর্কিত সাইট অ্যাপ্রুভ করে না।

গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্লাই করার ধাপ

Google AdSense-এ আবেদন করার ধাপগুলো নিচে ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হলো, যাতে আপনি সহজেই আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ মনিটাইজ করতে পারেনঃ Google AdSense-এ Apply করার ধাপসমূহঃ 

১. ওয়েবসাইট তৈরি ও কনটেন্ট প্রস্তুত করুনঃ একটি নিজস্ব ডোমেইনসহ ওয়েবসাইট থাকতে হবে।  ওয়েবসাইটে কমপক্ষে ১৫-২০টি মানসম্মত ও অরিজিনাল কনটেন্ট থাকতে হবে। ওয়েবসাইটে থাকা উচিত:  About Us পেজ,  Contact Us পেজ, Privacy Policy পেজ, Disclaimer/Terms and Conditions (ঐচ্ছিক, তবে ভালো হয়)।

২. ওয়েবসাইট ডিজাইন ও নেভিগেশন ঠিক করুনঃ ওয়েবসাইটটি যেন মোবাইল ফ্রেন্ডলি হয়। পেজ লোডিং স্পিড ভালো রাখতে হবে। ব্যবহারকারীরা যেন সহজে আপনার কনটেন্ট ব্রাউজ করতে পারে।  

৩. ট্রাফিক তৈরি করুনঃ  ওয়েবসাইটে প্রাকৃতিকভাবে কিছু ট্রাফিক থাকা জরুরি। Google দেখে আপনি সাইটটি নিয়মিত পরিচালনা করছেন কিনা। 

৪. একটি Google Account তৈরি করুনঃ  যদি আপনার আগে থেকে Gmail বা Google অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে সেটি দিয়েই লগইন করতে পারবেন। 

৫. Google AdSense ওয়েবসাইটে যানঃ  ওয়েবসাইট: https://www.google.com/adsense, “Get Started” বা “Sign up now” এ ক্লিক করুন। 

৬. সাইটের ঠিকানা ও তথ্য প্রদান করুন ঃ  আপনার ওয়েবসাইটের URL, ভাষা, এবং অ্যাকাউন্ট তথ্য (নাম, ঠিকানা, ফোন) দিন।  অবশ্যই সঠিক তথ্য দিন, কারণ পরে পেমেন্ট ভেরিফিকেশনে এসব দরকার হবে। 

৭. AdSense কোড ওয়েবসাইটে যুক্ত করুনঃ Google আপনাকে একটি HTML কোড দেবে, যেটি আপনার ওয়েবসাইটের <head> ট্যাগে বসাতে হবে।  কোড যুক্ত করার পর “I’ve pasted the code into my site” বেছে নিয়ে সাবমিট করুন।

৮. রিভিউ প্রক্রিয়া শুরু হবে ঃ  Google আপনার সাইট রিভিউ করবে, সাধারণত ১-৭ দিনের মধ্যে।  সব ঠিক থাকলে, আপনি একটি অ্যাপ্রুভাল ইমেইল পাবেন। 

৯. অ্যাকাউন্ট সেটআপ সম্পন্ন করুনঃ  অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার পর, পেমেন্ট সেটিংস, ট্যাক্স ইনফো, এবং ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করুন।  Ad unit তৈরি করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন শো করতে পারবেন।

১. https://www.google.com/adsense লিঙ্কে যান

২. “Sign Up” অপশনে ক্লিক করুন

৩. ওয়েবসাইটের ঠিকানা ও ইমেইল দিন

৪. অ্যাকাউন্ট সেটআপ করুন

৫. আপনার সাইটে গুগল কোড পেস্ট করুন

৬. গুগলের রিভিউয়ের জন্য অপেক্ষা করুন (সাধারণত ৭–১৪ দিন)

গুগল অ্যাডসেন্স রিজেক্ট হওয়ার সাধারণ কারণসমূহ

গুগল অ্যাডসেন্স (Google AdSense) রিজেক্ট হওয়া নতুন ওয়েবসাইট মালিকদের জন্য খুবই হতাশাজনক হতে পারে। অ্যাডসেন্স আবেদন প্রত্যাখ্যানের বেশ কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে। নিচে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো:

গুগল অ্যাডসেন্স রিজেক্ট হওয়ার সাধারণ কারণসমূহঃ 

১. পর্যাপ্ত কনটেন্ট না থাকাঃ  গুগল কনটেন্ট-ভিত্তিক বিজ্ঞাপন দেখায়, তাই যদি ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইউনিক ও মানসম্মত কনটেন্ট না থাকে, তাহলে অ্যাডসেন্স রিজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত অন্তত ১৫-২০টি ভালোভাবে লেখা পোস্ট থাকতে হয়। 

২. কপিকৃত বা প্লেজারাইজড কনটেন্টঃ  যদি ওয়েবসাইটে অন্য সাইট থেকে কপি করা বা ঘুরিয়ে লেখা কনটেন্ট থাকে, তাহলে গুগল তা খুব সহজেই ধরে ফেলতে পারে এবং আবেদন বাতিল করে। 

৩. ওয়েবসাইটের ডিজাইন ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্স খারাপঃ  যদি ওয়েবসাইটটি ব্যবহারকারীর জন্য জটিল, বিশৃঙ্খল বা মোবাইল রেসপন্সিভ না হয়, তাহলে গুগল সেটিকে গ্রহণযোগ্য মনে করে না। 

৪. ট্রাফিক বা ভিজিটর না থাকাঃ  যদিও গুগল নির্দিষ্ট করে না যে কত ট্রাফিক দরকার, তবে একেবারে নতুন এবং ভিজিটরবিহীন ওয়েবসাইট সাধারণত গ্রহণযোগ্য হয় না। 

৫. নিষিদ্ধ বিষয়বস্তু (Prohibited Content)ঃ 

যদি ওয়েবসাইটে অশ্লীলতা, হিংসা, ড্রাগস, জুয়া বা কপিরাইট লঙ্ঘন করে এমন কনটেন্ট থাকে, তাহলে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট নিশ্চিতভাবেই রিজেক্ট হবে।

৬. অপর্যাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ পৃষ্ঠাঃ  গুগল প্রত্যাশা করে যে একটি ওয়েবসাইটে নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ পেজগুলো থাকবে:

About Us,  Contact Us,  Privacy Policy, Disclaimer,  Terms & Conditions (যদি প্রয়োজন হয়)

৭. ডোমেইন নতুন হওয়া:  একেবারে নতুন ডোমেইন নিয়ে আবেদন করলে অনেক সময় গুগল সেটিকে অবিশ্বস্ত মনে করে। অন্তত ২-৩ মাস পুরাতন ডোমেইন হলে ভালো।

৮. ব্যাড নেভিগেশন / খারাপ লিঙ্কিং:  ওয়েবসাইটের মেনু, ক্যাটাগরি বা লিঙ্কগুলো যদি কাজ না করে বা ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত করে, তাহলে সেটাও রিজেকশনের কারণ হতে পারে।

৯. গুগল অ্যাডসেন্স পলিসি লঙ্ঘন:  গুগলের নীতিমালার কোনো একটি অংশ লঙ্ঘন করলেই তারা অ্যাডসেন্স আবেদন বাতিল করে। আবেদন করার আগে অবশ্যই AdSense Program Policies পড়ে নেওয়া উচিত।

১০. ব্যক্তিগত ব্লগ বা ডায়েরির ধরণ:  যদি ওয়েবসাইটটি ব্যক্তিগত ডায়েরির মতো হয় এবং অন্যদের জন্য উপযোগী না হয়, তাহলে গুগল সেটিকে মনেটাইজ করার যোগ্য মনে করে না।

কপিপেস্ট কনটেন্ট,  অপর্যাপ্ত কনটেন্ট (১০টির নিচে পোস্ট) ,  নেভিগেশন সমস্যা,  প্রাইভেসি পলিসি পেইজ না থাকা, ট্র্যাফিক হীনতা, সাইটে অনুপযুক্ত কনটেন্ট থাকা .

গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার পর কী করবেন

Google AdSense অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার পর সঠিকভাবে সেটআপ ও রেগুলার মনিটরিং করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিচে অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার পর আপনাকে যেসব কাজ করতে হবে তার ধাপে ধাপে নির্দেশনা দিচ্ছি: Google AdSense অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার পর করণীয়:

১. AdSense কোড সাইটে বসানো:  অ্যাপ্রুভাল মেইলের সঙ্গে আপনি একটি AdSense কোড পাবেন। সেই কোড আপনার ওয়েবসাইটের <head> সেকশনে বসাতে হবে (যদি না ইতিমধ্যে বসানো থাকে)। WordPress ব্যবহার করলে “Insert Headers and Footers” বা “Site Kit by Google” প্লাগইন ব্যবহার করতে পারেন।

২. বিজ্ঞাপন ইউনিট তৈরি ও বসানো:  AdSense Dashboard থেকে নতুন বিজ্ঞাপন ইউনিট তৈরি করুন (Display ads, In-feed ads, In-article ads ইত্যাদি)।  ইউনিটের কোড কপি করে যেখানে বিজ্ঞাপন দেখাতে চান, সেখানে পেস্ট করুন। 

৩. Auto Ads চালু করা (ইচ্ছা অনুযায়ী):  Auto Ads অন করলে Google নিজে নিজে সাইটে উপযুক্ত জায়গায় বিজ্ঞাপন বসাবে। এটি নতুনদের জন্য সুবিধাজনক, তবে অনেক সময় এটি UX খারাপ করতে পারে, তাই সাবধানে ব্যবহার করুন।

৪. Content নিয়মিত আপডেট করুন:  নিয়মিত মানসম্মত ও ইউনিক কনটেন্ট আপলোড করুন।  ট্রাফিক বাড়লে ইনকামও বাড়বে। 

৫. Google Analytics এবং Search Console যুক্ত করুন:  ট্রাফিকের সোর্স, ব্যবহারকারীর আচরণ ও সমস্যা বোঝার জন্য Google Analytics ও Search Console যুক্ত করুন। 

৬. Policy ভঙ্গ না করা :  ক্লিক চুরি করা, নিজে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা, অন্যকে ক্লিক করতে বলা – এগুলো করবেন না। কনটেন্ট অবশ্যই AdSense এর নীতিমালা অনুযায়ী হতে হবে। 

৭. পেমেন্ট সেটআপ করুন:  AdSense অ্যাকাউন্টে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের ডিটেইলস যুক্ত করুন। ১০ ডলার আয় হলেই Google আপনাকে একটি PIN পাঠাবে, সেটি ভেরিফাই করে পেমেন্ট চালু করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ

৮. ট্রাফিক বাড়াতে SEO ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন: SEO ফলো করে পোস্ট লিখুন এবং Facebook, YouTube, Pinterest-এর মাধ্যমে ট্রাফিক বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

বিজ্ঞাপন ইউনিট তৈরি করে সাইটে যুক্ত করুন,  নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট আপলোড করুন, কোনোভাবেই নিজের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন না,  গুগলের পলিসি মেনে চলুন,  ট্র্যাফিক বাড়ানোর জন্য SEO করুন. 

গুগল অ্যাডসেন্স ইনকাম কিভাবে হয় 

গুগল অ্যাডসেন্স মূলত CPC ও CPM ভিত্তিক ইনকাম দেয়। অর্থাৎ, CPC (Cost Per Click): প্রতি ক্লিকে,  নির্দিষ্ট অর্থ,  CPM (Cost Per Mille): প্রতি ১০০০ ভিউতে নির্দিষ্ট অর্থ,  বাংলাদেশে প্রতি ক্লিক গড়ে ০.০৫ থেকে ০.৫০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। তবে US/UK ট্র্যাফিক থেকে ১–৩ ডলারও পাওয়া যায়।

গুগল অ্যাডসেন্স পেমেন্ট কিভাবে পাওয়া যায়

১. AdSense অ্যাকাউন্টে মিনিমাম $100 জমা হলে

২. গুগল মাসের ২১ তারিখে পেমেন্ট প্রসেস করে

৩. আপনি ব্যাংক ট্রান্সফার বা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারেন

ইউটিউবও অ্যাডসেন্স

যদি আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে, তাহলে সেটিও গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে মনিটাইজ করতে পারেন। ইউটিউব মনিটাইজেশনের জন্য প্রয়োজন:

১০০০ সাবস্ক্রাইবার,  সর্বশেষ ১২ মাসে ৪০০০ ঘণ্টার ওয়াচ টাইম, কমিউনিটি গাইডলাইন অনুসরণ।

অ্যাডসেন্স বিকল্প (AdSense Alternatives)

যদি আপনি AdSense অ্যাপ্রুভ না পান বা ইনকামে সন্তুষ্ট না হন, তাহলে নিচের বিকল্প প্ল্যাটফর্মগুলো বিবেচনা করতে পারেনঃ  Media.net,  Ezoic, PropellerAds, AdThrive (প্রিমিয়ামব্লগারদেরজন্য),Infolinks

আমাদের শেষ কথা

গুগল অ্যাডসেন্স হচ্ছে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও নির্ভরযোগ্য অনলাইন ইনকামের উৎস। তবে এটি পেতে হলে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলা জরুরি। যদি আপনি নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করেন এবং গুগলের গাইডলাইন অনুসরণ করেন, তবে অ্যাডসেন্স পাওয়া খুবই সহজ এবং এর মাধ্যমে আপনার অনলাইন ইনকাম স্বপ্নের মতো হয়ে উঠতে পারে।

আমরা গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রভাল পাওয়ার গাইডলাইন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেি।আপনি আমাদের সাথে থেকে আমাদেরকে ধন্য করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করুন। 




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url